মাটিচাপা প্রবাসীর লাশ, স্ত্রী-শাশুড়ি-শ্যালিকা আটক….
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দুবাই থেকে দেশে আসার পরের দিন ১ মার্চ নিখোঁজ হন মনচুর আলম লেদু ২৬। ১৪ মার্চ মঙ্গলবার চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের পহরচান্দা ছোট ধলিবিলা পাহাড়ি এলাকার মনচুর আলম লেদু নামে ঐ প্রবাসী যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী, শাশুড়ি ও তার শ্যালিকাকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার ১৪ মার্চ সকালে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মনচুর আলম লেদু একই এলাকার নয়াপাড়ার ফয়েজ আহমদের ছেলে। আটকরা হলেন-নিহতের স্ত্রী রিনা আকতার (২৩), শাশুড়ি সায়রা বেগম (৫৫) ও তার আরেক কন্যা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায় যে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দুবাই থেকে মনচুর আলম লেদু দেশে আসেন। পরের দিন ১ মার্চ তিনি নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় তার বোন বুলবুল আকতার লোহাগাড়া থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শুরু করেন এসআই শরীফুল ইসলাম।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে মাটিচাপা অবস্থায় পাহাড়ি এলাকায় লাশ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, লোহাগাড়া থানার ওসি, পুটিবিলা ইউপির চেয়ারম্যান, এস আই শরীফুল ইসলামসহ অনেকেই। নিহতের আত্মীয় মো: ফোরকান বলেন, মনচুর আলম লেদু দুবাই প্রবাসী। শ্বশুরের পরিবারের সঙ্গে তাদের পারিবারিক বিরোধ ছিল। নিহতের বড় ভাই খোরশেদ বলেন, আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই, আমার ছোট ভাই দেশে ফেরার পরের দিন হতে নিখোঁজ হন। তার শ্বশুরবাড়ির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিরোধ ছিল। ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম মানিক জানান ঘটনাটি মর্মান্তিক। এ ঘটনায় জড়িত সকলের বিচার কামনা করছি। মনসুর আলী রেমিটেন্স যোদ্ধা ও দুবাই প্রবাসী। নিখোঁজের আগের দিন আমার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
লোহাগাড়া থানার ওসি মুুহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, মনচুর আলম লেদু নিখোঁজের ঘটনায় তার বোন বুলবুল আকতার একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ক্লু বের করে আমরা পহরচান্দা ছোট ধলিবিলা (হাসনা ভিটা) পাহাড়ি এলাকা থেকে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করি। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রিনা আকতার, শাশুড়ি সায়রা বেগম ও শালিকা রুম্মান আকতারকে আটক করা হয়। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি, এটা পরকীয়া থেকে হতে পারে। অনেকদিন ধরে তার শ্যালিকার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। এ ঘটনায় আরও তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।