শুঁয়োপোকার স্পর্শে আর রক্ষা নেই কেন?
শুঁয়োপোকার স্পর্শে আর রক্ষা নেই কেন?
জুন, জুলাই, আগস্ট- এই তিন মাসে গাছে, সবজি কিংবা বাড়ির দেয়ালে শুঁয়োপোকাদের দেখা বেশি মেলে। মানুষের দেহের কোনো অংশে শুঁয়োপোকার উপরিভাগের অংশটুকু লাগলে আর রক্ষা নেই। যেখানে লাগবে সেখানে তো জ্বলবে, গা চুলকাতে থাকবে আবার সেই চুলকানি সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়বে। শুঁয়োপোকাদের গায়ে বা দেহের কোনো অংশে লাগলে জ্বালা করে কেন?
শুঁয়োপোকাদের সারা শরীর ছোট ছোট কাঁটার মতো দেখতে রোঁয়ায় ঢাকা থাকে।
এই রোঁয়ার ভেতরটা ফাঁপা, তার ভেতরে থাকে বিষ। আবার রোঁয়ার গোড়ায় চামড়ার ভেতরেও রয়েছে বিষের থলি। শুঁয়োপোকা গায়ে বা দেহের কোনো অংশে লাগলে তাদের রোঁয়াগুলো এবং রোঁয়ার সঙ্গের বিষের থলি
শুঁয়োপোকার গা থেকে খুলে পড়ে এবং মানুষের গায়ে আটকে যায়। হিস্টামিন নামের এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে শুঁয়োপোকার রোঁয়া এবং বিষের থলিতে।
বরফের তৈরি ঘরকে কি বলে
হিস্টামিন নামের এই রাসায়নিক পদার্থটির জন্যই রোঁয়া গায়ে বা দেহের কোনো অংশে লাগার সঙ্গে সঙ্গে জ্বলুনি শুরু হয়, চামড়া ফুলে যায় এবং চুলকানি হয়। চুলকানির সঙ্গে বিষের থলিতেও চাপ পড়ে ও বেশি করে বিষ ঢুকে পড়ে দেহের ভেতরে। ফলে জ্বলুনি ও চুলকানি আরো বেশি বাড়তে থাকে।
চুলকানোর কারণেই রোঁয়ারগুলোও সারা দেহে ছড়িয়ে পড়ে। এবং সারা দেহে চুলকানির শুরু হয় ও ধীরে ধীরে চামড়া ফুলে ওঠে। যতক্ষণ বিষের চিহ্ন থাকে ততক্ষণ জ্বলুনিও থাকে। এবং ধীরে ধীরে জ্বালা কমে আসে।
সূত্র:- ভূপেন্দ্রনাথ সান্যাল/প্রাণিবিজ্ঞান।
Pingback: চাঁদে কে তুলেছিল অলড্রিনের ছবি? - amaderkhabar
Pingback: মোমবাতির দহন বিক্রিয়া - amaderkhabar
Way
Thank U