স্পোর্টস বাইকপ্রেমীদের দামি মোটর বাইক
স্পোর্টস বাইকপ্রেমীদের দামি মোটর বাইক
একটি বাহন নয়, শখ এবং নিজের স্বকীয়তার বহিঃপ্রকাশও ঘটায় মোটরবাইক। মোটরসাইকেল বা মোটরবাইক দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর পাশাপাশি যানজটের শহরে স্বল্প জায়গায় যেকোনো দূরত্ব পাড়ি দিতে যে বাহন পছন্দে সবার শীর্ষে। দেশে মোটরবাইকের বাজারও সমৃদ্ধ হয়েছে। অনুমোদিত বিক্রয়কেন্দ্রে ৬ লাখ টাকার বেশি মূল্যের মোটরবাইক মিলছে। মোটরসাইকেল কয়েকটি শ্রেণিতে বিভক্ত যেমন-গতি, স্বাচ্ছন্দ্য, আরাম এবং নিরাপত্তা, এর মধ্যে স্পোর্টস, রেট্রো, কমিউটার, ফুয়েল সেভার, স্কুটার/স্কুটি অন্যতম।
ইয়ামাহা আর–১৫ এম
ইয়ামাহা জাপানি অটোমোবাইলস প্রতিষ্ঠান দেশের মোটরবাইক বাজারে দীর্ঘদিন ধরেই দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করে আসছে। ইয়ামাহার মূল প্রতিষ্ঠান জাপানের হলেও দেশের বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা। এসিআই মোটরস ইয়ামাহা মোটরবাইকের অনুমোদিত পরিবেশক। ২০২২ সালে এসিআই মোটরস দেশের বাজারে নিয়ে আসে ইয়ামাহা আর-১৫ এম।
স্পোর্টস লুক, গতি এবং নিয়ন্ত্রণে বাইক প্রেমীদের মন কেড়েছে। ১৫৫ দশমিক ১ সিসির একক (সিঙ্গেল) সিলিন্ডার লিকুইড কুলড ভিভিএ ইঞ্জিনে বাইকটির সর্বোচ্চ অশ্বশক্তি (এইচপি) ১০ হাজার আরপিএমে ১৮.৪ বিএইচপি। সাত হাজার ৫০০ আরপিএমে আর–১৫ এম ১৪.২ নিউটন মিটার (এনএম) টর্ক উৎপাদন করতে সক্ষম। ছয় গিয়ারের মোটরসাইকেলটি প্রতি লিটার জ্বালানি খরচ করে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারে।
ইয়ামাহা আর-১৫ এম ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪০ কিলোমিটার গতিতে ছুটে চলতে পারে। ৪ ভাল্ভসমৃদ্ধ বাইকটিতে সামনের চাকায় টেলিস্কোপিক ইউএসডি এবং পেছনের চাকায় মনোশক সাসপেনশন ব্যবহার করা হয়েছে। ডুয়েল চ্যানেল অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম [এবিএস], টিউবলেস টায়ার, কুইক শিফটার, সাইড স্ট্যান্ড কিল সুইচ, এলইডি প্রজেকশন হেডলাইট, ডিজিটাল স্পিডোমিটার, স্মার্টফোন ব্লুটুথ সংযোগ সুবিধা ও ট্র্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেমে সমৃদ্ধ ইয়ামাহা আর ১৫এম বাইক। বাইকটির দাম ৬ লাখ টাকারও বেশি।
ইয়ামাহা আর১৫ভি৪ রেসিং ব্ল
চকচকে নীল রঙের এই বাইক দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি গতিতেও দুরন্ত। দামের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে ইয়ামাহার আরেকটি বাইক। আর ১৫ ভি ৪ রেসিং ব্লু মডেলের বাইকের দাম ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকাও বেশি। হর্স পাওয়ার বা এইচপিতে আর ১৫ এম থেকে একটু পিছিয়ে থাকলেও অন্য সব দিক থেকে আর ১৫ ভি ৪ও বাইকারদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। দশ হাজার আরপিএমে বাইকটির সর্বোচ্চ অশ্বশক্তি ১৮.৩৫ এবং সর্বোচ্চ টর্ক ১৪.১ এনএম।
আর ১৫ ভি ৪ বাইকে আর ১৫ এমের প্রায় সব সুযোগ সুবিধা মিলবে। ইয়ামাহা ভি ৪ মডেলের এই বাইকটির হেডলাইটের সঙ্গে রেসিং সংস্করণে বেশি সিসির বাইক আর ৭এর সামজ্ঞস্য রয়েছে। আর ১৫ ভি ৪ বাইকের ওজন ১৪২ কেজি। বাইকটি মাটি থেকে উচ্চতা ১৭০ মিলিমিটার। অন্য দুটি রঙেও এই বাইক পাওয়া যাচ্ছে। ইয়ামাহা আর ১৫ মডেলের বাইকগুলোকে পকেট রকেট হিসেবেও ডাকা হয়। মেটালিক রেড এবং ডার্ক নাইট রঙের বাইকটির মূল্য পাঁচ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
