বিনোদন

অভিনেতা এজাজ ব্যতিক্রম অভিযান

ডা. এজাজুল ইসলাম অভিনেতা হিসেবে বেশ জনপ্রিয় ও পরিচিত। তিনি খ্যাতি অর্জন করেছেন বিশেষত হুমায়ূন আহমেদের নাটক-সিনেমায় কাজ করেই। এরপর থেকে নিজের সাবলীল অভিনয়ের ধারা জারি রেখেছেন এখন।

এজাজের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিচয় হলো, তিনি চিকিৎসক। মানবিক চিকিৎসক হিসেবেও তার সুনাম রয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মানুষকে স্বাস্থ্য ও খাবার বিষয়ে সচেতন করার লক্ষ্যে অভিযানে নেমেছেন ডা. এজাজ। গত শনিবার ৮ এপ্রিল, বিকালে রাজধানীর পান্থপথ এলাকায় দেখা গেছে তাকে। বিভিন্ন ইফতারির দোকানে ঘুরে ঘুরে বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সচেতনতার বার্তা দিয়েছেন। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ডা. এজাজ বলেন, ‘আমরা যাদেরকে বোঝালাম, তারা কিন্তু বিষয়টা জানেই না। এজন্য আগে জানান দেওয়া জরুরি আমি মনে করি। আমরা যেটা করছি, স্বল্প পরিসরে করছি। এটা আরও অনেক বড় পরিসরে, দেশের আনাচে-কানাচে প্রত্যেক প্রান্তে হওয়া দরকার।

তার ভাষ্য, অনেকে বলছেন, জরিমানা করা হোক শাস্তি দেওয়া হোক। আমি সেটার পক্ষে না কারণ আমি কেন শাস্তি পাবো? আমি তো জানিই না। আমি গ্লাভস ব্যবহার শিখিনি, খাবার কীভাবে বিতরণ করতে হবে, স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে খাবার কীভাবে রাখবো, এটা তো আমি জানি না।

বিশেষে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জরিমানা করে। তবে এর পক্ষে নন অভিনেতা-চিকিৎসক এজাজ। যে লোকটি বিক্রি করছেন কিংবা যিনি খাবার বানাচ্ছেন, তারা কিন্তু অতোটা শিক্ষিত না। এজন্য তাদেরকে জানান দেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। কেউ যদি আসলেই ঘুমায়, তার তো দোষ নেই। কিন্তু কেউ যদি জেগে জেগে ঘুমায়, তার শাস্তি পাওয়া উচিত। বিক্রেতাদের পাশাপাশি ভোক্তাকেও সচেতন হতে হবে। তাহলেই খাবারে স্বাস্থ্যমান বজায় থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *