আটকা মার্কিন বিজ্ঞানী চলছে উদ্ধার অভিযান
আটকা মার্কিন বিজ্ঞানী চলছে উদ্ধার অভিযান
তুরস্কের তৃতীয় গভীরতম গুহায় তিন হাজার ২৮০ ফুট মাটির নিচে মার্কিন বিজ্ঞানী অসুস্থ হয়ে আটকা পড়েছেন। অসুস্থ একজন মার্কিনকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছে আন্তর্জাতিক উদ্ধারকারীদল। তাকে উদ্ধার করতেই চালানো হচ্ছে বিশাল এই উদ্ধার অভিযান। উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে তুরস্ক, বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি, ইতালি, ক্রোয়েশিয়া এবং পোল্যান্ড। ১৫০ জন উদ্ধারকর্মী এই অভিযানে অংশ নিয়েছেন।
ইউরোপীয় কেভ রেসকিউ অ্যাসোসিয়েশন জানায়, আন্তর্জাতিক অভিযানের অংশ হিসেবে বিজ্ঞানী মার্ক ডিকি (৪০) দক্ষিণ তুরস্কের টরাস পর্বতমালার মরকা গুহা অন্বেষণে গিয়েছিলেন। অভিযানের সময় গত শনিবার তার অন্ত্রে রক্তপাত শুরু হলে অসুস্থ হয়ে পড়েন মার্ক ডিকি। অসুস্থাতার কারণে ডিকি নিজে গুহা থেকে আর উঠে আসতে পারেননি। চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের জন্য ঘটনাস্থলে রয়েছে চিকিৎসক ও প্যারামেডিকদের একটি দল।
মার্ক ডিকি ন্যাশনাল কেভ রেসকিউ কমিশনের একজন প্রবীণ প্রশিক্ষক। তিনি আনাতোলিয়ান স্পিলিওলজি গ্রুপ অ্যাসোসিয়েশন এর জন্য ৪ হাজার ১৮৬ ফুট গভীর মরকা গুহায় যাচ্ছিলেন। গুহাটিতে নতুন রাস্তা খুঁজে বের করতে এবং তার ম্যাপ তৈরির অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। বেস ক্যাম্পে যাওয়ার আগেই তিন হাজার ৬৭৪ ফুট গভীরতায় এসে তিনি অসুস্থ পড়লে এই ঘটনা ঘটে। কেভ রেসকিউ অ্যাসোসিয়েশন তাদের ওয়েবসাইটে লিখেছেন, ডিকি একজন উচ্চ প্রশিক্ষিত কেভার। যারা বিভিন্ন বড় বড় গুহায় অভিযান চালান। ডিকি নিজেও একজন উদ্ধারকারী।
বিচিত্র লেখার ভিজিটিং কার্ড বানালেন যুবক
তুরস্কের স্পিলিওলজিক্যাল ফেডারেশন গত বুধবার জানিয়েছে, ডিকির রক্তপাত বন্ধ হয়ে গেছে এবং তিনি কারো সহায়তা নিয়ে হাঁটতে সক্ষম। গুহা থেকে সরিয়ে আনার জন্য সম্ভবত স্ট্রেচার লাগবে। হাঙ্গেরিয়ান কেভ রেসকিউ সার্ভিস’ প্রথম ডিকির অবস্থানে পৌঁছেছিল এবং জরুরি রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। পোল্যান্ডের পর্বত উদ্ধার পরিষেবার প্রধান জের্জি সিওডলাক সতর্ক করে বলেছেন, ওই পরিবেশে ডিকিকে চিকিৎসা দিয়ে বাঁচানো একটি চ্যালেঞ্জ। তবে ডিকির অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তার বাগদত্তা এবং সহকর্মী ক্যাভার জেসিকা ডিকির সঙ্গেই আছেন। বাবা-মা অ্যান্ড্রু এবং ডেবোরা অ্যান ডিকির একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। তিনি অভিযানে অংশ নেওয়ায় উদ্ধারকারীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
হাঙ্গেরিয়ান কেভ রেসকিউ সার্ভিসের মার্টন কোভাকস বলেছেন, স্ট্রেচার বসানোর জন্য সরু রাস্তাগুলোকে প্রশস্ত করা হচ্ছে। এ ছাড়া গুহা থেকে পাথর যেন খসে না পড়ে সেই ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী শনিবার বা রবিবারের মধ্যে ডিকিকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে। গুহাটিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ডিকিকে গুহা থেকে বের করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি দেশের উদ্ধারকারীদল একেকটি ভাগের দায়িত্ব নিয়েছে।
সূত্র:- রয়টার্স