চরিত্রের প্রয়োজনে নগ্ন দৃশ্যে পাওলি দাম
চরিত্রের প্রয়োজনে নগ্ন দৃশ্যে পাওলি দাম
টিভি সিরিয়াল দিয়ে ২০০৩ সালে অভিনয় শুরু করেন পাওলি দাম। পাওলি দামের পরিবারের আদি নিবাস ছিল বাংলাদেশের ফরিদপুরে। চলচ্চিত্র অভিষেক হয় ২০০৬ সালে, তিন ইয়ারির কথা’ দিয়ে। অভিনয় শুরুর পর পাওলি দাম ভিন্নধর্মী চরিত্র বাছাই, অভিনয় দক্ষতার জন্য প্রশংসিত হন বহুবার। অচেনা নম্বর, ফোন ধরতেই ও পাশ থেকে কেউ বললেন, আমি মৃণাল সেন বলছি।
এ প্রসঙ্গে পাওলি বলেন, কালবেলা দেখে উনি ফোন করেছিলেন। সত্যি বলছি, বিশ্বাস করতে পারিনি উনি বলেছিলেন যে ছবিতে আমার অভিনয় তাঁর ভালো লেগেছে। ২০১১ সালে ছত্রাক’ সিনেমায় অভিনয় করেন পাওলি দাম। এই সিনেমার একটি ক্লিপ ছবি মুক্তির আগেই ভাইরাল হয়। ক্লিপটিতে পাওলি দামকে দেখা যায় চরিত্রের প্রয়োজনে নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করতে যা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয় প্রবল বিতর্ক।
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে যেভাবে আলোচনা তৈরি হয়েছিল, অভিনেত্রীর পরের সিনেমাগুলো সেভাবে আলো ছাড়াতে পারেনি। হিন্দি, বাংলা মিলিয়ে বেশ কয়েকটি সিনেমা ও সিরিজে অভিনয় করেন পাওলি দাম। তবে অনেকে মনে করেন, ছত্রাক’ সিনেমার বিতর্কের কারণেই পাওলির ক্যারিয়ার কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছাতে পারেনি কিছুদিন আগেই পাওলিকে দেখা গেছে কৌশিক গাঙ্গুলির সিনেমা পালান’-এ।
সীতা রূপে দক্ষিনের অভিনেত্রী সাই পল্লবী
এই ছবি মুক্তি উপলক্ষে পাওলির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তাঁর কম কাজ করার কারণ। উত্তরে তিনি বলেন, ওটিটির কাজ বেড়েছে। সত্যি বলতে, একই ধরনের চরিত্র করতে চাই না। গল্প, চরিত্র, পরিচালক অনেকগুলো বিষয় বিচার করে তারপর রাজি হই। মহামারির পর বাংলা ছবির কাঠামোর পরিবর্তন হয়েছে।
অনেকে মনে করেন, বলিউডে মনোযোগ দিতে গিয়েই বাংলায় কাজ কমিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী পাওলি দাম। এ প্রসঙ্গে পাওলি বলেন, এখন সংখ্যার তুলনায় কাজের গুণগত মান আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেটা কিন্তু ঠিক নয় বরং এটাও তো হতে পারে যে সে রকম কোনো আকর্ষণীয় চিত্রনাট্যই আমার কাছে আসেনি। আসলে, ভাষা আর আলাদা করে বিচার্য বিষয় শুধু হিন্দি কেন, ভালো চরিত্র পেলে দেশের যেকোনো ভাষাতেই আমি কাজ করতে রাজি।
Pingback: সামরিক একাডেমিতে ড্রোন হামলা সিরিয়ায় - Amader Khabar
🤑🤑🤑
Thank U.