আন্তর্জাতিক

মিয়ানমার বিমান হামলায় নিহত ১০০

সেন্ট্রাল সাগাইং অঞ্চলে একটি কমিউনিটি হলে বিমান হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী। হামলায় অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছেন, নিহতদের মধ্যে নারী ও স্কুলছাত্রী ছিল।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে বুধবার ১২ এপ্রিল, বার্তাসংস্থা এপি জানান।

সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেন মঙ্গলবার গভীর রাতে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিরাপত্তা বাহিনী পা জি গি গ্রামে কথিত সেনা শাসনের বিরোধীদের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এ হামলা চালায়।
তিনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, নিহতদের মধ্যে কয়েকজন বেসামরিক পোশাক পরা কিছু লোক থাকতে পারে, ইউনিফর্ম পরিহিত অভ্যুত্থানবিরোধী যোদ্ধাও ছিল। তিনি কিছু মানুষের মৃত্যুর জন্য অভ্যুত্থানবিরোধীদের পুঁতে রাখা মাইনকে দায়ী করেন, যে পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস [পিডিএফ] নামে পরিচিত।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোরে জঙ্গি বিমান গুলো কমিউনিটি হলে বোমা বর্ষণের মাধ্যমে এই হামলা চালায়। বোমা বর্ষণের কিছুক্ষণ পর তারা হেলিকপ্টার থেকে গুলিও চালায়। এতে ঘটনাস্থলে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের উদ্ধার প্রচেষ্টা ব্যাহত হয়। উ নে জিন লাট এই অঞ্চলের সাবেক বিধায়ক স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইরাবতিকে জানিয়েছেন, শিশু, নারী ও স্কুলছাত্রী সহ অনেক সাধারণ লোক নিহত হয়েছেন। প্রথম দিকে হতাহতের সংখ্যা ৫০ জনেরও বেশি ছিল, পরে এই সংখ্যা বাড়বে।

পা জি গি-এর বাসিন্দা কো অং হামলার পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন। তিনি বলছিলেন আতঙ্কিত হয়েছিলাম মাটিতে ছড়িয়ে থাকা মরদেহগুলো দেখে, মোটরবাইক গুলোও পুড়ছিল। বোমা হামলায় বাড়িটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। মানুষ তাদের স্বজনদের খুঁজতে গিয়ে কাঁদছিল।

যে শর্তে ঋণ দিল সৌদি আরব

কো অং আরও বলেছেন, এই হামলায় আত্মীয় স্বজনদের হারিয়েছেন। এম আই-৩৫ হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছুড়তে শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তিনিও লুকিয়ে ছিলেন একটি কংক্রিটের সেতুর নিচে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *