মিষ্টি কুমড়ায় কোন ভিটামিন থাকে
মিষ্টি কুমড়াকে প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদানের পাওয়ার হাউস বলা যেতে পারে। পশ্চিমারা এই সবজি দিয়ে মজাদার পাই তৈরি করে, পামকিন পাই বিশ্বজুড়েই সমাদৃত। মিষ্টি কুমড়ার জুস খেলে তা শরীরে বাড়তি ক্যালরি জমা হতে বাধা দেয়। আবার ব্যায়ামের পরে মিষ্টি কুমড়ার জুস খেলে তা দারুণ কাজ করে। মিষ্টি কুমড়ার হজমে সহায়তা করে, সঙ্গে কোষ্টকাঠিন্য কমায়। প্রচুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, খনিজ লবণ, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই–এর পাশাপাশি ক্যালসিয়াম, বিটাক্যারোটিন, পটাশিয়াম, লোহা ও ফসফরাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদানেও সমৃদ্ধ এই সবজি।
মিষ্টি কুমড়ায় কোন ভিটামিন থাকে
আমাদের দেশে পরিচিত একটি সবজি মিষ্টি কুমড়া। এ সবজিটি দেখতে যতটা সুন্দর, এর উপকারিতাও ততটাই বেশি। ভর্তা, ভাজি কিংবা ঝোল করে তো খাওয়া যায়ই, পাশাপাশি মিষ্টি কুমড়া দিয়ে তৈরি করা যায় সুস্বাদু হালুয়া। যদি মিষ্টি কুমড়া খেতে পছন্দ না করেন, তাহলে আপনি অনেক স্বাস্থ্যোপকারিতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যেভাবেই খান না কেন, মিষ্টি কুমড়ার পুষ্টি উপাদান অক্ষুণ্ন থাকে। পশ্চিমারা এই সবজি দিয়ে মজাদার পাই তৈরি করে, পামকিন পাই বিশ্বজুড়েই সমাদৃত। এই সবজির খোসা থেকে বিচি সবটাই ভক্ষণযোগ্য এক কথায় মিষ্টি কুমড়া কিছুই ফেলনা নয়।
মিষ্টি কুমড়াকে প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদানের পাওয়ার হাউস’ বলা যেতে পারে। মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, খনিজ লবণ, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই–এর পাশাপাশি ক্যালসিয়াম, বিটাক্যারোটিন, পটাশিয়াম, লোহা ও ফসফরাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদানেও সমৃদ্ধ এই সবজি। এ ছাড়াও মিষ্টি কুমড়ার বিটা-ক্যারোটিন আমাদের দেহের ক্যান্সার প্রতিরোধক কোষ গঠন করে।
আরও পড়ুন: জিংক বি ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হয়
চোখের যত্নে:-
আমাদের চোখের সুস্বাস্থ্য রক্ষা করতে এককাপ পরিমাণ রান্না করা মিষ্টি কুমড়া অন্যান্য খাবার থেকে ১০০ গুণ বেশি কাজ করে। তাই চোখকে সচল ও সুস্থ রাখতে আপনার খাদ্য তালিকায় মিষ্টি কুমড়া যোগ করুন। চোখের ছানিপড়া রোধসহ বিটাক্যারোটিন ও আলফা-ক্যারোটিনের মতো ক্যারটিনয়েডসমূহ চোখের রেটিনা কোষ রক্ষা করে।
ওজন কমাতে:-
মিষ্টি কুমড়া কম ক্যালোরি এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার যা ওজন কমাতে একটি উপযুক্ত খাবার। তাছাড়াও মিষ্টি কুমড়ার উচ্চ পটাসিয়াম কন্টেন্টও খুব সুন্দরভাবে আপনার শরীরের বাড়তি মেদটুকু সযত্নে ঝরিয়ে দিতে সাহায্য করে। শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে যাহারা বিব্রত তারা নিঃসন্দেহে কুমড়া খেতে পারেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে:-
প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকায় মিষ্টি কুমড়া সহজেই হজম করতে সাহায্য করে। মিষ্টি কুমড়া হজমশক্তি বৃদ্ধি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বেশ কার্যকর।
ফ্রি রেডিকাল ড্যামেজ প্রতিরোধ করে:-
মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে প্রচুর বিটাক্যারোটিন। এই বিটাক্যারোটিন এক ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের ফ্রি রেডিকাল ড্যামেজ প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে। শরীরের ভালো কোষগুলো নষ্ট হতে শুরু করে ফ্রি রেডিকাল ড্যামেজের ফলে এবং খারাপ কোষের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। দূষণ, স্ট্রেস ও খাবারে যেসব কেমিক্যাল ও ক্ষতিকর উপাদান থাকে সেগুলোর কারণে ফ্রি রেডিকাল ড্যামেজ হতে শুরু করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি পরিমাণে থাকে সবুজ, কমলা, হলুদ রঙের সবজিতে।
