স্বাস্থ্য ও পুষ্টি

রসুনের গুনাগুন

এক কোয়া রসুন নিয়মিত খেতে পারেন, তাহলে নানা রোগ থেকে মুক্তি মিলতে পারে। এতে গাঁটে ব্যথা বা আর্থ্রাইটিস থেকে স্থায়ী মুক্তি পাওয়া যায়। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে রসুনে, যা রক্তে জমা হওয়া ফ্রি র‍্যাডিক্যাল ধ্বংস করে দেয়।তাই আজ আমাদের আলোচনার বিষয় রসুনের গুনাগুন।নিম্নোক্ত বিস্তারিত বর্ননা করা হল।

রসুনের গুনাগুন

খাবারের স্বাদ বাড়াতে রসুনের জুড়ি মেলা ভার আবার এতে পুষ্টি উপাদানও অনেক। তাই স্বাদের সঙ্গে সঙ্গে সুস্থতাও নিশ্চিত করে রসুন। যদি কেউ প্রতিদিন এক কোয়া রসুন নিয়মিত খেতে পারেন, তাহলে নানা রোগ থেকে মুক্তি মিলতে পারে। রসুন খেলে কী কী উপকারিতা জেনে নিন…

কাঁচা রসুনের উপকারিতা

কোলেস্টেরল কমিয় দিতে পারে রসুন। সমীক্ষায় দেখা গেছে, কোলেস্টেরলের মাত্রা ৯ থেকে ১২ শতাংশ কমিয়ে দেয় কাঁচা রসুন। আবার ছত্রাকজনিত সংক্রমণ রুখে দিতে বেশ কার্যকর , কারণ রসুনে থাকা অ্যালিসিন ছত্রাকজনিত সংক্রমণের সম্ভাবনা একেবারেই কমিয়ে দেয়। রসুন খেলে গাঁটে ব্যথা বা আর্থ্রাইটিস থেকে স্থায়ী মুক্তি পাওয়া যায়।

ফ্রি র‍্যাডিক্যাল শরীরের পক্ষে মারাত্মক। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে রসুনে, যা রক্তে জমা হওয়া ফ্রি র‍্যাডিক্যাল ধ্বংস করে দেয়। ফ্রি র‍্যাডিক্যাল DNA ও কোষের মেমব্রেন নষ্ট করে দেয়। আর দূষিত রক্ত ডেকে আনে একরাশ রোগ।আরও পড়ুন: ফ্রিজে কোন খাবার কতদিন রাখা যাবে

রাতে রসুন খেলে কি হয়

রসুন হচ্ছে অন্যতম প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক, শুধুই ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মারে কিন্তু উপকারী ব্যাকটেরিয়া গুলোর কোনো ক্ষতি করে না। যেখানে রাসায়নিক অ্যান্টিবায়োটিক ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মারার পাশাপাশি উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলোকেও মেরে ফেলে। চিকিৎ‍‌সাবিজ্ঞানীরাই বলছেন, বাজার চলতি অ্যান্টিবায়োটিক গুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মারাত্মক।

রসুন খাওয়ার নিয়ম

খেতে হলে দক্ষতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর দ্বারা সম্ভাব্য উপকারগুলি হাসিল করতে হয়। রসুনে উপস্থিত এলিকুলিন এবং সালফার সহজেই রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

রসুন খাওয়ার নিয়মে মনে রাখতে হবে যে, এটি প্রস্তুতকরণের জন্য সময় নেবে এবং বাড়তি বা অতিরিক্ত রসুন খাওয়ার চেষ্টা করা উচিৎ নয়। তারাচন্দন বা মিষ্টি খাদ্যের সাথে রসুন খাওয়ার একই সময়ে এড়াতে হবে, যাতে তার বুমি কমে যায়। এই ভান্ডারগুলি মন্ত্রিত করলে রসুন খাওয়ার প্রতিরোধ বাড়ায় এবং তা বিশেষভাবে সুস্থতা উন্নত করতে সাহায্য করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *