স্বাস্থ্য ও পুষ্টি

ক্লান্তিতে গ্লুকোম্যাক্স-ডি…

গরমে সারাদিনে আমাদের শরীর থেকে ঘামের সাথে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপাদান বের হয়ে যায়। দিন শুরু হয় সেই সকাল ৮টা থেকে। বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে, বাড়ির প্রতিদিনকার সকল কাজ। আদরের বাচ্চাটিও পড়াশোনা ও খেলাধুলা করে ক্লান্ত। দিন শেষে সকল ক্লান্তি দূর করতে আপনি সাথে রাখতে পারেন গ্লুকোম্যাক্স-ডি। এই পানীয় প্রচন্ড গরমে নিমিষেই দূর করে দিবে সারাদিনের ক্লান্তি! চলুন জেনে নেই এই গ্লুকোম্যাক্স-ডি কী কী উপাদান সমৃদ্ধ!

সকল ক্লান্তিতে গ্লুকোম্যাক্স-ডি
আপনার পরিবারের ছোট-বড়ো সকলের ক্লান্তি দূর করতে শুধু চাই এক গ্লাস গ্লুকোম্যাক্স-ডি।একটি নন-ফ্লেভার্ড এনার্জি ড্রিংক। এই ড্রিংক-এ আছে গ্লুকোজ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন-ডি কীভাবে এই উপাদানগুলো আমাদের শরীরের ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে।

গ্লুকোজঃ
আমারা প্রতিদিন ভাত, রুটি বা অন্যান্য খাদ্য থেকে যে শর্করা পাই, তা শর্করার জটিল অবস্থা। আমরা জানি যে আমাদের দেহের শক্তির উৎস হলো কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা। এই জটিল শর্করা দেহের ভিতরে কাজ করতে তাকে আগে সরল শর্করায় ভাঙতে হয়। এর পরেই তা দেহ সচলে প্রয়োজনীয় কার্য-সম্পাদন করতে পারে। গ্লুকোম্যাক্স-ডি-তে রয়েছে গ্লুকোজ, যা চিনি বা শর্করার সবচেয়ে সরল অবস্থা। তাই এই গ্লুকোজ রক্তে তাড়াতাড়ি মিশে যেতে পারে ও আমাদের শরীরে কর্ম উদ্যমতা ফিরিয়ে দেয় দ্রুত।

ক্যালসিয়ামঃ
প্রতিদিন আমাদের দেহ থেকে যে পরিমাণ ক্যালসিয়াম বের হয়ে যায়, তা অনেক সময়ই পূরণ হয় না। আমাদের দেহের দাঁত ও মজবুত হাড় গঠনে ক্যালসিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা সবাই জানি। আর ক্যালসিয়াম-এর অভাবে আমাদের যে শুধু হাড় ক্ষয় ও দাঁতের সমস্যা হয়, তা কিন্তু নয়। ক্যালসিয়াম এর অভাব হলে আমাদের শরীর অবসন্ন হয়ে যায়, আঙ্গুল, হাত-পা অসাড় হয়ে ঝিমঝিম ধরে আসে। অনেক সময় ক্যালসিয়ামের অভাবে খিঁচুনিও দেখা দেয়। আর দেহে যদি ক্যালসিয়াম এর অভাব দীর্ঘস্থায়ীভাবে হয়, তাহলে ক্ষুধামন্দা ভাব দেখা দেয়ার সাথে সাথে অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন সহ আরও বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তাই প্রতিদিন শরীরের ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে খেতে পারেন গ্লুকোম্যক্স-ডি।

ফসফরাসঃ
অনেকেই হাড় ও দাঁতের সুস্থতায় প্রাধান্য দেয় শুধু ক্যালসিয়ামকেই। কিন্তু ফসফরাসও ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি হাড় ও দাঁতের সুস্থতায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। ক্যালসিয়ামের মতো ফসফরাসও আমাদের দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই দু’টি উপাদানের মূলত ভারসাম্য থাকলেই আমাদের দেহের হাড় ও দাঁত সুস্থ থাকবে। হাড়ের সমস্যা অস্টিওপোরোসিস রোধে ফসফরাস ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন-ডি এর সাথে একত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া ফসফরাস দেহের সঠিক স্নায়বিক, মানসিক ও হরমোনাল প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। গ্লুকোম্যাক্স-ডি থেকে আপনি দেহে ফসফরাসের চাহিদা মেটাতে পারেন।

ভিটামিন-ডি
আমাদের বাচ্চাদের ভিটামিন-ডি এর অভাব হলে এই রিকেটস রোগ হয়ে থাকে। ভিটামিন-ডি এর আলোচনায় যে বিষয়টি উল্লেখ করতে হয়, তা হলো রিকেটস রোগ। তাছাড়া ভিটামিন-ডি ক্যালসিয়াম শোষনে সহায়তা করে। দেহে অবস্থিত আয়রন, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়ামকে দ্রবীভূত করতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-ডি দরকার। ভিটামিন-ডি এর অভাবে বাচ্চাদের হাড় গঠন সুদৃঢ় হয় না, এমনকি হাড় বাঁকা হয়ে যায়, শিশুর শারীরিক বৃদ্ধিও হয় না। তাই গ্লুকোজের ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি গ্লুকোম্যক্স-ডি ভিটামিন-ডি পূরণের সচেষ্ট ভূমিকা রেখেছে।
প্রতিদিনকার কর্ম-ব্যস্ত জীবনকে উপভোগ করতে হবে নতুন উদ্যম নিয়ে। আর আপনাকে সচল রাখতে যে সকল উপাদান প্রয়োজন, তার সবই পাবেন গ্লুকোম্যক্স-ডি-তে! তাই গরমকে ভয় না পেয়ে, গ্লুকোম্যাক্স-ডি খেয়ে, সারাদিনের ক্লান্তি দূর করুন নিমিষেই।

2 thoughts on “ক্লান্তিতে গ্লুকোম্যাক্স-ডি…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *