স্ট্রেস বা টেনশন থেকে মুক্তি
স্ট্রেস বা টেনশন থেকে মুক্তি
সকাল থেকে মধ্যরাত অবিরত কর্মব্যস্ততা চলতেই থাকে, ব্যস্ততা আমাদের দেয় না অবসর। এসবের জন্য স্ট্রেস সঙ্গী হয় আমাদের। কর্মক্ষেত্রে টেনশনের শিকার হন কেউ কেউ। আবার কারো চিন্তার কারণ পারিবারিক সমস্যা।
আসলে মানুষের ভালো থাকা নিজের ওপর নির্ভর করে। তাই যত দ্রুত এই সত্য উপলব্ধি করতে পারবেন এবং নিজের যত্ন নেওয়া শুরু করবেন, তত তাড়াতাড়ি স্ট্রেস বা টেনশন থেকে মুক্তি থাকতে পাবেন।
চিকিৎসকদের মতে, অনেকসময় স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণহীন হতে পারে আমাদের জীবনে। আর এই অনিয়ন্ত্রিত স্ট্রেস সহজেই আমাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। স্ট্রেসের কারণে ডায়াবেটিস, উদ্বেগ, থাইরয়েড, মাইগ্রেন বা আইবিএসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ হতে পারে।
স্ট্রেসের সঙ্গে হাই ব্লাড প্রেশার সম্পর্ক:- ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন (NLM) এর মতে, সম্পর্কের চাপ, কর্মক্ষেত্রে চাপ, আর্থিক বা সামাজিক অবস্থা সাম্প্রতিককালে স্ট্রেসের সঙ্গে সম্পর্কিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাই ব্লাড প্রেশার এমনই এক নিঃশব্দ ঘাতক যে কোনও লক্ষণ ছাড়াই একে একে বিকল করে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলি। স্ট্রেস রক্তচাপের উপর নির্ভর করে। এই তালিকায় রয়েছে হৃৎপিণ্ড, মস্তিষ্ক, কিডনি ও চোখ।
স্ট্রেসের সঙ্গে ডায়াবেটিসের সম্পর্ক:- ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন (NCBI)-এর মতে, ডায়াবেটিসের দীর্ঘস্থায়ী হাইপারগ্লাইসেমিয়ার অবদান রাখে স্ট্রেস। দীর্ঘদিন মানসিক চাপ বা স্ট্রেস চলতে থাকলে বিপাকীয় কার্যকলাপের উপর বড় বিশেষ প্রভাব ফেলে। আসলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন হরমোন নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে স্ট্রেস , যার ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। অর্থাৎ সুস্থ ভাবে বাঁচতে হলে স্ট্রেস থেকে দূরে থাকার বিকল্প নেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কীভাবে মানসিক চাপ সামলাবেন।
চলুন কিছু উপায় জেনে নিই;-
সময় কাটান কাছের মানুষের সঙ্গে;- কাছের মানুষদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটিয়ে নিন। প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা করুন, আড্ডা দিন। পর্যাপ্ত সময় না থাকলে ফোন করে খোঁজ নিন। এটি দ্রুততম ও সহজ উপায় স্ট্রেস থেকে বেরিয়ে আসার।
টমেটোর জুস অত্যন্ত উপকারী
বিরতি নিন:- কিছুটা সময় বিরতি নিন, কাজ থেকে ছুটি নিন কদিন। প্রকৃতির কাছাকাছি সময় কাটান। আপনি কি জীবন নিয়ে হাঁপিয়ে উঠেছে। কাজে বিরতি টানলে মন যেমন শান্ত হয়, তেমনি নতুন উদ্যমে কাজ করার শক্তি মেলে।
যা ভালোবাসেন তা করুন;- নিজে যা করতে ভালোবাসেন তা করুন। গান গাওয়া, ছবি আঁকা, গল্পের বই পড়ার মতো কাজগুলোতে আনন্দ পেলে তাই করুন। পছন্দের কাজ মানুষকে চাপমুক্ত রাখে।
মেডিটেশন করুন;- মেডিটেশন করতে পারেন। এর ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস কর্টিসল বা স্ট্রেস হরমোন হ্রাস করে এবং সুখী হরমোন নিঃসরণ করে তাৎক্ষণিকভাবে আপনাকে সাহায্য করবে। নেতিবাচক চিন্তা দূর করতে চাইলে ইতিবাচক কিছুতে মন দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যা উদ্বেগ শান্ত করার দ্রুততম উপায়।
Pingback: ভাঙ্গা-যশোর-বেনাপোল ৬-লেন সড়ক - Amader Khabar