বারকোড রিডার এর কাজ কি
নরম্যান জোসেফ ও বারনার্ড সিলভার বারকোড আবিষ্কার করেন। বারকোড স্ক্যানারগুলো একটু মোচড়ানো, ছেড়া বা ফাঁটা হলেও বেশ সহজেও পণ্যের তথ্য উদ্ধার করতে পারে। তবে বারকোড স্ক্যানারগুলো তিনধাপে কাজ করে। ইলুমিন্যাশন সিস্টেম, সেন্সর ও ডিকোডার।
বারকোড রিডার এর কাজ কি
সুপারশপগুলোতে কেনাকাটা শেষে লাইনে দাড়ালেন এবং একে একে নিজের কেনা জিনিসগুলো তুলে দিচ্ছেন কাউন্টারে। এখানে থাকা শপকিপার আপনার পণ্যগুলোর গায়ে ঠেঁসে ধরছে স্ক্যানার। যেমন চিপসের প্যাকেটে চেপে ধরতেই ‘বিপ’ করে একটা শব্দ ও সাথে সাথে পাশের কম্পিউটারের মনিটরে থাকা স্ক্রিনে ভেসে উঠে সব তথ্য। কোন পণ্য, পরিমান, কত দাম, কত ভ্যাট এগুলো নিয়ে যেমন কম্পিউটার আপনার রশিদ বানাচ্ছে, পাশাপাশি আবার সুপারশপের পণ্যের পরিমাণের আপডেটও রাখছে। তাই জেনে নিই চিরপরিচিত এই বারকোড স্ক্যানারের প্রযুক্তি কি?
অধিকাংশ সুপারশপেই দেশে কিংবা বিদেশে এখন ব্যবহার করা হচ্ছে এই বারকোড স্ক্যানার। এই বারকোড স্ক্যানারগুলো একটু মোচড়ানো, ছেড়া বা ফাঁটা হলেও বেশ সহজেও পণ্যের তথ্য উদ্ধার করতে পারে। কাজ ভেদে বারকোড স্ক্যানারগুলোর আলাদা আলাদা রকমফের থাকলেও সবগুলোর পেছনের প্রযুক্তি কিন্তু প্রায় একই রকম। তবে বারকোড স্ক্যানারগুলো তিনধাপে কাজ করে। ইলুমিন্যাশন সিস্টেম, সেন্সর ও ডিকোডার। বিশেষ একটি উৎস থেকে আলো বারকোডে উপরে ফেলা হয়, এবং সেখান থেকে আলো প্রতিফলিত হয়ে স্ক্যানারে ফেরত যায় এবং সেন্সর সেগুলো বুঝতে পারে।
আরও পড়ুন: সূর্য কেন মহাকাশের ঘাম ঝরাতে পারে না
এক বিশেষ মাত্রার আলোক বিম ছোড়ে লেজার স্ক্যানারগুলো। আবার যেগুলো বারকোড থেকে প্রতিফলিত হয়ে আয়নার সাহায্যে আবার বারকোডে গিয়ে পরে ও এ কারণে স্ক্যানার ধরার সাথে সাথে আলোর ঝলক তৈরি হয়। তারপর পন্যের বারকোডে থাকা ফাঁকা স্থান থেকে আসা আলোর আরেকটি ঝলক আয়নায় পড়ে। যেখান থেকে সেন্সর প্রয়োজনীয় ডিজিটাল ও অ্যানালগ তথ্য তৈরি করতে পারে। যা সাথে সাথে কম্পিউটারের স্বয়ংক্রিয় ডেটাবেজে যুক্ত হয়ে যায়।
বারকোডের খুঁটিনাটি:-
ইউনিভার্সাল প্রোডাক্ট কোড (ইউপিসি) ধরণের বারকোডগুলো সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। কালো আরা সাদা মিলিয়ে ৯৫টি কলামের এই বারকোড গুলো সবচেয়ে বেশি নিরাপদ। এই বারকোড গুলো স্ক্যানারে স্ক্যান করা হলে ১৫টি সেকশনে আলাদা আলাদাভাবে কম্পিউটার ৯৫টি সংখ্যা তৈরি করে। প্রথমে, শেষে ও মাঝে কিছু গ্রুপ রাখা হয় যেন কম্পিউটার বুঝতে পারে যে বারকোডটি বাম থেকে ডানে কিংবা উপর নিচ করে স্ক্যানারে রিড করানো হয়েছে কিনা।
বারকোড গুলোর একেবারে বামে থাকা নম্বরটি এর ধরন প্রকাশ করে। প্রথম সেটের ৫টি সংখ্যা পণ্যটির উৎপাদন নম্বর প্রকাশ করে এবং দ্বিতীয় সেটের ৫টি সংখ্যা প্রকাশ করে পণ্যটির বিপনন সংখ্যা। আবার ডানের একেবারে শেষ সংখ্যাটি জানান দেয় ‘চেক ডিজিট’ হিসাবে। তাতেই কম্পিউটার বুঝতে পারে যে বারকোডটি সঠিকভাবে স্ক্যানার রিড করতে পেরেছে।
নরম্যান জোসেফ উডল্যান্ড প্রথম বারকোডের ধারণা সামনে এনেছিলেন। নরম্যান জোসেফ ও বারনার্ড সিলভার বারকোড আবিষ্কার করেন।