স্বাস্থ্য ও পুষ্টি

কম ঘুমিয়ে সুস্থ থাকার উপায়

কম ঘুমালে সারা দিন ঝিমঝিম ভাব, চোখ ব্যথা, মাথা ব্যথা, শরীর ছেড়ে দেওয়া, কাজে অমনোযোগ, মেজাজ খিটখিটে হওয়াসহ নানা সমস্যা, তাই কম ঘুমানোকে নিয়ম বানিয়ে না ফেলাই ভালো। শীতের সময় না হলে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করুন। প্রোটিন ব্রেনে এমিনো এসিড সরবরাহ করে, যা কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়ায়। একটানা বসে না থেকে হাঁটাচলা করুন। কাজের ফাঁকে বন্ধু বা কলিগের সঙ্গে নিজেই গিয়ে দেখা করুন।

কম ঘুমিয়ে সুস্থ থাকার উপায়

কাজের চাপে কয়জনেরই বা সুযোগ হয় ঘুমানোর, সুস্থ থাকার মূলমন্ত্র সুষম খাদ্যাভ্যাস ও সাত-আট ঘণ্টা ঘুমানো। অনেক ক্ষেত্রে তো কখনো কখনো কম ঘুমিয়ে কাজ সারতে হয়। কিন্তু তুলনামূলক কম ঘুমালে সারা দিন ঝিমঝিম ভাব, চোখ ব্যথা, মাথা ব্যথা, শরীর ছেড়ে দেওয়া, কাজে অমনোযোগ, মেজাজ খিটখিটে হওয়াসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।

স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে দীর্ঘদিন ঘুমের ঘাটতি থাকলে। জেনে নিন মাঝেমধ্যে ঘুমের হেরফের হলে কিংবা কম ঘুমিয়ে কিভাবে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে থাকতে পারেন, তাই কম ঘুমানোকে নিয়ম বানিয়ে না ফেলাই ভালো।

রাতে ঘুম কম হলে কোনো কাজই সেদিন আর হয় না নিয়মমতো। কিন্তু সকালে যদি ব্যায়াম বা হাঁটার অভ্যাস থাকে, তাহলে সেটি কোনোভাবেই বাদ দেবেন না। যদি অভ্যাস না থাকে, তাহলেও চেষ্টা করুন হালকা ব্যায়াম করতে। কেননা ব্যায়াম শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায় ও প্রয়োজনীয় হরমোন এবং এন্ডরফিন রিলিজ করতে সাহায্য করে, যা আপনার শরীরের এনার্জি বৃদ্ধিতে সহায়ক।

আরও পড়ুন: রসুনের গুনাগুন

ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বেড়ে এবং কর্মক্ষমতাও বাড়ে। শীতের সময় না হলে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করুন। তবে শীতের সময়ে তুলনামূলক কম গরম পানি ব্যবহারের চেষ্টা করুন।

চেষ্টা করুন পুষ্টিকর খাবার খেতে, ঘুম না হলে খেতেও ভালো লাগে না। তাই সকালের নাশতা করুন ঠিকঠাক ভাবে। তবে মিষ্টিজাতীয় খাবার খাবেন না, যতটা সম্ভব কম শর্করা খান ও দুপুরের খাবারে রাখুন প্রোটিনসমৃদ্ধ বা লো ফ্যাট খাবার। কেননা প্রোটিন ব্রেনে এমিনো এসিড সরবরাহ করে, যা কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়ায়।

কিন্তু ঘুম কাটাতে বারবার চা বা কফি খাবেন না, তাতে ঘুম কাটার পরিবর্তে আরো ক্লান্তি চেপে বসতে পারে। চা, কফি পরিবর্তে খেতে পারেন ডার্ক চকোলেট। তবে অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার খাবেন না।

যদি রাতে ঘুম কম হয়, অফিসে বা ক্লাসে যাওয়ার পথে ফাস্ট বিটের গান শুনুন। গানের গতিতে নার্ভ ওয়েভ বাড়ায়, যা নার্ভ সিস্টেমকে উদ্দীপিত করে। লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি দিয়ে উঠুন। চেয়ারে একটানা বসে না থেকে হাঁটাচলা করুন। কাজের ফাঁকে বন্ধু বা কলিগের সঙ্গে নিজেই গিয়ে দেখা করুন।

আরও পড়ুন: দেহের তাপমাত্রা ওঠানামার কারণ কি

ক্লান্তি ভালোভাবে জেঁকে বসতে পারে দিনের শেষ ভাগে। যদি ক্লান্তি লাগে, তাহলে সাধারণ কিছু নিঃশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন। যেমন লম্বা শ্বাস নিয়ে তিন সেকেন্ড ধরে রাখুন, এবং আস্তে আস্তে ছেড়ে দিন তাতে মস্তিষ্কে অতিরিক্ত শক্তি তৈরি হবে। চেষ্টা করুন উজ্জ্বল আলোতে কাজ করার। দিনের শেষে অল্প হাঁটুন, রাতে ঘুম ভালো হবে।

সূত্র:-ওয়েবএমডি.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *