দারচিনির উপকারিতা
দারচিনিতে রয়েছে থার্মোজেনিক উপাদান যা বিপাকহারের বাড়িয়ে তোলে। দারচিনি বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দিতে পারে। এবং শরীরে ক্যালোরির পরিমাণ বাড়তে থাকে। নিয়মিত খেতে পারলে প্রদাহ কমে, আবার ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
দারচিনির উপকারিতা
ওজন ঝরাতে বললেই তো আর ওজন ঝরানো যায় না, অনেক পরিশ্রম করতে হয়। নিয়ম মেনে জিমে যাওয়া, বাড়িতে শরীরচর্চা করা, পছন্দের খাবারে লাগাম টানা সহ সবই করতে হয়। অফিসেও লিফ্ট ব্যবহার না করে সিঁড়ি দিয়ে উঠানামা করেন। নিয়মিত নানা রকম ডিটক্স পানীয় খেয়ে থাকেন।
সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম পানিতে লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে খাওয়া অনেক দিনের অভ্যাস। কিন্তু তাতে কি এই পাথরের মতো পেটের মেদ গলবে। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই পানীয়ে যদি সামান্য একটু দারচিনি মিশিয়ে নিতে পারেন, পানীয়ের গুণ বেড়ে যাবে অনেক আবার মেদ ঝরবে তাড়াতাড়ি…
ওজন ঝরাতে দারচিনি কী ভাবে সাহায্য করে:-
# বিপাকহার বাড়িয়ে তোলে:- পুষ্টিবিদেরা বলছেন, দারচিনিতে রয়েছে থার্মোজেনিক উপাদান যা বিপাকহারের বাড়িয়ে তোলে। আবার দারচিনি দেহের মেদ পুড়িয়ে তা থেকে ক্যালোরি উৎপাদনেও সাহায্য করে।
# শর্করার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে:- দারচিনি রক্তে ইনসুলিন হরমোন উৎপাদন এবং ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আবার এই দারচিনি মাঝে মধ্যেই মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা দেখা দিলে, তা-ও রুখে দিতে পারে।
আরও পড়ুন: ভিটামিন ডি অভাবের লক্ষণ
# খাই খাই ভাব নিয়ন্ত্রণ করে:- খিদে পেলেই বারে বারে হাবিজাবি খেয়ে ফেলেন। এবং শরীরে ক্যালোরির পরিমাণ বাড়তে থাকে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দারচিনি বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দিতে পারে।
# হজমশক্তি ভাল রাখে:- এই দারচিনি গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপা থেকে হজমের সমস্যা সবই নিয়ন্ত্রণে রাখে। খাবার হজম করার ক্ষমতা ভাল না হলে বিপাকহার ভাল হয় না।
# প্রদাহ নাশ করে:- যে সব উপাদান দারচিনির মধ্যে রয়েছে, তা প্রদাহনাশক বলে পরিচিত। নিয়মিত খেতে পারলে প্রদাহ কমে, আবার ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
Pingback: খুসখুসে কাশির ঘরোয়া চিকিৎসা - amaderkhabar