সিগমা হক অস্কনেরে একক প্রদর্শনী গ্লোরি অফ ওমেস…
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া এ প্রদর্শনীর নাম নারীর গৌরব। মাতৃত্ব, প্রেম ও প্রকৃতি নিয়ে আঁকা ছবি আর ভাস্কর্যের প্রদর্শনী চলছে রাজধানীর বাড্ডায় অবিন্তা গ্যালারি অব ফাইন আর্টসে। প্রদর্শনীতে ভাস্কর্য আছে ৪০টি, জলরঙে আঁকা চিত্রকর্ম ২২টি। এসব ভাস্কর্য ও চিত্রকর্ম তরুণ ভাস্কর ও চিত্রশিল্পী সিগমা হক অস্কন তৈরি করেছেন।
একটি ভাস্কর্যে দেখা যায়, কয়েকজন নারী গল্প করছেন। আছে ঘুড়ি ওড়ানো ও পাখি নিয়ে শিশুদের খেলা করার ভাস্কর্য।
সিগমা হক অস্কন জানান, প্রদর্শনীতে ভাস্কর্য ও চিত্রকর্ম মিলিয়ে ৬২টি কাজ তাঁর ১০ বছরের সাধনার ফল। তরুণ এই ভাস্কর অবশ্য জানালেন, ভাস্কর্যগুলোয় তিনি মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে দেখাতে চেয়েছেন। ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের উদ্যোগে খুলনায় গড়ে ওঠা গণহত্যা জাদুঘরে ছোট আকৃতির এগারোটি ভাস্কর্য সংগ্রহ করেছে
গ্যালারির কিউরেটর সুলতান এম মাইনুদ্দিন বলেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্ততায় সিগমা হকের কাজের প্রশংসা করেছেন ভাস্কর হামিদুজ্জামান ও শিল্পী জামাল আহমেদ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন হার স্টোরি ফাউন্ডেশনের স্বত্বাধিকারী জেরিন মাহমুদ হোসাইন ও অবিন্তা গ্যালারি অব ফাইন আর্টসের স্বত্বাধিকারী নিলু রওশন মোর্শেদ।
এর আগে ২০১২ সালে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকায় সিগমার চিত্রকর্ম ও ভাস্কর্যের প্রদর্শনী হয়। ২০২২ সালে দুবাইয়ে এক প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এরং তার গড়া ভাস্কর্যের জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন। গেল বছর নেপালে অনুষ্ঠিত এক শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে ও নড়াইল সুলতান ফাউন্ডেশন থেকে শিল্পী এস এম সুলতান পুরস্কার লাভ করেছেন। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও জাতীয় চিত্রশালা তার ভাস্কর্য সংগ্রহ করেছে।
প্রদর্শনী নিয়ে সিগমা হক বলছিলেন, ভাস্কর নভেরা আহমেদ ও শামীম শিকদারের কাজ ও চেতনার পথ ধরে তরুণদের মধ্যে নারীদের একটা অংশ এখন ভাস্কর্য নির্মাণে অনেক মনোযোগী। মানুষ বেশি বেশি প্রদর্শনীতে এলেই ভাস্কর্য শিল্পের শক্ত ভিত তৈরি হবে দেশে। একই কথা প্রযোজ্য চিত্রশিল্পের ক্ষেত্রেও।
নারীর গৌরব প্রদর্শনী চলবে ১০ মার্চ পর্যন্ত।