মুলা শাকের উপকারিতা
সবুজ মুলা শাক কিন্তু পুষ্টির খনি। শীতের সময়ে নিয়মিত মুলা শাক খেলে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক উপকারিতা সহজেই পাওয়া যায়। শাক খাওয়ার ফলে পেটের যাবতীয় সমস্যা সহজেই নিয়ন্ত্রণে আসবে। যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বা যাদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রয়েছে, তারা এই সময়ে নিয়মিত মুলা শাক পাতে রাখুন। মুলা শাক নিয়মিত খেলে রক্তস্বল্পতার ভয় থাকে না। মুলা শাক আপনার সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করবে।
মুলা শাকের উপকারিতা
যেসব শাক-সবজি শীতকালে পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম হলো মুলা শাক, অনেকেই এর গুরুত্ব বুঝতে পারেন না। শীতে মুলা খাওয়া হলেও অনেকে এর শাকি এড়িয়ে যান। অনেকেরই কিন্তু সুস্বাদু এই শাকের অসংখ্য উপকারিতার কথা জানা নেই। এই সবুজ মুলা শাক কিন্তু পুষ্টির খনি। শীতের সময়ে নিয়মিত মুলা শাক খেলে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক উপকারিতা সহজেই পাওয়া যায়।
মুলা শাকের পুষ্টিগুণ:-
এই শাক শীতকালীন স্বাস্থ্যের সুপারহিরো। মুলা শাক ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফোলেট এবং ক্যালসিয়ামে পরিপূর্ণ। আপনি অবহেলায় যে শাক এড়িয়ে যান, তাতে অপেক্ষা করে আপনার জন্য শরীরের জন্য অনেক উপকারিতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক, মুলা শাকের উপকারিতা গুলো…
# হজমশক্তি বাড়ায়:- যদি মাঝেমাঝেই আপনি পেটের সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে আপনার জন্য উপকারী একটি খাবার হতে পারে মুলা শাক। এই শাকে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা আপনার পরিপাকতন্ত্রকে মসৃণ করে। এই শাক খাওয়ার অভ্যাস করুন, নিয়মিত এই শাক খান কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজমকে বিদায় জানান। এই শাক খাওয়ার ফলে পেটের যাবতীয় সমস্যা সহজেই নিয়ন্ত্রণে আসবে।
# রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা শীতের সময়ে সবচেয়ে বেশি জরুরি, কেননা এসময় অসুখ-বিসুখের ভয় থাকে অনেক বেশি। মুলা শাক আয়রন এবং প্রচুর ভিটামিনে ভরপুর, যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে বা সেরা বন্ধু হিসেবে কাজ করবে। তাই এসময় সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে বা সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে মুলা শাক আপনার পাতে রাখুন।
# রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে:- রক্তচাপের সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের জন্য উদ্ধারকারী খাবার হতে পারে মুলা শাক। এই সবুজ রঙের শাক সোডিয়াম সমৃদ্ধ যা রক্তচাপ স্থিতিশীল করার জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। আপনার হার্টও স্বাস্থ্য ভালো থাকবে মুলা শাক খেলে।
# ডায়াবেটিস দূরে রাখে:- মুলা শাক ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভীষণ উপকারী একটি খাবার। মুলার পাশাপাশি এর শাকও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বা যাদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রয়েছে, তারা এই সময়ে নিয়মিত মুলা শাক পাতে রাখুন। মুলা শাক আপনার সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: কোমরের ব্যথা কমানোর উপায় ব্যায়াম
# হিমোগ্লোবিন বাড়াতে:- এই শাক রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে কাজ করে। অনেকে ভুলভাল খাদ্যাভ্যাসের কারণে বর্তমানে বিভিন্ন অসুখে ভুগে থাকেন, অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা তার মধ্যে একটি। মুলা শাকে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন। তাই মুলা শাক নিয়মিত খেলে রক্তস্বল্পতার ভয় থাকে না। তাই এই সমস্যা থেকে বাঁচতে মুলা শাক খাওয়ার অভ্যাস করুন।
# ক্যান্সারের প্রতিরোধে সহায়ক:- মুলা শাক অনেক ধরণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ থাকতে, যেগুলি ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়ক হতে পারে। এই মুলা শাকে থাকা কিছু বিশেষ পারমাণবিক যৌগ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, গ্লুকোসিনোলেটস বা গ্লুকোসিনোলেটিক যৌগ থাকতে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে।
মন্তব্য:- যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, কেননা প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে।
Pingback: চুলের যত্নে পেঁয়াজের উপকারিতা - amaderkhabar