মেদ ঝরাতে মধুতে মজানো রসুন বিষয়ে জানার জন্য আমাদে খবর ওয়েবসাইট  ভিজিট করার জন্য স্বাগত জানায়। স্বাস্থ্য কমানোর জন্য মধু খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আজকে নিম্নোক্ত আলোচনায় বিস্তারিত জানতে পারবেন।

গাঁজানো রসুন মধুর উপকারিতা

সকালে কাঁচা রসুন খাওয়া শুরু হয় অনেক শীত পড়ার আগে থেকেই। অ্যালিসিন নামক একটি উপাদান রয়েছে রসুনের মধ্যে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রসুনের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ শরীরে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে।

শিশুদের মধু খাওয়ার উপকারিতা

শিশুদের সর্দিকাশি নিরাময়ে মধু বেশ উপযোগী। একই ভাবে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান রয়েছে মধুর মধ্যেও। তাই নিজ গুণে সমৃদ্ধ দু’টি উপাদানই। এই ২টি উপাদান যদি একসঙ্গে বিশেষ পদ্ধতিতে মজানো হয়, এর উপকারিতা বৃদ্ধি পায় কয়েক গুণ

মধু ও রসুন খাওয়ার নিয়ম

নিউমোনিয়ার মতো রোগ প্রতিরোধ করা যায় নিয়মিত মধু এবং রসুনের এই মিশ্রণ খেলে। এই মিশ্রণটি রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও দারুণ কাজ করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, শরীরে অতিরিক্ত মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে মধুতে মজানো রসুন। কিন্তু কী ভাবে রসুনের সঙ্গে মধু মেশালে তা দীর্ঘ দিন পর্যন্ত ভাল থাকবে, হয়তো অনেকেই জানেন না। সেই পদ্ধতি জেনে নিন এখানে…

উপকরণ:- ২০টি এক কোয়া রসুন, মধু ২৫০ গ্রাম, বায়ুরোধী কাচের শিশি

গাঁজানো রসুন পদ্ধতি:

# রসুনের খোসা ছাড়িয়ে নিন, তা পরিষ্কার সুতির কাপড়ে ভাল করে মুছে পরিষ্কার করুন। এবং খেয়াল রাখবেন কোন ভাবেই রসুনের গায়ে পানি না থাকে।

কিভাবে চিয়া বীজ খেতে হয়

# কাচের শিশির মধ্যে যেন পানি না থাকে, তা-ও দেখে নিতে হবে। তারপর বায়ুরোধী কাচের শিশিতে রসুনগুলি দিয়ে দিন। এবং শিশির মধ্যে মধু ঢেলে দিন। তবে রসুন যেন মধুর মধ্যে পুরোপুরি ডুবে থাকে সেই দিকে খেয়াল রাখবেন।

# এই ভাবে রেখে দিন ১ মাস । তিন দিন পর পর পরিষ্কার একটি চামচ দিয়ে রসুন নেড়ে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে কোনও ভাবেই রান্নাঘরের তাপ, সূর্যের আলো বা জলের সংস্পর্শে যেন না আসে শিশিটি।

শেষ কথা

পরিশেষে বলা যায়, মেদ ঝরাতে মধুতে মজানো রসুন উপকারিতা  কি তা আপনার এই আলোচনা থেকে বুঝতে পেরেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ সম্পূর্ণ বিষয়টি মনযোগ দিয়ে পড়ার জন্য।