বার্সার ট্রফি জয়ের নায়ক ইয়ামাল
বার্সার ট্রফি জয়ের নায়ক ইয়ামাল
সর্বশেষ ১১ বছর আগে হেরেছিল হোয়ান গাম্পার ট্রফিতে বার্সেলোনা। গতকালও সেই হারের সম্ভাবনা উঁকি দিয়েছিল। টটেনহামকে শেষ পর্যন্ত ৪–২ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বার্সা।
কৈশোর না পেরোনো সেই ফুটবলারের নাম নামিনে ইয়ামাল। গত মৌসুমে লা লিগায় বার্সার হয়ে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়ের রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। বার্সার টানা ১১ বারের মতো ট্রফি জয়ের ‘নায়ক’ ১৬ বছরের এক কিশোর। বার্সা যখন ২–১ গোলে পিছিয়ে ম্যাচে হারের পথে ঠিক তখনই বদলি নেমে ইয়ামাল মোড় ঘুরিয়ে দিলেন।
ইয়ামাল ৮০ মিনিটে বদলি নামার এক মিনিট পরেই দলকে সমতায় ফেরানো দুর্দান্ত এক পাস দিলেন। ইয়ামাল ডান প্রান্ত থেকে বাড়ানো বলে শুধু পা লাগানোর কাজটুকু করেন ফেরান তোরেস। ইংলিশ ক্লাবকে ম্যাচ সমতায় ফেরার পর থেকে ছিটকে দেয় বার্সা। ছিটকে দেওয়ার পেছনেই ইয়ামালের অবদান। ম্যাচের শেষ ১৫ মিনিটে ৩ গোল পায় জাভি হার্নান্দেজের দল। গোল না পেলেও তাঁর নামার পর থেকেই লাগাতার আক্রমণ করতে থাকে কাতালান ক্লাব। সমতাসূচক গোলের পর ৯০ মিনিটে ম্যাচে এগিয়ে যায় বার্সা। বদলি নামা আনসু ফাতি তোরেসের সহায়তায় গোলটি করেন। স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ফাতি গোল করার আগে তোরেসকে যখন ইয়ামাল পাস দেন, তখন প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারকে. দুর্দান্ত ডামিতে বোকা বানান উদীয়মান এই উইঙ্গার। পরে অতিরিক্ত সময়ে টটেনহামের গোবারে শেষ পেরেক মারেন আবদে এজ্জালজুলি।
অলিম্পিক স্টেডিয়ামে শুরুতেও এগিয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনা। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই দলকে এগিয়ে দেন রবার্ট লেভানডফস্কি। কিছুক্ষণ পর ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় টটেনহাম। ২৪ মিনিটে দলের সমতাসূচক গোলের পর লিডও এনে দেন রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার অলিভার স্কিপ। দলের ও নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ৩৬ মিনিটে। অলিভার স্কিপ জোড়া গোলেই ৮০ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে ছিল টটেনহাম। ইংলিশ ক্লাবটি ম্যাচ জয়েরও আশা দেখছিল । ১৬ বছরের ইয়ামাল নামার পর পরেই পুরো চিত্র বদলে যায় ম্যাচের।
ইতালি ভিসা আবেদন ফেব্রুয়ারি
সাবেক সভাপতি হোয়ান গাম্পারের নামে করা টুর্নামেন্টে বার্সা ৪–২ গোলে চ্যাম্পিয়ন হয়। সর্বশেষ ২০১২ সালে ইতালির ক্লাব সাম্পদোরিয়ার কাছে ১–০ গোলে হেরেছিল বার্সা। বার্ষিক এই ম্যাচে ভিন্ন ভিন্ন দলের সঙ্গে খেলে কাতালান ক্লাব। আগে টুর্নামেন্টের আদলে শুরু হলেও এখন অবশ্য নতুন মৌসুমের আগে বার্সা এটিকে একটি ম্যাচে পরিণত করেছে। এরপর থেকে টানা ১১ বার জিতল তারা।