স্বাস্থ্য ও পুষ্টি

পালং শাকের পুষ্টিগুণ

শাক মানুষের শরীরের জন্য খুবই ভাল। আসসালামু আলাইকুম পালং শাকের পুষ্টিগুণ বিষয়ে জানার জন্য আমাদে খবর ওয়েবসাইট জিজিট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকে উক্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করি আপনাদের  উপকারে আসবে।রোজ খাবারে বেশি করে শাকসব্জি রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। শীতের এই মরসুমে বাজারে শাকপাতার ছড়াছড়ি। সারা বছর পাওয়া গেলেও শীতের মরসুমে টাটকা পালং শাকের কথাই আলাদা।

পালং শাকের পুষ্টিগুণ

পালং-শাক, যা পোঁটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সির সম্মিলিত এক অত্যন্ত সুস্বাস্থ্যকর শাক। এই শাকে যে সময় প্রচুর পরিমাণে শাক খাওয়া হয়, তখন এটি সম্পূর্ণ পোষণমূলক হয়ে উঠে।

 

পালং শাকের উপকারিতা

পালং-শাকে প্রচুর পরিমাণে পোঁটাশিয়াম থাকে, যা হৃদয়ের সুস্থতা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি আয়রনের খোব একটি উৎস হিসেবে কাজ করে, যা অ্যানেমিয়া রোগে সাহায্য করতে পারে। পালং শাকে ক্যালসিয়াম থাকার কারণে হাড় ও দাঁতের সুস্থতা উন্নত হয়ে উঠে। এটি ভিটামিন এ এবং সি দ্বারা ত্বকে চমৎকার স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বলতা উন্নত করে এবং রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

এই সময়ে শরীর চাঙ্গা রাখতে, সর্দি-কাশি ঠেকিয়ে রাখতে রোজের খাবারে পালং শাক রাখতে পারেন। শীতকালে রোজ নিয়ম করে পালং শাকের রস খেলে কী হয় জেনে নিন

# গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পালং শাকে থাকা বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরকে ক্যানসারমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে এই শাক প্রস্টেট ক্যানসার রোধে খুবই কার্যকর।

# উপাদান উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। পাল‌ং-শাকে নাইট্রেট থাকে; এই যৌগ রক্তবাহগুলির মুখ প্রসারিত করে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে বেশ সাহায্য করে।

আরও পড়ুন: অপুষ্টির লক্ষণগুলো কি কি

# লুটিন আর কেরোটিনয়েড রয়েছে পালং শাকে। এই দু’টি উপাদান খুবই কার্যকর দৃষ্টিশক্তির উন্নতি করতে।

# হিমোগ্লোবিন কমে গেলেও সাহায্য করতে পারে পালং শাক। এই শাকে উপস্থিত ফোলেট খুবই দ্রুত বাড়াতে পারে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা।

পালংশাকের একটি জাতের নাম কি

পালং শাক একটি বিশাল ও উদ্ভিদের জাতি, এবং এটির বিভিন্ন জাতির মধ্যে একটি পরিচিত ও ব্যপক জাতি হলো “পাক শাক”। এই জাতিটি প্রধানত এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকার অঞ্চলে উপজীবী হয়ে থাকে। এই জাতির উদ্ভিদের পাতা শখের জন্য ব্যবহৃত হয়, এবং তাদের পোষণমূলক মান ও বৈচিত্র্যের জন্য পুরাতাত্ত্বিক এবং স্থানীয় খাদ্য সাধারণ রূপে ব্যবহৃত হয়।

পালং শাকের রেসিপি

এটি রুচিশীল রেসিপিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটির একটি মজাদার রেসিপি হলো “পালং শাকে ভাজি”।

উপকরণ:

  1. পালং শাক – ২৫০ গ্রাম
  2. তেল – ২ টেবিল চামচ
  3. কাচা মরিচ – ১ টা (সাইজ অনুসারে কাটতে হবে)
  4. আদা বাটা – ১ চা চামচ
  5. জিরা গুঁড়া – ১/২ চা চামচ
  6. সাদা লবণ – স্বাদ অনুযায়ী

নির্দেশাবলী:

  1. পালং শাক ধুয়ে ভাল করে শুকিয়ে নিন।
  2. একটি পাত্রে তেল গরম করে আদা বাটা এবং জিরা গুঁড়া দিন।
  3. এবার কাচা মরিচ এবং পালং শাক যোগ করে দিন।
  4. সাদা লবণ দিয়ে মিশ্রণটি নিন এবং হাঁড়ি করে নিন।
  5. পালং শাক নরম হয়ে গিয়ে তার উপর ঢাকা দিয়ে ঢেকে দিন, মাঝেমধ্যে মিশ্রণটি চেক করে নিন।
  6. মিশ্রণটি কিছুটা শুকিয়ে এলে তা নামিয়ে নিন। পালং শাকের ভাজি তৈরি!

3 thoughts on “পালং শাকের পুষ্টিগুণ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *