আর্মেনিয়া সরকারের ব্যর্থতায় প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি
আর্মেনিয়া সরকারের ব্যর্থতায় প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি
সংঘাত বন্ধে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে আজারবাইজান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে এতে খেপেছেন আর্মেনিয়ার বিক্ষোভকারীরা। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী আর্মেনিয়ার রাজধানীতে জড়ো হয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন। বিক্ষোভকারীরা এই ঘটনাটিকে আর্মেনিয়া সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে মনে করছেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাজধানী ইয়েরেভানের কেন্দ্রস্থলে রিপাবলিক স্কয়ারে জড়ো হয় বিক্ষোভকারীরা। তারা প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের পদত্যাগের দাবি করেন। তারা বলছেন, আজারবাইজানের কাছে পরাজিত হয়েছে আর্মেনীয় সরকার। ২০২০ সালে দুই পক্ষের মধ্যকার যুদ্ধে আজারবাইজানের কাছে পরাজয় এবং এখন কারাবাখে আর্মেনীয় কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত পতনের জন্য তাকেই দায়ী করা হচ্ছে। এদিকে বিরোধী রাজনীতিবিদরাও নিকোল পাশিনিয়ানের নিন্দা জানিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।
নিকোল পাশিনিয়ান ২০১৮ সালে এক বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। বিক্ষোভের সময় বিরোধী রাজনীতিবিদ আভেতিক চালাবিয়ান বলেন, রাশিয়া হাত সরিয়ে নিয়েছে, আমাদের কর্তৃপক্ষও আর্তসাখ পরিত্যাগ করেছে। শত্রুরা এখন আমাদের ঘরের সামনেই। সুতরাং জাতীয় নীতি পরিবর্তনের জন্য আমাদের অবশ্যই সরকার পরিবর্তন করতে হবে। এদিকে আইনপ্রণেতা ইশখান সাঘাতেলিয়ান, পার্লামেন্টে বিরোধী দলকে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু করার আহ্বানও জানিয়েছেন।
স্থানীয় সময় গত বুধবার, আজারবাইজান নাগোরনো-কারাবাখে অভিযান স্থগিত করেছে। এর আগে ঐ অঞ্চলে সামরিক অভিযান চালায় আজারবাইজানের সেনাবাহিনী। আজারবাইজানের পক্ষ থেকে সেখানে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে দাবি করা হয়। বিচ্ছিন্ন ঐ অঞ্চলের চারপাশে বিগত কয়েক মাস ধরেই উত্তেজনা বেড়ে গেছে। প্রায় ৩ বছর আগেও সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। নাগোরনো-কারাবাখকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়া অন্তত ২ বার সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে।
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন
দেশ দুটি ১৯৯০-এর দশকের শুরুর দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর প্রথম বার যুদ্ধে জড়ায়। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত এই দেশ দুটি বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে ২০২০ সালে প্রাণঘাতী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। সেনাবাহিনীর মধ্যকার সংঘাতে সে সময় দুই পক্ষের সাড়ে ছয় হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে। পরবর্তীতে আর্মেনিয়া ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়ার হস্তক্ষেপে শান্তিচুক্তিতে সম্মত হয়। নাগোরনো-কারাবাখে কয়েক হাজার শান্তিরক্ষী মোতায়েন করে রাশিয়া। তবে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সেখান থেকে শান্তিরক্ষীদের প্রত্যাহার করে নেয় রাশিয়া।
আর্মেনিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঐ অঞ্চলে সংঘাতে কমপেক্ষ ৩২ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জন বেসামরিক নাগরিকও রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরো প্রায় দুই শতাধিক মানুষ। তবে বিচ্ছিন্নতাবাদী এক আর্মেনীয় মানবাধিকার কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সেখানে কমপক্ষে ২০০ মানুষ নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরো চার শতাধিক মানুষ। এই সংখ্যা যাচাই করা এখনো সম্ভব হয়নি।
Pingback: ইউক্রেন যুদ্ধে ইউরোপজুড়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমেছে - Amader Khabar