আন্তর্জাতিকজাতীয়

সামিট ফর ডেমোক্রেসি, নেই বাংলাদেশ

আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে সামিট ফর ডেমোক্রেসি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের উদ্যোগে। প্রতিবেশী মালদ্বীপ, নেপাল, ভারত ও পাকিস্তানকে এই সাটিতে আমন্ত্রণ জানানো হলেও বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায়নি বাইডেন প্রশাসন। অনুষ্ঠানটির সহ আয়োজক ৫টি দেশ তারা হলো যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস, কোরিয়া, কোস্টারিকা ও জাম্বিয়া। এ নিয়ে দুইবার এই সামিটে আমন্ত্রণ পেলো না বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় আজ যৌথ উদ্বোধনী বক্তব্য রাখবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুত্তি, কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়োল, কোস্টারিকার প্রেসিডেন্ট রড্রিগো চ্যাভেজ রোবলস ও জাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হাকাইন্ডে হিচিলেমা।

সকাল ৬টা ১০ মিনিটে প্রেসিডেন্ট ইয়ুনের আয়োজনে শুরু হবে প্লিনারি অন ডেমোক্রেসি ডেলিভারিং ইকোনমিক গ্রোথ অ্যান্ড শেয়ারড প্রোসপাররিটি শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে বক্তব্য রাখবেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিওকোস মিটসোতাকিস, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুতো, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তিমুর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস-হোর্তা, বোতসোয়ানার প্রেসিডেন্ট মোকউটসি, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেঁ প্লেনকোভিচ, দিনভর আয়োজন করা হয়েছে নানা কর্মসূচি। ২৯, ৩০ মার্চ এই দু’দিন হবে এই সামিট।

যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসগুলো যেনো বিভিন্ন দেশের সুশীল সমাজ ও মানবাধিকার কর্মীদের সমর্থন দিতে পারে সে জন্য বিশেষ নীতিমালা তৈরি করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। এছাড়া মানবাধিকার কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশ্বজুড়ে কূটনৈতিক মহলের সঙ্গে নানাভাবে যুক্ত হয়েছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে উচ্চ পর্যায়ের নানা সম্মেলনে মানবাধিকার প্রসঙ্গ তোলা হয়েছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথম সম্মেলনের পর যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার রক্ষাকারীদের সাহায্য করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।

বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান, কর্মীদের আরও কার্যকরিভাবে কাজ করে যাওয়া নিশ্চিত করতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে ইউএসএইড। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা করতে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরে ন্যায়বিচার নিশ্চিতে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়াও বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার কর্মীদের প্রতি সহযোগিতা বৃদ্ধির নতুন সব পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে ইউএসএইড।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *