স্বাস্থ্য ও পুষ্টি

চকলেট শেক এর উপকারিতা

হট চকলেট খেলে অবসাদ কমে, পাশাপাশি মন ভালো হয়ে যায়। নিয়মিত চকলেট খেলে আমাদের শেখার সক্ষমতা বাড়ে। চকলেট দীর্ঘস্থায়ি স্মৃতি ও ক্ষণস্থায়ী স্মৃতি দুটোই সংরক্ষণে সাহায্য করে। ফ্ল্যাভানল নামের একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে কোকোর মধ্যে, এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয় ও স্মৃতিশক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে।

চকলেট শেক এর উপকারিতা

হট চকলেট অথবা মিল্ক শেক মজার স্বাদের পানীয়, উপকরণের ভিন্নতার কারণে স্বাদের পার্থক্য থাকলেও দুটি পানীয়র স্বাদে অসাধারণ। এ দুটি পানীয় যেমন সুস্বাদু, তেমনি শরীরের জন্যও বেশ উপকারী। নানা মিল্ক শেক তৈরি করা হয় পদের ফলের সমাহারে, খুব সহজে ঘরে বসেই নানা রকম ফলফলাদি দিয়ে এটি তৈরি করা যায়। হট চকলেট শরীরের জন্য উপকারী, তবে বেশি খেলে শরীরের জন্য ক্ষতি হতে পারে। তাই হট চকলেট ও মিল্ক শেকের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই…

হট চকলেট

হট চকলেট তৈরিতে চকলেটের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি করা হয়। বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে চকলেট আবার শরীরের মধ্যে রক্ত সঞ্চালনও ঠিক রাখে। তবে পরিমিত পরিমাণে চকলেট ওজন কমায়, মন খুশি রাখে। হট চকলেট তৈরির মূল উপাদান কোকো শরীরে যথাযথ রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখে। ফ্ল্যাভানল নামের একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে কোকোর মধ্যে, এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয় ও স্মৃতিশক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। হট চকলেট খেলে অবসাদ কমে, পাশাপাশি মন ভালো হয়ে যায়।

কোকোসমৃদ্ধ হট চকলেট শরীরে কোলেস্টেরল কম রাখতে সাহায্য করে, চকলেটের মধ্যে ম্যাগনেশিয়াম থাকে তাই সতেজ করতে সাহায্য করে। কিছু নেতিবাচক প্রভাবের জন্য হট চকলেটকে দায়ী করা যেতে পারে। দুধ থেকে তৈরি হট চকলেটে প্রাকৃতিকভাবে চিনি রয়েছে, যা দুধ থেকে পাওয়া যায়। প্রক্রিয়াজাত কোকোয়াতে সাধারণত অতিরিক্ত চিনি রয়েছে।

মিল্ক শেক

মিল্ক শেক তৈরি করা যায় বিভিন্ন ধরনের উপকরণ দিয়ে, একেক রকম ফলে একেক রকম উপকারিতা। যেমন আম দিয়ে মিল্ক শেকে ক্যারোটিন ও ভিটামিন এ’ রয়েছে; যা চোখের দৃষ্টি বাড়াতে সাহায্য করে, রাতকানা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে এবং চোখ ভালো রাখে। মিল্ক শেকে ভিটামিন বি’ কমপ্লেক্স থাকার কারণে শরীরের স্নায়ুগুলোতে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়। ঘুম আসতে সাহায্য করে, শরীরকে রাখে সতেজ।

আরও পড়ুন: ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমানোর উপায়

হার্টের সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে মিল্ক শেকে থাকা বিটাক্যারোটিন, ভিটামিন ই’ এবং সেলেনিয়াম। মিল্ক শেকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকার কারণে ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে। দাঁত, নখ, চুল, মজবুত করার জন্য আমের খনিজ লবণ উপকারী ভূমিকা পালন করে। মিল্ক শেকেতে প্রচুর এনজাইম, যা শরীরের প্রোটিনের অণুগুলো ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে ফলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। তবে মিল্ক শেক নিয়মিত খেলে শরীরের ক্ষয়রোধ হয় ও স্থূলতা কমিয়ে শারীরিক গঠনে; ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে।

মুড ভালো করে:-

ব্যাপারটা শুধু যে আমাদের মস্তিষ্কের একটা অনুভূতি তাই নয়, চকলেটে থাকা পলিফেনল বিষণ্ণতা ও দুশ্চিন্তা দূর করে মুড ভালো করতে সাহায্য করে ও চকলেট খেলে নিমেষে মন ভালো হয়ে যায়। কিন্তু চকলেট খেলে প্রাকৃতিকভাবেই আমাদের শরীরে সেরাটনিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, সেরাটনিনই আমাদের মস্তিষ্কে Feel Good বার্তা পাঠায়।

মস্তিষ্কের কার্যক্রম উন্নত করে:-

আমাদের মস্তিষ্কের সক্ষমতা বাড়ায় চকলেট, নিয়মিত চকলেট খেলে আমাদের শেখার সক্ষমতা বাড়ে। চকলেট দীর্ঘস্থায়ি স্মৃতি ও ক্ষণস্থায়ী স্মৃতি দুটোই সংরক্ষণে সাহায্য করে।

বহুগুণের কারণে চকলেটকে বলা হয় সুপার ফুড। তাই সুস্থ থাকতেই শুধু নয় নিয়মিত চকলেট খান মুড ভালো করতে বা মস্তিষ্কের সক্ষমতা বাড়াতে।

3 thoughts on “চকলেট শেক এর উপকারিতা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *