পুরনো স্মার্টফোন বিক্রির আগে
পুরনো ফোন বিক্রি করার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখতেই হবে। স্মার্টফোনের স্টোরেজে ছবি, ভিডিওসহ অসংখ্য মাল্টিমিডিয়া আধেয় বা কনটেন্ট থাকে। অনেক অ্যাপ দিয়েই অনেক তথ্য উদ্ধার করা যায়, তাই ডাটা মুছে নিন।
পুরনো স্মার্টফোন বিক্রির আগে
পুরনো ফোন পড়ে আছে, কিছু টাকা সংগ্রহের আশায় তা বিক্রি করে দেন। আপনাকে পুরনো ফোন বিক্রি করার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখতেই হবে।
গ্যালারি খালি করুন:- আপনার পুরনো স্মার্টফোনের স্টোরেজে ছবি, ভিডিওসহ অসংখ্য মাল্টিমিডিয়া আধেয় বা কনটেন্ট থাকে। তাই ব্যাকআপ নেওয়ার সময় আগে দেখুন কোনগুলো রাখবেনই। এবং যেগুলো লাগবে না ডিলেট করে দিন।
সব ডাটা রেকর্ড:- আপনার পুরনো স্মার্টফোনে সব কল রেকর্ডস ও বার্তা মুছে ফেলতে হবে। আবার কল রেকর্ডস এবং বার্তা যদি গুরুত্বপূর্ণ হয় সেগুলো আলাদা কোনো স্থানে বা ক্লাউড সেবায় সংরক্ষণ করা যেতে পারে। তবে আজকাল অনেক অ্যাপ দিয়েই অনেক তথ্য উদ্ধার করা যায়, তাই ডাটা মুছে নিন।
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যাকআপ:- প্রচুর তথ্যও থাকে হোয়াটসঅ্যাপে। তাই হোয়াটসঅ্যাপের ব্যাকআপ রাখুন গুগল ড্রাইভে। যা পরে নতুন ফোনে এই ব্যাকআপ ব্যবহার করে পুরনো তথ্য ফেরত আনা যাবে।
আরও পড়ুন: হাসনাহেনা ফুলের গন্ধে কি সাপ আসে
এক্সটারনাল ড্রাইভে ব্যাকআপ:- স্মার্টফোনে থাকা তথ্যের বাড়তি সুরক্ষার জন্য এক্সটারনাল ড্রাইভে ব্যাকআপ রাখা যেতে পারে। তবে ক্লাউড স্টোরেজে সহজে তথ্য সংরক্ষণ করা যায় এবং সেগুলোতে প্রবেশ করা যায়।
এনক্রিপশন মুছে ফেলুন:- অবশ্যই স্মার্টফোনে ফ্যাক্টরি রিসেট দেওয়ার আগে ফোনে থাকা এনক্রিপশন মুছে ফেলতে হবে। কেননা এনক্রিপশন চালু থাকলে ফ্যাক্টরি রিসেটের পরেও ফোনে প্রবেশ করা যায়।
ব্যাংকিং অ্যাপ ডাটা মুছে ফেলুন:- ব্যাংক ও আর্থিক সেবার অ্যাপে; অর্থসংক্রান্ত ও ব্যক্তিগত তথ্য থাকে। আবার এসব অ্যাপে ওটিপি ছাড়া আর্থিক লেনদেন করা যায় না। আপনার পুরনো স্মার্টফোনে এসব অ্যাপ চালু থাকলে তা আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
ফ্যাক্টরি রিসেট:- পুরনো ফোন বিক্রির সময় সব তথ্য স্থায়ীভাবে মুছে ফেলতে ফ্যাক্টরি রিসেট করা প্রয়োজন। ফ্যাক্টরি রিসেট করলে ফোনে থাকা সব তথ্য মুছে যায় ও বিভিন্ন ত্রুটিযুক্ত সফটওয়্যার, ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।