ক্যান্সার দূরে রাখে:-
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ মিষ্টি কুমড়া ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এবংঅ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলেস্টেরল কম রাখতেও ভূমিকা পালন করে ও আর্টারির দেয়ালে চর্বির স্তর জমতে বাধা প্রদান করে। তাই মিষ্টি কুমড়া নিয়মিত খেলে হৃদরোগও প্রতিরোধ করা যায়।
বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না:-
আছে প্রচুর পরিমাণে জিংক ও আলফা হাইড্রোক্সাইড মিষ্টি কুমড়াতে। জিংক ইমিউনিটি সিস্টেম ভালো রাখে ও অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করতে সাহায়তা করে। আবার বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করতেও মিষ্টি কুমড়া সাহায্য করে।
চুল ও ত্বক ভালো রাখে:-
মিষ্টি কুমড়াতে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি, যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে সর্দি-কাশি, ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ভিটামিন এ ও সি চুল ও ত্বক ভালো রাখে, তাই চকচকে উজ্জ্বল চুল ও সুন্দর ত্বকের জন্য নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া খেতে পারেন।
গর্ভবতী মায়েদের জন্য:-
গর্ভবতী মায়েরা তাদের অনাগত সন্তানের সুস্বাস্থ্যর জন্য মিষ্টি কুমড়া ও এর বীজ নির্দ্বিধায় খেতে পারেন। গর্ভবতী মায়েদের রক্তস্বল্পতা রোধ করে অকাল প্রসবের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় মিষ্টি কুমড়া।
আরও পড়ুন: কাঁচা আমলকি খাওয়ার উপকারিতা
মিষ্টি কুমড়ার বিচির উপকারিতা:-
আমরা মিষ্টি কুমড়ার বিচি সবজির আবর্জনা হিসেবে ফেলে দিই। কিন্তু এটি আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী মিষ্টি কুমড়ার বিচি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। প্রোস্টেড এবং বস্নাডারের স্বাস্থ্য রক্ষায় ও কিছু কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উৎকৃষ্ট মানের এবং যথেষ্ট পরিমাণ প্রোটিন পেতে কম খরচে এটি একটি সহজলভ্য খাবার। এই বিচিতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম আছে যা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকরী, পাশপাশি হার্ট এবং মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতেও এর ভূমিকা অপরিসীম। এতে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাটি এসিড পলি আনস্যাচুরেটেড এবং মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড আছে- যা হার্ট এবং মস্তিষ্কের সুস্থতায় অত্যাবশ্যক। এছাড়াও ক্যালসিয়ামসহ অন্যান্য কিছু পুষ্টি উপাদানের শোষণেও ভূমিকা রাখে।
মিষ্টি কুমড়ার জুসের উপকারিতা:-
মিষ্টি কুমড়ায় তৈরি জুস বা রস ওজন কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে এবং এটি তৈরির পদ্ধতিও বেশ সহজ। মিষ্টি কুমড়া ছোট ছোট করে কেটে বেস্নন্ডারে দিন সঙ্গে সামান্য পানি দিন এবং এতে পরিমাণ মতো চিনি মিশিয়ে খেতে পারেন বা চিনির পরিবর্তে মধু খেলে এটি বেশি কার্যকর হবে। খুব কম পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে মিষ্টি কুমড়ায়। তাই মিষ্টি কুমড়ার জুস খেলে তা শরীরে বাড়তি ক্যালরি জমা হতে বাধা দেয়। আবার ব্যায়ামের পরে মিষ্টি কুমড়ার জুস খেলে তা দারুণ কাজ করে। মিষ্টি কুমড়ার হজমে সহায়তা করে, সঙ্গে কোষ্টকাঠিন্য কমায়।
💪💪🦾🦾🦾🦾
Thank U.