ঘুম ভাঙছে জম্বি ভাইরাসের মহামারির শঙ্কা
ঘুম ভাঙছে জম্বি ভাইরাসের মহামারির শঙ্কা
করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই নতুন আরেক ভাইরাসের খোঁজ দিলেন বিজ্ঞানীরা। প্রাণঘাতি ভাইরাস জম্বি প্রায় ৫০ হাজার বছর পর জেগে উঠছে। এর নেপথ্যে রয়েছে মানুষের বড় ভুল।
বেশ কয়েক ধরনের জম্বি ভাইরাস ২০২২ সালে বরফ গলে যাওয়ায় পর পর সাইবেরিয়ায় পাওয়া যায়। বর্তমান এই ভাইরাস নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। করোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর বলা দাবী করা হচ্ছে জম্বি ভাইরাসকে।
বিশেষজ্ঞরা জানান এই ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে রাশিয়ার সাইবেরিয়া হাজার বছর আগে রাশিয়ার একটি হ্রদে এই বিপজ্জনক ভাইরাসটি হিমায়িত অবস্থায় থাকলেও এখনও এটি জীবিত রয়েছে। জম্বি ভাইরাস আবার জীবিত হচ্ছে প্রায় ৫০ হাজার বছর পর। বিজ্ঞানীরা গত ১০ বছর ধরে এ নিয়ে গবেষণা করছেন। এই ভাইরাসটি আবিষ্কার করেন আক্স-মারসেইল ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের ইমেরিটাস অধ্যাপক জ্যঁ মিশেল ক্লেভেরি।
শরীরচর্চার আর কী খান কিয়ারা আডবাণী
গবেষণা করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখেন, এটি এমন একটি ভাইরাস, যা যেকোনো অবস্থায় বেঁচে থাকে এবং মানুষের জন্য বিপজ্জনক। এই ভাইরাস থেকে বর্তমানে মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার কোনো ওষুধ নেই। জম্বি ভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী করোনার থেকেও ভয়াবহ আকারে প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা। বিজ্ঞানীদের মতে, বিশ্বে ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে রাশিয়া ও সাইবেরিয়ার বরফ গলে গেলে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে।
বিজ্ঞানীদের একটি দল চলতি বছরের জুলাইয়ে এ বিষয়ে তাদের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এতে ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে বিশ্বের অনেক দেশ ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পড়তে পারে জম্বি ভাইরাসের কারণে। জম্বি ভাইরাস এতটাই বিপজ্জনক যে, এটি ছোট কোষের জীবকেও সংক্রমিত করতে পারবে। বিজ্ঞানীদের একটি দল বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিয়ে বহু বছর ধরে সতর্কতা জারি করা হচ্ছে।
Pingback: সাড়ে তিন লাখ টাকার মালামাল চেয়ে শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ওসির চিঠি - Amader Khabar