লিপস্টিক ব্যবহার আন্ডারটোন বুঝে
লিপস্টিক ব্যবহার আন্ডারটোন বুঝে
একমাত্র প্রসাধনী হচ্ছে লিপস্টিক যা চট করে আপনার পুরো চেহারাই বদলে দিতে সক্ষম। এও বলা হয়ে থাকে, এ প্রসাধনীর ভেতরে যাদু আছে। তা যদি নাই হত তাহলে নিশ্চয়ই এমন চট করেই বদলে ফেলা যেত না আপনার পুরো লুক। ত্বকের আন্ডারটোন না বুঝেই যদি ঠোঁটে মেশান প্রিয় রঙের লিপস্টিক তাহলে কিন্তু হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
সব রকম ত্বকে একই রঙ ফুটে উঠবেনা। আবার ত্বকের রঙ এক হলেও মানানসই না হতে পারে অনেক ক্ষেত্রেই। কারণ ত্বকের রঙ কাছাকাছি বা এক রকম হলেও দুজন মানুষের আন্ডারটোন ভিন্ন হতে পারে। অর্থাৎ একই রঙের লিপস্টিক অন্যকে মানায় বলে, সেটি আপনাকেও মানাবে এমনটা ভাবার ঠিক নয়। চমৎকার ভাবে সেটি ঠোঁটে ফুটে উঠবে আন্ডারটোন মেনে লিপস্টিক বাছাই করলে।
আন্ডারটোন আসলে কি?
আমাদের ত্বকের ভিতরের স্তরের রংটিই আন্ডারটোন। আপনার আন্ডারটোন যেমন হবে তার উপর নির্ভর করে কোন রঙের লিপস্টিক ফুটে উঠবে। যার কারণে ত্বকের রঙ এক হওয়া স্বত্বেও সবাইকে একই রঙের লিপস্টিকে মানায় না, কারণ তাদের আন্ডারটোন ভিন্ন। ত্বকের আন্ডারটোন তিন রকমের হয় যেমন: কুল, ওয়ার্ম ও নিউট্রাল।
নিজের আন্ডারটোন বোঝার জন্য রয়েছে ৩ টি উপায়:-
*** নিজের আন্ডারটোন বুঝতে হাতের কব্জির উল্টোদিকে দেখুন। যদি আপনার হাতের শিরার রং নীল বা নীলচে বেগুনি মনে হয় তাহলে এ ত্বকের আন্ডারটোন কুল।
আবার যদি সবুজ বা নীলচে সবুজ মনে হয় তাহলে এটি ওয়ার্ম আন্ডারটোনের ত্বক। কিন্তু যদি রং ভালোভাবে বোঝা না যায় তাহলে সেটি নিউট্রাল আন্ডারটোন।
ডাবের ভেতর পানি আসে কোথা থেকে
*** যদি আপনি শিরা দেখে বুঝতে না পারেন তাহলে খেয়াল করুন নিজেকে কোন ধরনের গয়না পরলে মানায়। আপনাকে যদি রুপোর গয়না মানালে আন্ডারটোন কুল, বা যদি সোনার গয়না মানায় তাহলে বুঝবেন আপনার আন্ডারটোন ওয়ার্ম। আর যদি আন্ডারটোন নিউট্রাল হয় তবে আপনাকে সোনা-রুপো দুধরনের গয়নাই মানাবে।
*** কোন আন্ডারটোন আপনার পোশাকের রঙও কিন্তু নির্দেশ করে। যদি আপনাকে নীল বা বেগুনি রঙের পোশাক মানায় তাহলে আপনার আন্ডারটোন কুল। আবার যাদের লাল, হলুদ বা কমলা শেডের পোশাক মানায় তাদের আন্ডারটোন ওয়ার্ম। এখন থেকে আন্ডারটোন বুঝে লিপস্টিক ব্যবহার করুন আর হয়ে উঠুন আকর্ষনীয়।
ভালো খবর
thank u