কুমড়ার বীজের উপকারিতা
মিষ্টি কুমড়ার বীজে থাকা ম্যাগনেশিয়াম রক্তের শর্করার মাত্রা হ্রাস করে। মিষ্টি কুমড়ার বীজের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস কপার, ভিটামিন ই, আয়রন ও ফাইবার। একজন সুস্থ ব্যক্তি নিয়মিত একমুঠো অর্থাৎ ১৫/২০টির মতো বীজ খেতে পারবেন।
কুমড়ার বীজের উপকারিতা
শাকসবজির মধ্যে অন্যতম মিষ্টি কুমড়া, হয়তো অনেকেই জানেন না মিষ্টি কুমড়ার বীজও শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। খাওয়ার অযোগ্য ভেবে আমরা মিষ্টি কুমড়ার বীজ ফেলে দিই। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ মিষ্টি কুমড়ার বীজ হতে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ভালো উৎস।
উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের ভালো উৎস এই মিষ্টি কুমড়ার বীজ, কোনো কোলেস্টেরল নেই বলে এটি একটি নিরাপদ প্রোটিনের উৎস। এই মিষ্টি কুমড়ার বীজের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস কপার, ভিটামিন ই, আয়রন ও ফাইবার।
কতটুকু ও কীভাবে খাবেন:-
প্রচুর ক্যালরি রয়েছে এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ মিষ্টি কুমড়ার বীজ, তাই পরিমিত পরিমাণে কুমড়ার বীজ খাওয়া উপকারী। একজন সুস্থ ব্যক্তি নিয়মিত একমুঠো অর্থাৎ ১৫/২০টির মতো বীজ খেতে পারবেন।
রোদে শুকিয়ে মিষ্টি কুমড়ার বীজ সংরক্ষণ করে রাখা যায়। এই বীজ সালাদ, তরকারির মধ্যে যোগ করলে খাবারের পুষ্টিমাণ বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া মিষ্টি কুমড়ার বীজ সকাল এবং বিকালের নাস্তায় ড্রাই ফুড হিসেবে বা অল্প তেলে হালকা ভেজে খাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: নিমপাতা ও কাঁচা হলুদের উপকারিতা
উপকারিতা:-
হাড় মজবুত করে:- কুমড়োর বীজে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকায় এটি বোন ডেনসিটি বৃদ্ধি করে হাড়কে মজবুত করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:- এই বীজে রয়েছে ভিটামিন ই, জিঙ্ক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেগুলো শরীরের ইমিউনিটি বাড়াতে বেশ সাহায়ক। যেকোনো রোগ সহজে প্রতিরোধ করা যায় ইমিউনিটি ভালো থাকলে।
ওজন হ্রাস করে:- ওজন কমাতে চাইলে খাদ্যতালিকায় এটি যোগ করা উচিত, মিষ্টি কুমড়ার বীজ প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় ক্ষুধা নিবারণ করার পাশাপাশি খাওয়ার প্রবৃত্তি কমায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ:- ডায়াবেটিস রোগীরা মিষ্টি কুমড়ার বীজ গ্রহণ করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। মিষ্টি কুমড়ার বীজে থাকা ম্যাগনেশিয়াম রক্তের শর্করার মাত্রা হ্রাস করে।
হার্ট ভালো রাখে:- রক্তচাপ কমাতে মিষ্টি কুমড়ার বীজে থাকা ম্যাগনেশিয়াম বেশ ভূমিকা রাখে। খারাপ কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডও কমায় যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
ভালো ঘুম:- কুমড়োর বীজে থাকা ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো এসিড; ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া মিষ্টি কুমড়ার বীজ-
** হতাশা ও উদ্বেগ হ্রাসে সহায়ক।
** হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
** চুলে পুষ্টি যোগায় ও মজবুত করে।
** ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে ও ত্বক ভালো রাখে।
** পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়াতেও সাহায়ক।
আরও পড়ুন: বিস্কুট খেলে কি ওজন বাড়ে
সতর্কতা:-
একটি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার মিষ্টি কুমড়ার বীজ, কিন্তু অতিরিক্ত গ্রহণ করলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে-
# যাদের অ্যালার্জির সমস্যা তাদের ক্ষেত্রে মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেলে চুলকানি, ফুসকুড়ি, মাথাব্যাথার কারণও হতে পারে।
# মিষ্টি কুমড়ার বীজ অতিরিক্ত খেলে পেট ফাপা, পেটের ব্যথা, ফোলাভাব এবং কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো সমস্যা দেখা দেয়।
# মিষ্টি কুমড়ার বীজ অতিরিক্ত গ্রহণ করলে ওজন কমার পরিবর্তে বেড়ে যেতে পারে।
# হাইপোগ্লাইসেমিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি, অর্থাৎ যাদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কম তাদের মিষ্টি কুমড়ার বীজ অল্প পরিমাণে খেতে হবে।
Pingback: প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ভিটামিন ডি এর অভাবে কি রোগ হয় - amaderkhabar