সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত
সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সক্রিয় মৌসুমি বায়ু। দেশের অন্য অঞ্চলেও মোটামুটি সক্রিয়। আর এ জন্য আজ রোববার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর এ পরিস্থিতিতে দেশের ৪ সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত আর ৭ অঞ্চলের নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলেছে ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হচ্ছে। আর এতে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগরে থাকা সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
নদীবন্দরের সতর্কবার্তায় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের দক্ষিণ অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ছয়টায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয় আবহাওয়া অফিস। সেখানে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, ও চট্টগ্রামের অধিকাংশ জায়গা, রংপুর ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গা এবং ঢাকা, রাজশাহী, ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে বরিশাল, খুলনা, ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
বিধি নিষেধ আরোপ মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের
আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের বার্তায় ৪৪টি স্টেশনের আবহাওয়া পরিস্থিতি তুলে ধরে। দেখা গেছে, গতকাল এর মধ্যে কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে ২১টি স্টেশনে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে ৭৮ মিলিমিটার হাতিয়ায়। আবহাওয়া অফিস বলেছে, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সিলেটে, ৩৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।