গাছেরা কি জানে কখনো ফুল ফোটাতে হবে
গাছেরা কি জানে কখনো ফুল ফোটাতে হবে
তোমরা শিমুলগাছ চেনো নিশ্চয়ই। এমনিতে শিমুলগাছে পাতা একটু কমই হয় তার ওপর যদি সময়টি হয় শীতকাল, শিমুলগাছের অবস্থা হয় আরো করুণ। শীত এলেই যেন তার ভারি ব্যারাম করে।
সে পাতাটাতা ঝরে হয়ে যায় একদম হাড়গিলে পাটকিলে। এভাবেই থাকে শীতজুড়ে, আবার যেই না বসন্ত আসব আসব করে, তখন হয় এক মজার কাণ্ড। হাড়-জিরজিরে ডাল ফেটে কলি বের হতে শুরু করে শিমুলগাছের। গরমের আঁচ পড়তেই শিমুল তার কলির মাথা টোপরটি দেয় তুলে।
আর শিমুলগাছের পুরো ন্যাড়া গাছটি হয়ে যায় লালে লাল, কারণ ফুলে ফুলে ছেয়ে যায়। শুধু শিমুল নয়, শীত শেষ হতেই গুটি গুটি ফুটতে শুরু করে পলাশ, বেলি, রজনীগন্ধা আর কৃষ্ণচূড়াও। ফোটার জন্য একদম হুড়াহুড়ি জুড়ে দেয় সবাই।
সবই বুঝলাম।
গাছেরা কী করে জানে যে, কখন ফুল ফোটাতে হবে। গাছেদের বুদ্ধিসুদ্ধি মোটেও কম হয় না, কখন কী করতে হবে, সব তারা ভালো করেই জানে। শুধু তা-ই নয়, গাছেরা হিসাবেও হয় পটু হয় কখন ফুল ফোটাতে হবে, এই হিসাবও তারা টুকে রাখে ঠিকমতোই।
পেঁয়াজ কাটলে চোখ জ্বলে কেন
কেন গাছ ফুল ফোটায়, সেও আমাদের জানা। গাছেরা ফুল ফোটায় বলেই না ফল হয় তারপর ফল থেকে হয় বীজ ও বীজ থেকে চারা। চারা থেকে আবার গাছ। গাছেদের ফুল ফোটাতে হয় এসব করতেই। আবার ফুল শুধু ফুটলেই হয় না ফুলে ফুলে পরাগায়ণ হতে হয় তাতেই ফল হতে পারে। সে জন্য গাছেদের যে কোনো সময় ফুল ফোটালে চলবে না।
একই জাতের গাছেরা বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে ফুল ফোটালে বেশ সুবিধা হয়। এতে তাদের পরাগায়ণ করতে পারে সহজে। সে জন্য গাছেরা হিসাব করে বছরের নির্দিষ্ট একটি সময় ফুল ফোটায়।
গাছেদের আছে ফুল, ওদের পরাগায়ণ করে দেয় প্রজাপতি আর মৌমাছি। গরমকালে এসব গাছের ফুল ফোটে, তাই এদের বড়দিনের গাছ বলা হয়। দিন যখন বড় হয় গাছ অনেক আলো পায় সূর্য থেকে। গাছেদের শরীর জুড়ে ফাইটোক্রোম নামে অনেক অনেক রঙের দানা থাকে।
এসব রঙের দানা সূর্য আলো থেকে লাল রঙের আলোটি শুষে নেয়। সূর্যের আলো বেশিক্ষণ পায় বলে বেশি করে লাল রং শোষণ করতে পারে। ফলে গাছেরা বুঝে যায়, এখন গ্রীষ্মকাল। এখন সময় হয়ে গেছে তার ফুল ফোটানোর।
অন্য দিকে কিছু গাছ আবার অনেক দিন শীত পোহালেই কেবল ফুল ফোটাতে পারে। শীতের দিনে দিনগুলো ছোট হয় ও সূর্যের আলো থাকে কম। তখনই কনকনে ঠাণ্ডায় জমে গিয়ে এই গাছেরা ভেতরে ভেতরে ফুল ফোটানোর সব জোগাড়যন্ত্র করে রাখে।
কোন স্তন্যপায়ী প্রাণী উড়তে পারে
তারপর যেই না শীত শেষ হয়, বসন্ত আসে হুমড়ি খেয়ে তারা ফুল ফোটাতে শুরু করে। তখন মিষ্টি মিষ্টি রোদ পড়ে ফলে, ফুল থেকে ফল হয় সহজে। এবং তার থেকে যে বীজ হয়, তা-ও গজাতে পারে অনায়াসে।
আবার জিবেরেলিন নামে এক ধরনের হরমোনও থাকে গাছের শরীরে। বছরের ঠিক বাঁধা সময়ে গাছের শরীরজুড়ে তারা বেড়ে যায়। একেক জাতের গাছের শরীরে একেক সময় এই হরমোনটি বাড়ে তাই সেটিই হয় সেই গাছটির ফুল ফোটানোর আদর্শ সময়।
সূত্র:-সায়েন্সএবিসি.কম
🎋🎋🎋🎋🎄🎄🎄🎋🎄🎋
thank u
😘😘😘😘
Thank U.