কেটিএম ডিউক ১২৫ ইউরোপিয়ান
কেটিএম মোটরবাইকের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে স্পোর্টস বাইকপ্রেমীদের মধ্যে। রেসিং জগতে বেশ আলোচিত অস্ট্রিয়ার বাইক নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কেটিএম। রানার অটোমোবাইল লিমিটেড বাংলাদেশের অনুমোদিত পরিবেশক। ডার্ক গালভানো ম্যাট এবং সিলভার মেটালিক ম্যাট এই দুই রঙে দেশের বাজারে পাওয়া যায়।
১২৫ সিসি শ্রেণিতে কেটিএমের রয়েছে এমন একটি বাইক, যার মূল্য ৬ লাখ টাকার বেশি। কেটিএম ডিউক ১২৫ ইইউ সংস্করণের মোটরবাইকের মূল্য ৬ লাখ ৫ হাজার টাকা। সর্বোচ্চ অশ্বশক্তি ৮ হাজার আরপিএমে ১৪.৫ পিএস, ১২৪.৭ সিসি ইঞ্জিন এবং সর্বোচ্চ টর্ক ১২ এনএম। কেটিএম ডিউকে ওয়েট মাল্টি-ডিস্ক ক্লাচ ব্যবহার করা হয়েছে। এই মোটরবাইকটি লিটার প্রতি জ্বালানিতে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারে। বাইকটির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার।
হোন্ডা সিবিআর ১৫০ আর
হোন্ডা মোটরবাইকের অনুমোদিত পরিবেশক বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড। স্পোর্টস বাইক শ্রেণিতে বাইকগুলোর মডেল সিবিআর দিয়ে শুরু হয়। দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে হোন্ডা সিবিআর ১৫০ এবিএস সংস্করণ। হোন্ডা জাপানি অটোমোবাইলস প্রতিষ্ঠান, মোটরবাইকের প্রতিশব্দ হিসেবে দেশে অনেকেই হোন্ডা বলেন, হোন্ডা দেশের বাজারে বেশ জনপ্রিয়।
জ্বালানি ট্যাংক, হরিণীর চোখের মতো হেডলাইট, উঁচুস্প্লিট সিটসমৃদ্ধ এই বাইকে ডিওএইচসি ৬ গতি বিশিষ্ট ইঞ্জিন রয়েছে। অ্যাসিস্ট বা স্লিপার ক্লাচ এবং ককপিটে বড় বড় অক্ষরের রঙিন ডিজিটাল মিটার সিবিআর ১৫০ আরও আকর্ষণীয় করেছে। হোন্ডা সিবিআর ১৫০ আর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো জরুরি ব্রেক করা হলে এতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হ্যাজার্ড বা জরুরি সংকেত জ্বলে উঠবে। ১৪৯.১৬ সিসি, প্রোগ্রামড ফুয়েল ইনজেকশন, লিকুইড কুলড উইথ অটো ফ্যান, ভিজকস পেপার ফিল্টার, টিউবলেস টায়ার এবং ডুয়েল চ্যানেল এবিএস সিবিআর ১৫০ আরকে পূর্ণতা দিয়েছে। হোন্ডা মোটরবাইকটির দাম ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
মহাকাশে ৩৬ স্যাটেলাইট পাঠালো ভারত
ইয়ামাহা এমটি-১৫ ভি ২
ইয়ামাহা এমটি ১৫ ভি ২ বাইকে রয়েছে স্মার্টফোন ব্লুটুথ সংযোগ, শিফট টাইমিং লাইট, সাইড স্ট্যান্ড ইঞ্জিন কাট অফ সুইচ, ইউনি লেভেল সিট উইথ গ্র্যাব বার এবং মাল্টি মিক্স কালার গ্রাফিকস। কিট ছাড়া যে মোটরবাইকটি দাম, গতি এবং নিরাপত্তার দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে, সেটি ইয়ামাহা এমটি ১৫ ভি২। ইয়ামাহা এমটি ১৫ ভি ২ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩০ কিলোমিটার বেগে ছুটে চলতে পারে।
প্রতি লিটার জ্বালানি খরচ করে ৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সক্ষম। ১৫০ সিসির এই মোটরবাইকটির সর্বোচ্চ অশ্বশক্তি ১৮.১ বিএইচপি এবং সর্বোচ্চ টর্ক ১৪.১ এনএম। মোটরবাইকটিতে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস রয়েছে। এর দাম ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা।