ইমরান খানের স্ত্রীও জামিন পেলেন

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়েছেন। লাহোরের একটি আদালত গত সোমবার ইমরানের স্ত্রীকে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত জামিন দেন। একই মামলায় গ্রেফতার হওয়া ইমরান ২ সপ্তাহের জামিন পেয়েছিলেন। ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবির আইনজীবী দলের একজনের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত সপ্তাহে গ্রেফতার হন ইমরান খান। ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) প্রাঙ্গণ থেকে জাতীয় জবাবদিহিতা ব্যুরো (এনএবি) সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতার করে। এরপরেই বিক্ষোভে নামে পিটিআইয়ের সমর্থকরা। গ্রেফতারের ১ দিন পরেই আইএইচসির একটি ডিভিশনাল বেঞ্চ সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ২ সপ্তাহের জামিন দেয়।

বুশরা বিবির আইনজীবী ইন্তিজার হুসাইন পানজুথা বলেন, আমরা লাহোর হাইকোর্টে (এলএইচসি) প্রতিরক্ষামূলক জামিন আবেদন করেছিলাম। দুই বিচারকের দ্বৈত বেঞ্চ আগামী ২৩ তারিখ পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন। আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবিও অন্যতম আসামি। এই ট্রাস্টের অন্যতম সদস্য তিনি। ট্রাস্টটির আওতায় বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণে আবাসন প্রতিষ্ঠান থেকে অনৈতিকভাবে আর্থিক সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে।

বাফটা জিতলেন কেট উইন্সলেট

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এক পোস্টে ইমরান খান লেখেন, বুশরা বিবিকে কারাগারে রেখে আমাকে অপমান করার পরিকল্পনা চলছে এখন। সোমবার সকালে সস্ত্রীক লাহোর হাইকোর্টে যান ইমরান খান। স্ত্রী বুশরা বিবিকে গ্রেফতারের জন্য সরকার পরিকল্পনা আছে বলে জানান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী মারিয়াম আওরঙ্গজেব তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে রয়টার্সের অনুরোধে সাড়া দেননি। তবে দেশটির সরকার আগে বলেছিল, এ মামলায় আমরা কোনো হস্তক্ষেপ করছি না, দুর্নীতি মামলাটি স্বাধীনভাবে দেখছে এনবিএ। আস্থা ভোটে হেরে গত বছরের এপ্রিলে ক্ষমতা ছাড়তে হয় ইমরান খানকে। এরপর থেকেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা হয়েছে, যার মধ্যে আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা অন্যতম।

ক্রিকেটার ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ক্ষমতা হারানোর পর থেকেই পাকিস্তানজুড়ে ক্যাম্পেইন চালাচ্ছেন। নতুন করে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছেন পাকিস্তানের। এমনকি সেনাবাহিনী তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে বলে অভিযোগ করছেন। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে দেশটির সেনাবাহিনী।