বাঙ্গি খাবেন কেন?
অতি পরিচিত ফল বাঙ্গি, এটি ফুটি নামেও যথেষ্ট পরিচিত। তবে অনেকে খেতে আগ্রহ দেখান না ফলটি মিষ্টি কম হওয়ায় কারণে। অথচ বাঙ্গি পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল। পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীর ঠাণ্ডা রাখার পাশাপাশি পানিশূন্যতা দূর করে এই ফল। এ ছাড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে বাঙ্গি।
পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে, রমজানে সতেজতা আনতে বাঙ্গির জুড়ি নেই। তাই ইফতারের টেবিলে এটি রাখতেই পারেন। পবিত্র রমজান মাসের রোজা এবার গরমকালে রাখতে হচ্ছে। তাপদাহের এ মৌসুমে সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে প্রশান্তি দেবে এমন খাবার রাখা জরুরি।
বাঙ্গির স্বাস্থ্য উপকারিতা:-
# বাঙ্গিতে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ ভিটামিন সি ও বিটাক্যারোটিন। এ দুটোর সংমিশ্রণ শরীরের কাটাছেঁড়া দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি ত্বকে বয়সের ছাপ এবং ত্বক কুচকে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
# বাঙ্গি শরীরের ওজন কমাতে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকা অনেক। বাঙ্গিতে চর্বি বা কোলস্টেরল নেই। বাঙ্গি খেলে মুটিয়ে যাওয়ারও ভয় নেই। এতে চিনির পরিমাণ খুবই কম। তাই বাঙ্গি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য যথেষ্ট উপকারী। বাঙ্গিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ বা ডায়াটারি ফাইবার, যা খাবার হজমে সাহায্য করে, বাঙ্গি কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর করে।
# বাঙ্গি বিশেষ উপকারী গর্ভবতী মায়েদের জন্যও। বাঙ্গি অ্যাসিডিটি, আলসার, নিদ্রাহীনতা, ক্ষুধামন্দা, হাড়ের ভঙ্গুরতা রোধ করে। এছাড়াও ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড যা রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। মানসিক অবসাদ দূর করার ক্ষমতাও রয়েছে এই বাঙ্গিতে।
# বাঙ্গি গরম ও অতিরিক্ত রোদের জন্য হয় সানবার্ন, সামার বয়েল, হিট হাইপার পাইরেক্সিয়া বেশ সহায়ক। বাঙ্গি এই সমস্যাগুলো প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
# বাঙ্গির অক্সিকাইন নামক উপাদান কিডনিতে পাথর তৈরি হতে বাধা দেয় এবং কিডনি সুস্থ রাখে। বাঙ্গিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
# বাঙ্গি এমনিতে খেতে খুব একটা পছন্দ করেন না যাহারা, তার কিন্তু পুষ্টিগুণ পেতে বাঙ্গির শরবত খেয়ে নিন।
# বাঙ্গি ধূমপানে ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুস চাঙা করতেও সাহায়ক। নিয়মিত ধূমপানের ফলে শরীর থেকে ভিটামিন এ কমে যায়, যা পূরণ করে দিতে পারে এই বাঙ্গি। হার্ট ও ফুসফুসের স্বাস্থ্যের জন্যও বাঙ্গি উপকারি। বাঙ্গি অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যের কারণে ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করে। এমনকি বাঙ্গিতে রয়েছে অ্যাডিনোসিন যা রক্ত পাতলা করে যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
🫒🫒🫒🫒🫒
Thank U.