মান্দারবাড়িয়া সৈকতে বাড়ছে পর্যটক,
ভ্রমণের উত্তেজনাকে আরও চাঙ্গা করে সৈকতের বুকে হরিণ আর বাঘের পায়ের ছাপ। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বড় সমুদ্রসৈকত বলা হয় সাতক্ষীরা জেলায় শ্যামনগর উপজেলার মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতকে। সাতক্ষীরা জেলায় বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রসৈকতে গরম পড়ার সাথে সাথে বাড়ছে ভ্রমণ পিপাসুদের পদচারণা।
একদিকে বঙ্গোপসাগরের জলরাশির গর্জন ও অন্যদিকে গহীন সুন্দরবন দেশি ও বিদেশি পর্যটককে টানছে এই সৈকতে। সৈকতের বুকে হরিণ আর বাঘের পায়ের ছাপ ভ্রমণের উত্তেজনাকে আরও চাঙ্গা করবে। মান্দারবাড়িয়া সমুদ্রসৈকতে আসা ভ্রমণ পিপাসুরা বলেন, এখানে এসে একসাথে সমুদ্রসৈকত আর তার পাশে গহীন সুন্দরবন দেখা হলো। দুটোই আমাদেরকে মুগ্ধ করে দিয়েছে। আমি এখানে প্রথম এসেছি আমার খুব ভালো লাগছে। বঙ্গোপসাগরে তীরে এই সৈকতের বিশাল বড় বড় ঢেউ দেখতে অনেক আনন্দিত হচ্ছি।
সৈকতে ঘুরতে আসা ইকবাল হোসেন বলেন, আমি পরিবার-পরিজন নিয়ে চলে এসেছি সমুদ্রে জলকেলিতে।
পর্যটকদের অনেকেই বললেন, সাতক্ষীরাতে কক্সবাজারের মতো এমন বড় সমুদ্র সৈকত আছে তা জানা ছিল না তাদের কারোরই।
পর্যটক আকর্ষণে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি জরুরি জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এখানকার যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক খারাপ। কোনো পর্যটক বাইরে থেকে আসলে থাকা-খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। আমরা সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করি আমাদের এই মান্দাবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য। আমাদের এই মান্দাবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে দিনে দিনে অনেক দেশি-বিদেশি পর্যটক ভিড় করবে।