ফল ও সবজি ধোবেন যেভাবে
ফল ও সবজি থেকে আমরা বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন পেয়ে থাকি যা আমাদের দেহের জন্য অপরিহার্য। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শরীরের সঠিক গঠনের জন্য ফল ও সবজির কোন তুলনা নাই। ফল ও সবজি পুষ্টিতে সমৃদ্ধ হলেও সংরক্ষণ, পরিবেশন ও ত্রুটিপূর্ণ রান্নার খাবারের প্রকৃত গুণাগুণ থেকে আমরা বঞ্চিত হয়ে। তাজা অবস্থায় ফল-সবজি খেলে তাতে খাদ্যমান বেশি পাওয়া যায়।
সব রকম ফলে ও শাকসবজিতে যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন সি পাওয়া যায়, তবে রান্না করার সময় তাপে প্রায় ৮০ শতাংশ ভিটামিন ‘সি’ নষ্ট হয়ে যায়। কাজেই সালাদ হিসেবে শাকসবজি খেলে ভিটমিন ‘সি’ সহ আরো কিছু উপাদানের ভিটামিন ও মিনারেলস পুরো উপকার পাওয়া যায়। যদি এই ফল ও সবজি ভালো মতো পরিষ্কার না করা হয় তাহলে উপকারের বদলে ক্ষতি হতে পারে। তবে ফল ও সবজির উৎপাদন প্রক্রিয়া বাড়ানোর জন্য অনেক রকমের সার ব্যবহার, কীট পতঙ্গ থেকে বাঁচাতে বিভিন্ন কীটনাশকও ব্যবহার করা হয়। এই সমস্ত উপাদান আমাদের দেহে প্রবেশ করে নানা ক্ষতি ঘটাতে পারে। তাই খাবারের আগে এবং সবজি রান্না করার আগে ভালো মতো ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তবে যাদের সবজি কাঁচা খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে তাদের হালকা সেদ্ধ করে খাওয়াই উত্তম।
যেভাবে ফল ও সবজি পরিষ্কার করবেন:
১. বাজার থেকে কেনা ফল বা সবজি খাওয়ার আগে যেমন ধুয়ে নিতে হবে। নিজের হাতের প্রতিও ততটাই খেয়াল রাখতে হবে কিন্তু। হাত না ধুয়ে কিন্তু খাওয়া ঠিক হবে না।
২. বাজার থেকে কেনা শাক বা সবজি, বাজার থেকে এনেই ঠান্ডা জলে বেশ কিছু ক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে। তার পর পানি থেকে তুলে শুকনো করে, তবেই ফ্রিজে তোলা যাবে।
৩. বাজার থেকে কেনা সবজি বা ফলের খোসা ছাড়ানোর আগে ভাল ভাবে ধুয়ে নিন। কাটার পর চাইলে আবার ধুয়া যেতে পারে।
৪. ফলমূল, শাক সবজি ধোয়া, বাছা, শুকনো করার পর নিজের হাত ও ঘরের যেখানে সেগুলি রেখেছিলেন সেখানটাও ভাল করে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৫. নরম ফল বা সবজি ধোয়ায় একটু বেশিই সতর্ক থাকতে হবে।
৬. মূল বা কন্দজাতীয় সব্জি যেহেতু বেশির ভাগই মাটির তলায় থাকে, তাই সেগুলি কলের পানিতে ভাল করে ঘষে ঘষে ধুতে হবে। যাতে গায়ে কোনও ভাবেই মাটি না লেগে থাকে।