স্বাস্থ্য ও পুষ্টি

মুলার পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা

#মুলায় থাকা আঁশ বা ফাইবার হজম শক্তি বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

#এটি এমন একটি খাবার ওজন কমাতে সাহায্য করে, যা প্রায় ক্যালরি ছাড়াই পেট ভরাতে সাহায্য করে।

#মুলা প্রস্রাবের সমস্যা দূর করে।

#হার্ট ভালো রাখে মুলা।

#মুলা ডায়াবেটিস রোধ করে।

#রোগ প্রতিরোধ করে মুলা।

মুলার পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা

শীতকালীন সবজি মুলা, অনেকেই এই সবজিটি খেতে পছন্দ করেন না। স্বাস্থ্য উপকারিতার কারণে মূলাকে সুপারফুড হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কেন মুলাকে খাদ্যতালিকায় যোগ করবেন তা জানানো হয়েছে ‘ইন্ডিয়া টিভি’র এক প্রতিবেদনে।

পুষ্টিতে ভরপুর:- আকারে ছোট হলেও মুলা পুষ্টিগুণে ভরপুর। মুলা ভিটামিন সি-এর একটি বড় উৎস, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং সাধারণ সর্দি-কাশির মতো অসুস্থতা থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও অন্যান্য ভিটামিন যেমন বি ভিটামিন, ফোলেট এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ মূলা।

ফাইবার:- ফাইবারের একটি দুর্দান্ত উৎস মুলা। কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা কমে নিয়িমিত মুলা খেলে। মুলায় ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান রয়েছে যা শক্তিশালী হাড় এবং দাঁতের জন্য অতি প্রয়োজনীয়।

ওজন কমায়:- এই মুলায় ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি, যার কারণে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এই সবজি দারুন উপকারী। আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ বোধ করতে সাহায্য করে মুলার মধ্যে থাকা ফাইবার, ফলে ক্ষুধা হ্রাস হয় এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে।

ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে:- গ্লুকোসিনোলেটস নামক যৌগ রয়েছে মুলাতে যা অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। এসব উপাদান স্তন ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার এবং প্রোস্টেট ক্যান্সার থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।

আরও পড়ুন: ত্বকে সরিষার তেলের উপকারিতা

হৃৎপিণ্ডের জন্য ভালো:- বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হৃদরোগ। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মুলা যোগ করলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে বেশ সাহায়ক। রক্তচাপের মাত্রা এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় মুলায় থাকা পটাসিয়াম। মুলাতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে বা কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমাতে ভূমিকা রাখে।

ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে:- ত্বক এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে মুলার মতো পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খেলে। মূলাতে থাকা ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনের জন্য অপরিহার্য।

মুলাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি থাকায় এটি আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। আবার মুলায় থাকা পানি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে শরীর ডিটক্সিফাইং করে। যার ফলে ত্বক উজ্জ্বল এবং পরিষ্কার হয়।

3 thoughts on “মুলার পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *