ভুলে যাওয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায়
ভুলে যাওয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায়
মানুষের কর্মব্যস্তময় জীবনে মস্তিষ্ক এখন অনেক ট্যাব খোলা কম্পিউটারের মতো, যা দ্রুত চিন্তাশক্তির পুরো প্রসেসকে ধীরগতি করে দিচ্ছে। মানুষ অতীতের তুলনায় সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো বেশি ভুলতে বসেছে। সাম্প্রতিক কিছু গবেষণা দাবি করছে যে নিয়মিত যদি মাথা খাটানো যায়, তা হলে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব আলঝেইমার্স বা ডিমেনশিয়ার মতো কিছু রোগ। জেনে নিন কাজগুলো কী:-
সব থেকে বড় সাম্প্রতিককালে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্মৃতিভ্রষ্ট বা ভুলে যাওয়ার রোগটি। বিজ্ঞানীদের ভাষায় যাকে ডিমেনশিয়া বলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সাড়ে ৫ কোটি মানুষ এই ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত। সাম্প্রতিক জীবনের স্ট্রেস এর মূল কারণ হিসাবে ধরা হচ্ছে, এমন পর্যায়ে বেড়েছে যে মানুষ কখন কী খেয়েছে বা কী করছে সেটাই হঠাৎ মনে করে উঠতে পারে না। যদি আপনার বা আপনার বয়স্ক অভিভাবকদের কারো ভুলে যাওয়ার সমস্যা থাকে, তা হলে প্রতিদিন নিজেদের মধ্যেই একটা খেলা খেলতে পারেন। প্রিয় কিছু গান বা সুরের একটা তালিকা তৈরি করুন, তার পর সেটা বাজিয়ে মনে করার চেষ্টা করুন সেই গান বা সুরের সঙ্গে আপনার কোন স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে দারুণ কার্যকর গান ।
অফিস যাওয়ার সময় যানবাহনে যতটা সময় আপনি কাটান, তার মধ্যেই বেশ কয়েকটি ক্রসওয়ার্ড বা সুডোকু পাজল সলভ হয়ে যাওয়ার কথা। যেকোনো ধাঁধা সমাধানের জন্য মস্তিষ্ককে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়, নার্ভগুলিও সচল ও সতর্ক হয়ে ওঠে। শব্দ-ছকের আর একটা সুবিধে হচ্ছে, প্রচুর নতুন শব্দ শেখা যায় এবং সেগুলিকে মনে রাখার জন্যও মস্তিষ্ক সচেষ্ট হয়ে ওঠে। তাই চেষ্টা করুন পাজল মেলানোর।
করোনার থেকে ৭ গুণ বেশি প্রাণঘাতী হতে পারে ডিজিজ এক্স
যদি আপনার খানিকটা সময় শিশুদের সঙ্গে নির্মল আনন্দে কাটানো সম্ভব হয়, তা হলে মন বেশ ঝরঝরে থাকে। তাদের মতো করে খেলুন, লুকিয়ে আইসক্রিম খেতে যান, তাদের কল্পনার দুনিয়ার শরিক হয়ে উঠুন। স্ট্রেস কমাতে তা ম্যাজিকের মতো কাজে দেয়। যারা দিনের অনেকটা সময় গৃহবন্দি হয়ে কাটান নানা শারীরিক সমস্যার কারণে, তারা এই কাজগুলো করতে পারেন যে হাতটি কম শক্তিশালী (ডানহাতিদের ক্ষেত্রে বাম হাত), সেই হাতে নাম সই করুন দশবার। দাঁত মাজতে, চুল আঁচড়াতে পারলেও খুব ভালো হয়। দুটো হাত কাজে লাগান সমান তালে। ডান হাত দিয়ে টেবিলের উপর টোকা মারুন, বাম হাত দিয়ে ওই সময়েই টেবিলে একটি কাল্পনিক বৃত্ত আঁকার চেষ্টা করুন। দুটো দিক একসঙ্গে কাজ করলে মস্তিষ্ক ঝরঝরে হয়ে উঠবে। যদি কাজগুলো স্বচ্ছন্দে করতে পারেন, তাহলে পরের বার আরও একধাপ কঠিন চ্যালেঞ্জ দিন নিজেকে।