যারা প্রতিদিন ঠান্ডা পানিতে গোসল করেন তাদের অসুস্থতার কারণে কাজ থেকে ছুটি নেওয়ার সম্ভাবনা ২৯ শতাংশ কম। শীতে কমবেশি সবাই গোসল করতে ভয় পান বা এড়িয়ে যান। গরম পানিতে গোসলের কারণে অ্যাজমা, দাদ, সোরিয়াসিস’সহ বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ বেড়ে যায়।  চর্মরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শীতে প্রতিদিন গোসল না করলেও স্বাস্থ্যের ততটা ক্ষতি হয় না, প্রতিদিন গোসল না করলেও চলে, যদি আপনার শরীরে নোংরা না জমে।

শীতে গরম পানিতে গোসল করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়

শীতে আসলে বেশিরভাগ মানুষই সর্দি-কাশির সমস্যায় ভোগেন, এবং ঠান্ডা পানি সবাই এড়িয়ে যাওয়াটাই ভালো মনে করেন। ঠান্ডা আবহাওয়ায় বা অত্যধিক শীতে কমবেশি সবাই গোসল করতে ভয় পান বা এড়িয়ে যান। আবার গরম পানি দেখলে এ সময় সবাই স্বস্তি পান অনেকেই। গরম পানিতে বেশিরভাগ মানুষই শীতে গোসল সারেন। অনেকে আবার দু-চারদিনও গোসল না করেই পার করেন।

দিনের পর দিন গোসল না করলে কী হয়, কখনো ভেবে দেখেছেন? চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত গোসল করলে শরীর থাকে পরিষ্কার, কিংবা শরীরে জমে থাকা বিভিন্ন জীবাণু ও ময়লাও সহজে পরিষ্কার হয়ে যায়।

আবার আমেরিকার চর্মরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শীতে প্রতিদিন গোসল না করলেও স্বাস্থ্যের ততটা ক্ষতি হয় না, প্রতিদিন গোসল না করলেও চলে, যদি আপনার শরীরে নোংরা না জমে। গোসল নিয়ে বিশ্বের সব স্থানেই আছে সামাজিক ছুতমার্গ। তবে নিয়মিত গোসল না করার কথা শুনলে অনেকেই, সেই ব্যক্তিকে নোংরা মনে করেন। এটি কিন্তু একটি ভুল ধারণা।

শীতে গরম পানিতে গোসল করলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়, এমনটিই মত বিশেষজ্ঞদের। শীতের সময় অতিরিক্ত গরম পানিতে গোসলের ফলে অনেকেই আবার চর্মরোগেও ভোগেন।

বিশেষ করে শুধু গরম পানিতে গোসলের কারণে অ্যাজমা, দাদ, সোরিয়াসিস’সহ বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ বেড়ে যায়।

আরও পড়ুন: কানের ময়লা পরিষ্কারের উপায়

নিয়মিত গোসলের উপকারিতা কী?

ঠান্ডা পানিতে গোসলের যদিও কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতাও আছে। নেদারল্যান্ডসের ৩ হাজার অংশগ্রহণকারীর উপর করা গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন ঠান্ডা পানিতে গোসল করেন তাদের অসুস্থতার কারণে কাজ থেকে ছুটি নেওয়ার সম্ভাবনা ২৯ শতাংশ কম অন্যদের তুলনায়। গবেষণায় আরও জানা গেছে, ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে, তাছাড়া শরীরের প্রদাহও কমে। আবার অনেক চিকিৎসকদের মতে, ঠান্ডা পানির ঝরনা দীর্ঘায়ু বাড়ায়, এমনকি বিপাকক্রিয়াও উন্নত করে।

 

সূত্র:-ডিএনএ ইন্ডিয়া.