মার্কিন ভিসানীতি শিকার যেসব দেশ
মার্কিন ভিসানীতি শিকার যেসব দেশ
বাংলাদেশ ছাড়াও ইতোমধ্যে একাধিক দেশ মার্কিন ভিসানীতির অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে ক্ষুন্ন করার জন্য দায়ী ব্যক্তিবর্গের উপর ভিসানীতি আরোপ শুরু করেছে। এটি শুরু হয় গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে।
কি কারণে ভিসা নিষেধাজ্ঞা:-
যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনে কারচুপি করা ছাড়াও অন্যান্য কারণে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে। নারীদের কাজ করার অধিকার খর্ব করার কারণে আফগানিস্তানে, মিয়ানমারে বিক্ষোভকারীদের উপর জান্তা সরকারের দমন-নিপীড়নের কারণে এবং পাকিস্তানের কয়েকজনের উপর অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
প্রতিবছর মানবাধিকার দিবসে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগেও ব্যক্তি পর্যায়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্তরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য ভিসা পান না। এমনকি ভিসা দেওয়া থাকলেও সেটি বাতিল করে দেওয়া হয়। যাদের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় তাদের পরিবারের নিকটতম সদস্যরাও এর আওতায় পড়েন।
# বেলারুশ
ইউরোপের দেশ বেলারুশে ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ৩ দশকেরও বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো জয়ী হন। ঐ নির্বাচনে কারচুপি ও নির্বাচন পরবর্তী বিক্ষোভে দমন-নিপীড়নের অভিযোগে ৮ বেলারুশিয়ানের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নও ঐ সময় বেলারুশের কর্মকর্তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।
# উগান্ডা
আফ্রিকার দেশ উগান্ডায় ২০২১ সালে নির্বাচনের কারচুপির দায়ে কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে উগান্ডায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। ১৯৮৬ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা ইউয়েরি মুসেভেনি নির্বাচনে জয়ী হন । উগান্ডায়ও কাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সেটি প্রকাশ্যে জানানো হয়নি এখনো। নির্বাচনে কারচুপির বিষয়টি অস্বীকার করেছিল উগান্ডার সরকার।
# নাইজেরিয়া
আফ্রিকার আরেক দেশ নাইজেরিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে। নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন বোলা আহমেদ তিনিবু। এ নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে গত ১৬ মে কয়েকজন নাইজেরিয়ানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন প্রশাসন। এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র বলেন, যাদের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তারা ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন। ভোটের ফলাফলে কারচুপি করেছেন এবং নাইজেরিয়ার গণতান্ত্রিক ধারাকে বাধাগ্রস্ত করেছেন।
চুম্বন দৃশ্য নিয়ে মুখ খুললেন রবিনা ট্যান্ডন
# সোমালিয়া
আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ার সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদদের উপর ২০২২ সালে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ঐ সময় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানিয়েছিলেন, যাদের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তারা সবাই সোমালিয়ার গণতান্ত্রিক ধারাকে বাধাগ্রস্ত করছেন এবং বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকদের উপর নির্যাতন করছেন।
# নিকারুগুয়া
আমেরিকার দেশ নিকারুগুয়ায় ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। নির্বাচনে পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ড্যানিয়েল ওরতেগা। নির্বাচনে কারচুপি এবং এতে সহায়তা করার অভিযোগে বিচারক, সরকারি কৌঁসুলি, সংসদ সদস্য এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। নির্বাচনে ব্যাপক অসংগতি ধরা পড়ে এবং যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের ফলাফলকে ‘অবৈধ’ হিসেবে আখ্যা করে। গেরিলা যোদ্ধা থেকে রাজনীতিতে আসা ড্যানিয়েল ওরতেগা ঐ বছর চতুর্থবারের মতো প্রেসিডেন্ট হন।
Pingback: খালেদা জিয়ার আবেদনটি অল্প সময়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে - Amader Khabar