দুর্গাপূজা উদযাপনে ডিএমপির নির্দেশনা
দুর্গাপূজা উদযাপনে ডিএমপির নির্দেশনা
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করতে ২২টি নির্দেশনা দিয়েছে। যার মধ্যে প্রতিটি পূজামণ্ডপ বা মন্দিরে রাতে ভিডিও ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন। ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণের ব্যবস্থাসহ নানা বিষয় রয়েছে।
গত মঙ্গলবার ১০ অক্টোবর, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এসব নিরাপত্তা নির্দেশনাসমূহ মেনে চলার অনুরোধ করা হয়।
ডিএমপির নির্দেশনা বলা হয়েছে, পূজার দিনগুলোতে প্রত্যেক মণ্ডপে স্থায়ীভাবে পুলিশ ও আনসার মোতায়েনের পাশাপাশি পুলিশি টহল বৃদ্ধিসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন ও গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি রোধের বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শারদীয় দুর্গাপূজার নিরাপত্তার সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে ডিএমপি। ডিএমপির গৃহীত পদক্ষেপের পাশাপাশি সর্বস্তরে সচেতনভাবোধ তৈরি করা গেলে পুলিশ ও পূজা উদযাপন কমিটি ও ভক্তদের যৌথ উদ্যোগ বা অংশগ্রহণে উৎসবমুখর, নিরাপদ পরিবেশে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ধর্ম যার যার, উৎসব সবার এই বাণীকে আরও সমুন্নত করা সম্ভব হবে।
ডিএমপির নির্দেশনা:-
# পূজামণ্ডপ বা মন্দিরে রাত্রিকালীন ভিডিও ধারণ, ক্ষমতাসম্পন্ন পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা।
# পূজামণ্ডপের জন্য নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ এবং স্বেচ্ছাসেবকদের আলাদা পোশাক, দৃশ্যমান পরিচয়পত্র ও আর্মড ব্যান্ড নির্ধারণ করে দেওয়া। তাদের নামের তালিকা স্থানীয় থানায় প্রেরণ করা ও থানার অফিসারের উপস্থিতিতে স্বেচ্ছাসেবকদের ব্রিফিং করার ব্যবস্থা করা।
# যেসব মণ্ডপে সীমানা দেয়াল নেই সেসব ক্ষেত্রে বাঁশের শক্ত বেড়া নির্মাণ এবং নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক প্রবেশ গেটের ব্যবস্থা করা। প্রবেশ ও বাহির গেট মজবুতভাবে স্থাপন করা।
# পুলিশ কর্মকর্তা, স্থানীয় কাউন্সিলর ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সমন্বয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা কমিটি গঠন করা এবং তাদের নাম ও মোবাইল নম্বর সম্বলিত ব্যানার দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা।
# সচেতনতামূলক নির্দেশনা প্রচারের ব্যবস্থা করা।
# গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপে আর্চওয়ে গেট স্থাপন ও প্রতিটি পূজামণ্ডপে ফায়ার এক্সটিংগুইশার স্থাপন করা।
# সকল বৈদ্যুতিক লাইনে নিম্নমানের তার ব্যবহার না করা।
# পূজামণ্ডপে অগ্নি দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য মোমবাতি, আগরবাতি, আরতির সময় সাবধানতা অবলম্বন করা।
তামান্না ভাটিয়া প্রথম ভারতীয় যেখানে
# আনন্দ উৎসবে আতশবাজি, মাদকের ব্যবহার, জুয়া খেলা বন্ধ রাখা।
# পূজামন্ডপ বা মন্দিরের জন্য পরিদর্শন রেজিস্টার প্রস্তুত এবং রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা।
# পূজামণ্ডপ বা মন্দির ও সমগ্র এলাকায় পর্যাপ্ত ও বিকল্প আলোর (জেনারেটর) ব্যবস্থা করা।
# দর্শনার্থীদরা ব্যাগ বা পোটলা ইত্যাদি নিয়ে পূজামণ্ডপে প্রবেশ না করার জন্য অনুরোধ করা। তাছাড়াও পূজামণ্ডপ এলাকায় সন্দেহজনক কোনো ব্যাগ বা পোটলা দৃষ্টিগোচর হলে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তাৎক্ষণিক অবহিত করা।
# ধর্মীয় সম্প্রতি বজায় রাখা বা অপর ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের লক্ষ্যে, আজান ও নামাজের সময় এবং মসজিদের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় বাদ্য যন যন্ত্র বন্ধ রাখার।
# পূজামণ্ডপ সংলগ্ন স্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ও পূজামণ্ডপ বা আশপাশ এলাকায় মেলা না বসানো।
# আইনশৃঙ্খখলা রক্ষাকারী বাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের জন্য ওয়াশরুমসহ স্বাস্থ্যকর আবাসনের ব্যবস্থা করা।
# পূজার প্রসাদ প্রস্তুত এর সময় সতর্ক দৃষ্টি রাখা ও পূজামণ্ডপ সমূহে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা।
# পূজামণ্ডপকেন্দ্রিক কোন প্রকার বিরোধ থাকলে তা পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে নিষ্পত্তি করা।
# বিজয়া শোভাযাত্রায় উচ্চ বাদ্যযন্ত্র সেট (পিএ), ব্যবহার না করা।
# শোভাযাত্রা চলাকালে কোনো গ্যাপ সৃষ্টি না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা।
# প্রতিমা বিসর্জনের সময় নৌকায় ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করা বা বিসর্জনের সময় পানিতে পড়ে প্রাণহানির ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য সতর্কতা অবলম্বন করা, বিশেষ করে বৃদ্ধ, নারী ও শিশুদের নৌকায় ওঠা নিরুৎসাহিত করা।
ফসফরাস ব্যবহার করেছে ইসরায়েল
# বিভিন্ন পূজামণ্ডপ হতে প্রতিমা ২৪ অক্টোবর বিকেল ৩টার পূর্বেই ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা, এবং সাড়ে ৩টার মধ্যে শোভাযাত্রা শুরু করা এবং সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে প্রতিমা ওয়াইজঘাটে পৌঁছানো। রাত ৮টার মধ্যে ওয়াইজঘাটে সব প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন করা।
# কোন দুর্ঘটনা বা অপরাধ সংঘটনের আশঙ্কা শুরু হলে দ্রুত পুলিশকে জানানো এবং জরুরি প্রয়োজনে পূজা উদযাপন কমিটি কর্তৃক সংশ্লিষ্ট থানার ফোকাল পয়েন্ট অথবা ৯৯৯ এর সেবা গ্রহণ করা।