ডিটক্স ওয়াটার কিভাবে বানাতে হয়
শরীর সুস্থ রাখার জন্য পানির উপকারিতা অপরিসীম। আর সেটা যদি হয় ডিটক্স-ওয়াটার,তাহলে তো আর কথাই নেই। তাই আজকে আমাদের প্রবন্ধের বিষয় ডিটক্স ওয়াটার কিভাবে বানাতে হয় এর বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।
ডিটক্স ওয়াটার কিভাবে বানাতে হয়
উপকারী ফল, কোনো ভেষজ উপাদান বা সবজি ভিজিয়ে এক ১২ ঘণ্টা রেখে দিলে সে পানীয়কে ডিটক্স ওয়াটার বলে। ডিটক্স ওয়াটার শসা, লেবু এবং তুলসী পাতা দিয়ে তৈরি করা যায়। ডিটক্স ওয়াটার পান করতে পারেন মিড ব্রেকফাস্টে কিংবা লাঞ্চের আগেও। ডিটক্স ওয়াটা ওজন কমে, ত্বকও ভালো থাকে।
ডায়েট চার্ট বা খাদ্যতালিকা যারা নিয়ম মেনে জীবন যাপন করতে চান তাদের কাছে বেশ গুরুত্ব বহন করে। ওজনের লাগাম ধরতে প্রচুর পানি পান করা প্রযোজন, তাই পানির বদলে অনেকে ডিটক্স ওয়াটারও পান করে থাকেন। ডিটক্স ওয়াটার কী বা এটি কিভাবে তৈরি করতে হয় সে বিষয়ে জেনে নিন:-
ডিটক্স ওয়াটার কী
মূলত এটি এক ধরনের পানীয়।
সাধারণ পানির মধ্যে উপকারী ফল, কোনো ভেষজ উপাদান বা সবজি ভিজিয়ে এক ১২ ঘণ্টা রেখে দিলে সে পানীয়কে ডিটক্স ওয়াটার বলে। তবে খেয়াল রাখতে হবে ফল বা অন্যান্য উপাদান এর চেয়ে বেশি সময় ভেজানো না থাকে। বেশি সময় ভেজানো থাকলে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে।
ডিটক্স ওয়াটার বানানোর নিয়ম
এই ডিটক্স ওয়াটার শসা, লেবু এবং তুলসী পাতা দিয়ে তৈরি করা যায়।
শসা ১০টি টুকরা করে নিন, এক টুকরা লেবু এবং তিন-চারটি তুলসী পাতা নিন ও এক গ্লাস পানি নিন। এ ছাড়া বিভিন্ন ফল যেমন, কমলা, মাল্টা, আপেল ইত্যাদি দিয়েও একই প্রক্রিয়ায় তৈরি করা যাবে ডিটক্স-ওয়াটার।
আরও পড়ুন: ডিটক্স ওয়াটার এর উপকারিতা
প্রতিটি উপকরণ পানির মধ্যে মিশিয়ে দিন, তারপর কয়েক ঘণ্টা রেফ্রিজারেট করুন। তাহলেই ডিটক্স ওয়াটার তৈরি এবার সারা দিনে বারবার ডিটক্স ওয়াটার পান করতে পারেন। তবে দিনের শুরুতেই এক গ্লাস ডিটক্স ওয়াটার পান করার চেষ্টা করুন।
ডিটক্স ওয়াটার খাওয়ার নিয়ম
ডিটক্স-ওয়াটার খাওয়ার জন্য কিছু নিয়ম অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, উপযুক্ত পোষণবোধ থাকা প্রয়োজন। পরে, দিনে সম্মিলিত পানির পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রয়োজন যাতে শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছতে পারে। সাথে থাকতে হবে শারীরিক ব্যায়াম এবং প্রতিদিনের অল্প সময় জীবনযাত্রায় যোগ দিতে। এই নিয়মাবলী মেনে চললেই ডিটক্স ওয়াটার খাওয়া সুস্ত জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠতে পারে।
আবার আপনি ডিটক্স-ওয়াটার পান করতে পারেন মিড ব্রেকফাস্টে কিংবা লাঞ্চের আগেও। এই ডিটক্স ওয়াটার আপনার ওজন কমাতেও সাহায্য করবে এবং ত্বক ভালো রাখবে। পর্যাপ্ত পানি পান করলে, শরীরে পানির ঘাটতি মিটবে আবার ওজন কমে, ত্বকও ভালো থাকে।
পরিশেষ
উপরোক্ত আলোচনার পরিপেক্ষিতে বলা যায়, শরীর সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত এই পানীয় পান করা উচিৎ। আমাদের এই প্রবন্ধটি মনযোগ দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আশা করি ডিটক্স ওয়াটার কিভাবে বানাতে হয় জানতে এবং শিখতে পেরেছেন।
Pingback: অপুষ্টির লক্ষণগুলো কি কি