কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা কি
গোপন শক্তি বাড়াতে চিকিৎসকের আশ্রয় নেন বা ভায়াগ্রা সেবন করেন, তাদের বলছি-এর জন্য ভায়াগ্রা নয়, এক চামচ কালোজিরাই যথেষ্ট। নিয়মিত চায়ের সঙ্গে কালোজিরা মিশিয়ে অথবা কালোজিরার তেল মিশিয়ে পান করলে হৃদরোগে যেমন উপকার হয়, দই ও কালোজিরার মিশ্রণ প্রতিদিন ২ বার দাঁতে ব্যবহার করুন।
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা কি
প্রাচীনকাল থেকে কালোজিরা মানবদেহের বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক ও প্রতিরোধক, কালোজিয়া শুধু ছোট ছোট কালো দানা নয়, এর মধ্যে রয়েছে বিস্ময়কর শক্তি।
শুধু এখানেই শেষ নয়, কালোজিরা মাথাব্যথা, অনিদ্রা, মাথা ঝিমঝিম করা, চুলপড়া, মুখশ্রী ও সৌন্দর্য রক্ষা, অবসন্নতা-দুর্বলতা, নিষ্ক্রিয়তা ও অলসতা এবং মস্তিষ্ক শক্তি তথা স্মরণশক্তি বাড়ায়।
এ ছাড়া অনেকে গোপন শক্তি বাড়াতে চিকিৎসকের আশ্রয় নেন বা ভায়াগ্রা সেবন করেন, তাদের বলছি-এর জন্য ভায়াগ্রা নয়, এক চামচ কালোজিরাই যথেষ্ট। কারণ, কালোজিরায় এ ক্ষমতা অপরিসীম।
আরও পড়ুন: সকালে খালি পেটে গ্রিন টি খাওয়ার উপকারিতা
বিশেষজ্ঞদের মতে, কালোজিরায় রয়েছে ফসফরাস, ফসফেট, লৌহ, কার্বো-হাইড্রেট ছাড়াও জীবাণুনাশক বিভিন্ন উপাদান। কালোজিরায় ক্যান্সার প্রতিরোধক কেরোটিন ও শক্তিশালী হরমোন, প্রস্রাবসংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান, পাচক এনজাইম ও অম্লনাশক উপাদান এবং অম্লরোগের প্রতিষেধক।
তাই জেনে নিই কালোজিরায় আরও কি কি উপকারিতা রয়েছে:-
যৌন দুর্বলতা:- কালোজিরা চুর্ণ ও অলিভ অয়েল, ৫০ গ্রাম হেলেঞ্চার রস ও খাঁটি মধু ২০০ গ্রাম একসঙ্গে মিশিয়ে সকালে খাবারের পর এক চামুচ করে খান। এতে আপনার গোপন শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
চুলপড়া:- লেবু দিয়ে সব মাথা ভালোভাবে ঘষুণ। শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ১৫ মিনিট পর ও ভালোভাবে মাথা মুছে ফেলুন। মাথার চুল ভালোভাবে শুকানোর পর সম্পূর্ণ মাথায় কালোজিরার তেল মালিশ করুন। এতে ১ সপ্তাহেই চুলপড়া কমে যাবে।
মেদ ও হৃদরোগ:- নিয়মিত চায়ের সঙ্গে কালোজিরা মিশিয়ে অথবা কালোজিরার তেল মিশিয়ে পান করলে হৃদরোগে যেমন উপকার হয়, তেমনি মেদ কমে যায়।
বাত রোগ:- পিঠে বা অন্যান্য বাতের বেদনায় কালোজিরার তেল মালিশ করুন। এছাড়াও মধুসহ প্রতি দিন সকালে কালোজিরা সেবনে স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
মাথাব্যথা:- মাথাব্যথায় কপালে উভয় চিবুকে ও কানের পার্শ্ববর্তী স্থানে দৈনিক ৩/৪ বার কালোজিরার তেল মালিশ করুণ। এবং তিন দিন খালি পেটে চা চামচে ১ চামচ করে তেল পান করুন উপকার পাবেন।
ডায়াবেটিস:- কালোজিরার তেল বা কালোজিরার চূর্ণ ও ডালিমের খোসা চূর্ণ মিশ্রণ ডায়াবেটিসে বেশ উপকারী।
কফ ও হাঁপানি:- বুকে ও পিঠে কালোজিরার তেল মালিশ করুন। এ ক্ষেত্রে হাঁপানিতে উপকারী অন্যান্য মালিশের সঙ্গে এটি মিশিয়েও নেয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন: গাজরের উপকারিতা ও অপকারিতা
স্মৃতিশক্তি ও অ্যাজমায় উন্নতি ঘটে:- ১ চামচ মধুতে একটু কালোজিরা দিয়ে খেয়ে ফেলুন। এতে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়, আবার হালকা উষ্ণ পানিতে কালোজিরা মিলিয়ে ৪৫ দিনের মতো খেলে অ্যাজমার সমস্যার উন্নতি ঘটে।
অ্যাসিডিটি ও গ্যাস্টিক:- দুধ এক কাপ ও এক টেবিল চামচ কালোজিরার তেল দৈনিক তিনবার পাঁচ থেকে ৭ দিন সেবন করতে করুন এতে গ্যাস্টিক কমে যাবে।
সৌন্দর্য বৃদ্ধি:- কালোজিরা তেল ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে মুখে মেখে ১ ঘণ্টা পর সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলন উপকার পাবেন।
চোখে সমস্যা:- চোখের উভয়পাশে ও ভুরুতে রাতে ঘুমানোর আগে কালোজিরার তেল মালিশ করুণ। ১ কাপ গাজরের রসের সঙ্গে এক মাস কালোজিরা তেল সেবন করুন।
দাঁত শক্ত করে:- দই ও কালোজিরার মিশ্রণ প্রতিদিন ২ বার দাঁতে ব্যবহার করুন। দাঁতে শিরশিরে অনুভূতি ও রক্তপাত বন্ধ হবে।
আরও পড়ুন: ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমানোর উপায়
উচ্চ রক্তচাপ:- গরম পানীয় বা চা পান করবেন তখনই কালোজিরা খাবেন। গরম খাদ্য বা ভাত খাওয়ার সময় কালোজিরার ভর্তা খান রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকবে ও কালোজিরা, নিম ও রসুনের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করুণ। এটি ২/৩ দিন পরপর করা যায়।
জ্বর:- সকাল-সন্ধ্যায় লেবুর রসের সঙ্গে এক টেবিল চামুচ কালোজিরা তেল পান করুণ। আর কালোজিরার নস্যি গ্রহণ করুন জ্বরে দারুণ উপকার পাবেন।
স্ত্রীরোগ:- প্রসব ও ভ্রুণ সংরক্ষণে কালোজিরা মৌরী ও মধু দৈনিক চার বার খান।
ওজন কমায়:- যারা ওজন কমাতে চান তাদের খাদ্য তালিকায় গরম পানি, মধু ও লেবুর রসের মিশ্রণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এই মিশ্রণে কিছু কালোজিরা পাউডার ছিটিয়ে পান করে দারুণ উপকার পাবেন।
Pingback: কাঁচা হলুদ খাওয়ার অপকারিতা - amaderkhabar