মেসির ভাস্কর্য
মেসি বললেন, তার জীবনের প্রাপ্তিগুলো ছাড়িয়ে গেছে স্বপ্নকেও। মুখে হাসি, হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি। মেসির তো আর জমজ নেই! সত্যিকারের মেসির পাশে ওখানে আসলে মেসির প্রতিমূর্তি।পাশাপাশি দুই লিওনেল মেসি। দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল ফেডারেশনের (কনমেবল) সদর দপ্তরে এভাবেই দেখা গেল বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনার ফুটবল জাদুকর মেসি কে।
সোমবার কনমেবলের সদর দপ্তরে উন্মোচিত হলো বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে মেসির ভাস্কর্য। কনমেবলের সদর দপ্তরে জাদুঘরে আরও দুই কিংবদন্তি পেলে ও দিয়েগো মারাদোনার পাশেই থাকবে মেসির ওই ভাস্কর্য। কোপা লিবার্তাদোরেসের ড্র অনুষ্ঠানের একদিন আগে ছিল এই আয়োজন। যখন ফুটবল বিশ্বে প্রশ্ন উঠত পেলে-মারাদোনার পাশে কে? সেই প্রশ্নের উত্তরে মেসির আনাগোণা ছিল অনেক থেকেই। সংশয় ছিল যাহ তা হয়তো মেসি ঘুচিয়ে দিয়েছেন ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে অসাধারণ পারফর্ম ও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে। অনেকের কাছে তিনিই সবাইকে ছাড়িয়ে সর্বকালের সেরা। কনমেবলের এই উদ্যোগকে বলা যায় মেসির অর্জনের স্বীকৃতি।
এখন পেলে-মারাদোনার পাশাপাশি তার নাম উচ্চারিত হয় বটেই, মহাতারকা বললেন, জীবন তাকে ভরিয়ে দিয়েছে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি প্রাপ্তিতে। ভাস্কর্য উন্মোচনের আয়োজনে আপ্লুত মেসি ফিরে তাকালেন তার গোটা ক্যারিয়ারে। আমি কখনোই এমন কিছুর স্বপ্ন দেখিনি বা ভাবতে পারিনি। আমার স্বপ্ন ছিল পছন্দের কাজটি (ফুটবল খেলা) স্রেফ উপভোগ করা এবং যখন ছোট ছিলাম, চাওয়া ছিল পেশাদার ফুটবলার হওয়া। জীবনে যেটিকে ভালোবেসেছি সেটিকেই পেশা হিসেবে নেওয়া। অনেকটা লম্বা পথ পাড়ি দিতে হয়েছে আমাকে। সেই পথে অনেক মোড় এসেছে, পরাজয় এসেছে। তবে আমি সবসময় সামনে তাকিয়েছি এবং সাফল্য অর্জন করতে চেয়েছি, বিজয় চেয়েছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার স্বপ্নকে তাড়া করা সবকিছুকে সম্ভব করতে লড়াই করা এবং খেলা উপভোগ করা, যেটি সবচেয়ে সুন্দর।
তাদের সবাইকে উপহার দেওয়া হয় বিশ্বকাপ ট্রফি ও ২০২১ সালের কোপা আমেরিকা জয়ের ট্রফির ক্ষুদ্রাকৃতির স্মারক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মেসির সতীর্থরা ও কোচ লিওনেল স্কালোনি।
বিশ্বকাপের পর আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচেই গত বৃহস্পতিবার পানামার বিপক্ষে দুর্দান্ত এক গোল করে মেসির ক্যারিয়ার গোলসংখ্যা হয়েছে ৮০০। আর্জেন্টিনার প্রথম ফুটবলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১০০ গোল করতে প্রয়োজন তার স্রেফ আর একটি গোল।