জাতীয়

অর্থনৈতিক ও পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা মঈন খান

অর্থনৈতিক ও পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা মঈন খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে সরকারের উচ্ছ্বাসের সমালোচনা করেছেন। মঈন খান বলেন, এক সময় এ নিয়ে বাহাদুরি করত, তারা এখন এটা প্রত্যাখ্যান করেছে। আজকে পারমাণবিক শক্তি নিয়ে কেউ আর বাহাদুরি করে না। আজকে বাংলাদেশের সরকার সেই অপ্রয়োজনীয় জিনিস আঁকড়ে ধরে বাহাদুরি নিতে চাচ্ছে এটা বাচ্চা ছেলের কাজ।

বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সমালোচনা করেন। পরিবেশ ও মানব-বিপর্যয়ের আশঙ্কা উপেক্ষা করে দুর্নীতিগ্রস্ত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ-একটি রাষ্ট্রীয় অপরিণামদর্শিতা’ শীর্ষক বিএনপির মিডিয়া সেল এ আলোচনার আয়োজন করে।

মঈন খান বলেন, বাংলাদেশের মতো জনঘনত্বপূর্ণ একটি দেশের জন্য পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প অপরিণাম দর্শিতার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ বলে মন্তব্য করেন মঈন খান। পরিবেশের দিক থেকে, মানুষের নিরাপত্তার দিক থেকে এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ প্রকল্প। যথার্থ বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা ছাড়াই এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ফলে এই প্রকল্পকে ঘিরে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের পাশাপাশি ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।

কতটা মূল্য দিয়ে আমরা দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পাচ্ছি, কোন কোন যুক্তির ভিত্তিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হলো, সেটি একটি ব্যাপক গবেষণার বিষয়।

আজমেরী হক বাঁধনের অভিষেক বলিউডে

মঈন খান আরও বলেন, কিভাবে এই প্রকল্পে বিপুল ব্যয় নিরূপণ হলো, কোন অর্থনৈতিক সমীক্ষার মাধ্যমে এ ব্যয়ের বাণিজ্যিক কার্যকারিতা নিরূপণ করা হয়েছে সেটা কখনই জনসমক্ষে আসেনি। বার দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলারের প্রাক্কলিত এই প্রকল্প নিশ্চিতভাবে ২০ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে। যার ১২ বিলিয়নের উপর রাশিয়ার সাপ্লাই ক্রেডিট। আওয়ামী অর্থনৈতিক দুঃশাসনের অন্যতম মাধ্যম হলো এই সাপ্লায়ার্স ক্রেডিট।

বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, বাংলাদেশে এ প্রকল্পটির গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ। আমাদের জনসংখ্যার ঘনত্ব, কৃষি খাত ও নদ-নদীর ওপর এর প্রভাব নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে বিশ্লেষণ অপরিহার্য ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *