বিনোদন

বিয়েকে ভুল হিসাবে দেখেন সুনিধি চৌহান

বিয়েকে ভুল হিসাবে দেখেন সুনিধি চৌহান

বলিউড গায়িকা সুনিধি চৌহান মাত্র ১৮ বছর বয়সে ২০০২ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েন কোরিয়োগ্রাফার-পরিচালক আহমেদ খানের ভাই ববি খানের সঙ্গে। তবে সুখ জুটেনি কপালে ২০০৩ সালে ববির সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় সুনিধির। নিজের জীবনে প্রথম বিয়েকে বড় ভুল’ হিসাবে দেখেন গায়িকা সুনিধি। বলিউড মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র সুনিধি চৌহান সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন।

মাত্র চার বছর বয়স থেকে সঙ্গীতের সঙ্গে যুক্ত সুনিধি চৌহান। সঙ্গীতকে ১১ বছর বয়স থেকে পেশা হিসাবে বেছে নিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন সুনিধি চৌহান। সুনিধি চৌহান কেরিয়ারে হাজারের ওপর গান গেয়েছেন। সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছলেও নিজের জীবনে প্রথম বিয়েকে বড় ভুল’ হিসাবে দেখেন সুনিধি চৌহান।

সুনিধি চৌহান বলেন, জীবনে আমি অনেক ভুল করেছি। এর মধ্যে সবচয়ে বড় ভুল হলো অল্প বয়সে বিয়ে করে। ববিকে মাত্র ১৮ বছর বয়সে বিয়ে করি, এত কম বয়সে বিয়ে করলেও সুখ পাইনি। আমি সেই ভুলগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞ কম বয়সে আমার উপর এত ঝড় বয়ে গিয়েছে সেই জন্য কিন্তু ভগবানকে আমি প্রতি মুহূর্তে ধন্যবাদ জানাই। জীবনে ভুল করেছি বলেই বর্তমানে এই অবস্থানে আসতে পেরেছি।

গায়িকা সুনিধি চৌহান আরও বলেন, আমি জানতাম যে আমি ভুল জায়গায় রয়েছি। আমি যখন জীবনের অন্ধকার অধ্যায় কাটাচ্ছিলাম তখন সে বিষয়ে অবগত ছিলাম। কিন্তু তার পাশাপাশি এ-ও জানতাম যে এমন অবস্থায় বেশি দিন থাকব না আমি ঠিক বেরিয়ে আসব। বিচ্ছেদের পর সঙ্গীত নির্মাতা হিতেশ সোনিকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান সুনিধি চৌহান। ২০১২ সালের ২৪ এপ্রিল গোয়ায় সাতপাকে বাঁধা পড়েন দু’জনে। হিতেশের সঙ্গে বহু বছর ধরেই বন্ধুত্ব ছিল সুনিধি চৌহানের। সেই বন্ধুত্বই প্রেমে পরিণত হয়। দু’বছরের বেশি সময় ধরে সম্পর্কে থাকার পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন হিতেশ এবং সুনিধি।

রাশমিকার বাড়ি ভাড়া দেওয়ার টাকা ছিল

কেরিয়ার বিষয়ে সুনিধি চৌহান বলেন, রোম্যান্টিক গানে তাঁর গলা মানায় না সুনিধি মানেই ‘আইটেম সং, এই ইমেজ ভাঙতে একমাত্র ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার ও সঙ্গীতশিল্পী অনু মালিককেই পাশে পেয়েছেন গায়িকা। একাধিক সঙ্গীত পরিচালক শুধুমাত্র আইটেম গান’-এর যোগ্যই মনে করেছে তাঁকে। একসঙ্গে কাজ করার সুবাদে সুনিধি কোন কোন জঁরে গান গাইতে অভ্যস্ত ভালোমতোই জানতেন অনুমালিক। আইটেম গানের পাশাপাশি সফট-রোম্যান্টিক গান গাইতেও পারেন সুনিধি, তা চিনে ছিলেন অনু মালিক।

অনুজি বলেছিলেন সুনিধি মেরি জিন্দেগি মে (আজনবি, ২০০১) গাইবে। অন্য এক বড়ো গায়িকার গাওয়ার কথা ছিল। ঐ গানটা সফল হয়, তারপর আমি রোম্যান্টিক গান গাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম অনেক সময় একটা মানুষের দরকার হয় এই পরিবর্তনটার জন্য। কেরিয়ারে এত লম্বা সফর পার করার পড়েও সুনিধি চৌহানের কণ্ঠ পুরুষালি বলে অনেকেই মন্তব্যও করেন। এই প্রসঙ্গে সুনিধি চৌহান বলেন, অনেকের কণ্ঠ সরু হয়, কারুর মোটা হয়। আর তার মাঝের কণ্ঠস্বরের অধিকারী যে-সব মেয়েরা হয়, তাদের গলা পুরুষালি। হয়ত তারা জানেনই না আমার কণ্ঠকে আর কীভাবে বর্ণনা করবেন, তাই ওটা বলেন। আসলে এটা ভগবানের আর্শীবাদ। আমার গলাকে পুরুষালি বললে সেটা আমার কাছে প্রশংসা।

4 thoughts on “বিয়েকে ভুল হিসাবে দেখেন সুনিধি চৌহান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *