ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দিয়েছে
শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে, মজবুত হাড়, দাঁতের জন্য,এমনকি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও বড় ভূমিকা রাখে ভিটামিন ডি। খাদ্যে সহজলভ্য নয় বলে অনেকের মধ্যেই এই ভিটামিনের অভাব দেখা যায়। বুঝবেন কী করে শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব আছে কি না।
অন্য সব ভিটামিনের তুলনায় ভিটামিন ডি একটু আলাদা। অন্য সব ভিটামিন খাবারে নিয়মিত পাওয়া গেলেও ভিটামিন ডি সূর্যের আলোই মূল উৎস । গবেষণামতে, প্রতি চারজনের মধ্যে একজনের শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব থাকতে পারে। কিছু উপসর্গ থেকে ভিটামিন ডি–এর অভাব বোঝা যায়। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরে কোন ভিটামিনের মাত্রা কেমন, জানাও সম্ভব।
ক্লান্তি:- ভিটামিন ডি-এর অভাব থাকলে প্রতিদিনের নিয়মিত কাজ করতে গিয়েই হাঁপিয়ে যাচ্ছেন, ক্লান্তি ভর করছে শরীরে। এমনটা দেখা যেতে পারে।
মানসিক অবসাদ:- মানসিক অবসাদের সরাসরি সঙ্গে কোন সম্পর্ক ভিটামিন ডি-এর না থাকলেও। গবেষণায় কিছুটা ইঙ্গিত মিলেছে যে ভিটামিন ডি এর অভাবে মানুষ অবসাদে ভোগে।
হাড়ের ব্যথা:- ভিটামিন ডি-এর অভাবে হাড়ের জোর কমে যাওয়া, হারের গিঁটে ব্যথা, ইত্যাদি সমস্যা দেখা যায়। ভিটামিন ডি-এর মূল কাজ হারের ক্ষয় রোধ করা। অতএব এর অভাব দেখা যাওয়া মানেই হারের সমস্যা শুরু হওয়া।
পেশিতে টান:- শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব দেখা দিলে পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। পেশির গঠন ও সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ডি। এর ফলে পেশিতে টান খাওয়া, জোর কমে যাওয়া, ইত্যাদি সমস্যাও দেখা দেয়।
চুল পড়া:- ভিটামিন ডি-এর অভাব দেখা দিলে নতুন চুল তৈরি ব্যাহত হয়। মাথার ত্বক সুস্থ রাখতে ভিটামিন ডি খুব প্রয়োজনীয়। চুল পড়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি নতুন চুল না গজায়, সে ক্ষেত্রে মাথায় টাকও পড়তে পারে।
অনিদ্রা:- নিদ্রা চক্র বজায় রাখতে মেলাটোনিন প্রয়োজন। ভিটামিন ডি মেলাটোনিন হরমোন ক্ষরণে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দিলে তাই ঘুমের সমস্যা দেখা যায়।
ডার্ক সার্কেল:- ভিটামিন ডি-এর অভাবে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে, নিদ্রা নষ্ট হয়ে যায়। টানা ঘুম কম হওয়ার প্রভাব পড়ে চোখের নিচে। কম ঘুমের প্রভাবে অনেকের চোখের নিচে কালি পড়তে দেখা যায়।
🧅🧄🥦🥬🥒
Thank U.