হাড়ের জোর বাড়িয়ে তুলতে

শুধু ক্যালশিয়াম খেলেই যে হাড় ভাল থাকবে, এমনটা কিন্তু নয় বয়স বাড়লে হাড়ের ক্ষয় হওয়া স্বাভাবিক। একটা বয়সের পর মেয়েদের শরীরে বিভিন্ন রকম হরমোনের পরিমাণ হ্রাস পেতে শুরু করে। এই সব হরমোন সরাসরি না হলেও পরোক্ষ ভাবে হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে। ফলে হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়ে সহজেই। কিন্তু তা প্রতিরোধ করা কঠিন। পুরুষদের ক্ষেত্রেও বিষয়টা মহিলাদের মতো দ্রুত না হলেও অস্টিয়োপোরোসিসের সমস্যা হয় তাঁদেরও।

হাড়ের ক্ষয় রোধে ক্যালশিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। তবে শুধু ক্যালশিয়াম খেলেই যে হাড় ভাল থাকবে, এমনটা কিন্তু নয়। কিডনি বা মূত্রনালিতে এই খনিজটি জমলে উল্টো বিপত্তি হতে পারে। ক্যালশিয়ামকে সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে প্রয়োজন আরও ৫টি উপাদান

# ভিটামিন সি:- এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সহায়তা করে। হাড়ের ঠিকমতো বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন ভিটামিন সি। ভিটামিন সি সামগ্রিক ভাবে হাড়ের অসুখের ঝুঁকি কমে। তাই এই নিয়ম করে খান কমলালেবু ও লেবু জাতীয় ফল।

# জিঙ্ক:- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি জিঙ্ক হাড়ের স্বাস্থ্ ভাল রাখতে সাহায্য করে। অস্টিয়োপোরোসিসের মতো রোগ ঠেকিয়ে রাখতে জিঙ্ক অপরিহার্য। দুগ্ধজাত খাবার, বাদাম, কুমড়ো বীজ এবং ডিমের মধ্যেও জিঙ্ক থাকে।

# ভিটামিন কে ২:- হাড়ের উপর কতটা ক্যালশিয়াম সঞ্চিত হবে, তা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে ভিটামিন কে। ভিটামিন কে অত্যন্ত জরুরি একটি উপাদান হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে। শরীর যাতে যথেষ্ট ভিটামিন কে পায়, তার জন্য পাতে রাখুন পালং শাক, ব্রকোলি, বাঁধাকপি ও লেটুস পাতা।

ইমিউনিটি বাড়াতে নজর দিন

# ভিটামিন ডি:- ভিটামিন ডি ছাড়া শরীর ক্যালশিয়াম শোষণ করতে পারে না। ভিটামিন কে-র পাশাপাশি হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে ভিটামিন ডি-ও অত্যন্ত জরুরি। পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি ছাড়া খাবার থেকে প্রাপ্ত ক্যালশিয়ামের মাত্র ১০-১৫ শতাংশ শোষিত হয়। ভিটামিন ডি পেতে দিনে অন্তত মিনিট ১৫ সূর্যের আলোয় দাঁড়ান। আর পাতে রাখুন পালং শাক, সয়াবিন, বড় মাছ।

# ম্যাগনেশিয়াম:- অস্টিওপোরোসিসের মতো অসুখের ঝুঁকিও কমায় ম্যাগনেশিয়াম। ম্যাগনেশিয়াম থাকে হাড়ের অন্তবর্তী গ্রন্থিগুলিতে। ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায় নানা রকম বীজ, বাদাম ও দানাশস্য থেকে।