জিংক যে কারণে প্রয়োজন?
একজন মানুষের সুস্থ জীবন-যাপনে আদর্শ খাদ্য অর্থাৎ কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, মিনারেল ও পানি থাকা জরুরি। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদানসমূহের মধ্যে জিংক অন্যতম একটি মাইক্রো-নিউট্রিইয়েন্ট। প্রতিদিনই দৈনন্দিন আমাদের শরীরে অন্তত ১৫ মিলিগ্রাম জিংক প্রয়োজন। সুস্থ থাকতে হলে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকা বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদানে পরিপূর্ণ থাকা চাই।
দৈহিক সুস্থতায় প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় জিংক কেন প্রয়োজন ও কোন কোন খাবার থেকে আমরা জিংক-এর ঘাটতি পূরণ করতে পারি। আমাদের শরীরে প্রায় তিনশ এর বেশি এনজাইম রয়েছে। জিংক-এর অভাবে আমাদের দেহে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তবে জেনে নেই জিংক-এর অভাবে কী কী সমস্যা হতে পারে।
জিংক এর অভাবে যে সকল সমস্যা হতে পারে:
# জিঙ্কের অভাবে বাচ্ছাদের খাবারে অরুচি বা ক্ষুধামন্দা দেখা দিতে পারে।
# মানসিক দুর্বলতাও জিংকের অভাবে হতে পারে।
# শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে পারে জিঙ্কের অভাবে।
# গর্ভবতী মায়েদের শরীরে জিংক এর ঘাটতিতে বাচ্চার জন্মগত ত্রুটি হতে পারে ও বাচ্চার ওজন কম হতে পারে।
# জিংক এর ঘাটতি থাকলে বাচ্চাদের শারীরিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্থ হয়, এমনকি বামনত্ব-এর দিকে ধাবিত হতে পারে।
# জিংকে এর ঘাটতি অমনোযোগিতা এমনকি মানসিক ভারসাম্যহীনতার বিশেষভাবে দায়ী।
# জিংক এর অভাবে ত্বকের ক্ষত সহজে নিরাময় হয় না এমন কি চুল পড়ে যায়।
যে সকল খাবার জিংক এর উত্তম উৎস:
জিংকের অন্যতম উৎস হলো সামুদ্রিক মাছ ও অন্যান্য খাবার যেমন কাঁকড়া, ঝিনুক, চিংড়ি, লাল মাংসে [গরু, ভেড়া, খাসি] কলিজায়, উচ্চমাত্রায় জিংক রয়েছে, তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের ডাল, বীজ জাতীয় খাবার যেমন- শিমের বিচি, মিষ্টি কুমড়ার বিচি, সয়াবিন, বিভিন্ন বাদাম যেমন- কাঠ বাদাম, চীনা বাদাম, কাজু বাদাম, মাশরুম, দুগ্ধজাতখাদ্য, ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে জিংক থাকে। প্রতিদিনকার খাদ্যতালিকায় জিংক-এর চাহিদা পূরণ করতে, খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন জিংক এ পরিপূর্ণ এসকল খাদ্য। দেহের রোগ থেকে দূরে থাকুন ও সুস্থ থাকুন প্রতিদিন।