তথ্য ও প্রযুক্তি

সাইডলোডিং কী?

সাইডলোডিং কী?

আইওএসের সাইডলোডিং অ্যাপে ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে তথ্য চুরির অভিযোগ অনেকদিন ধরেই। গুগল প্রধান সুন্দর পিচাই, এবার অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের অ্যাপ সাইডলোডিংয়ের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। এ তথ্য জানা যায় প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট গিজমোচায়নার প্রতিবেদনে।

সাইডলোডিং কী:-

থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ ইনস্টল করাই হলো সাইডলোডিং: ডিভাইসের অফিশিয়াল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার না করে কোনো অ্যাপ ইনস্টল করাই মূলত সাইডলোডিং। বেশিরভাগ ব্যবহারকারীরা যদিও নিজেদের মোবাইল ফোনে থাকা অনুমোদিত অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপ ইনস্টল করেন। যার মধ্যে অন্যতম গুগল প্লে স্টোর, অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর, মাইক্রোনফট স্টোর ও স্যামসাং গ্যালাক্সি স্টোর।

লাখো লাখো অ্যাপ থাকে ডিভাইসের স্টোরগুলোতে, তা সত্ত্বেও ব্যবহারকারীরা অন্যান্য উত্স থেকে পছন্দের অ্যাপ ইনস্টল করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ডিভাইসে অ্যাপগুলো সাইডলোড করতে হয়, এতে সুবিধার পাশাপাশি ঝুঁকিও রয়েছে। সাইডলোডিংয়ের মাধ্যমে অ্যাপ স্টোর নির্ধারিত ত্রিশ শতাংশ ফি এড়ানো যায়।

সাইডলোডিং এ কেন চিন্তিত গুগল:-

অ্যান্ড্রয়েডে সাইডলোডিংয়ের মাধ্যমে অ্যাপ ইনস্টলের সুযোগ দিয়ে আসছে। সম্প্রতি গুগল প্রধান সুন্দর পিচাই জানান, এভাবে ব্যবহারকারীরা অ্যাপ ব্যবহারে ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হবে। সম্প্রতি  এপিক গেমসের সঙ্গে আইনি মামলায় গুগল প্রধান সাক্ষ্য দেওয়ার সময় এ মন্তব্য করেন।

স্মার্টফোন ভালো রাখা যেতে পারে রিস্টার্টের মাধ্যমে

প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, অ্যাপ ডাউনলোডের বিষয়ে গুগল আরও নিয়ন্ত্রণ চায়। সম্প্রতি সুরক্ষার জন্য সাইডলোডেড অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ স্ক্যান করা শুরু করেছে গুগল। গুগল সিইও অ্যান্ড্রয়েডের উন্মুক্ততা এবং ডিভাইসের পছন্দের বিষয়টি তুলে ধরেন। যদিও প্রযুক্তি জায়ান্টটি জানিয়েছে প্লে স্টোরে থাকা অ্যাপগুলো সবচেয়ে নিরাপদ।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে অ্যাপলও অ্যাপ সাইডলোডিংয়ের বিরোধিতা করে আসছে, তাই আইফোনে কেবল তাদের নিজস্ব স্টোর ছাড়া বাইরে থেকে অ্যাপ ইনস্টল করা যায় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *