ভ্রমণ

বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রমোদ তরি

আইকন অব দ্য সিজ’ ২ হাজার ফুট (৩৬৫ মিটার) দীর্ঘ, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রমোদতরির খেতাব। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মায়ামি থেকে প্রথমবারের মতো সমুদ্রে যাত্রা শুরু করেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রমোদতরি ‘আইকন অব দ্য সিজ’। ৭টি সুইমিংপুল, ৪০ হাজার গ্যালন পানির একটি ‘হ্রদ’, ৬টি ওয়াটার স্লাইড, একটি ক্যারোসেল এবং খাবারের জায়গা ও বার আছে ৪০টির বেশি। প্রথম যাত্রায় এর যাত্রী সংখ্যা তা ছোটখাটো একটি শহরের জনসংখ্যার সমান।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রমোদ তরি

গতকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মায়ামি থেকে প্রথমবারের মতো সমুদ্রে যাত্রা শুরু করেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রমোদতরি ‘আইকন অব দ্য সিজ’। প্রথম যাত্রায় এর যাত্রী সংখ্যা তা ছোটখাটো একটি শহরের জনসংখ্যার সমান।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল প্রমোদতরিটি মালিক। প্রায় ২ বছর ৪ মাসেরও বেশি সময় নিয়ে ফিনল্যান্ডের তুর্কুতে একটি শিপইয়ার্ডে এটি তৈরি করেছে এই প্রমোদতরিটি আইফেল টাওয়ারের চেয়ে লম্বা। এটিতে ২০টি ডেক ও কামরা আছে, যেগুলোয় পাঁচ হাজার ৬০০-এর বেশি (সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা সাত হাজার ৬০০) যাত্রী ধারণ করা যায়। এর ক্রুর সংখ্যা প্রায় দুই হাজার ৩৫০ জন।

প্রমোদতরিতে যাত্রীরা যেন একঘেয়ে বোধ না করেন, তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ধরনের সুব্যবস্থা রয়েছে, যেমন আছে ৭টি সুইমিংপুল, ৪০ হাজার গ্যালন পানির একটি ‘হ্রদ’, ৬টি ওয়াটার স্লাইড, একটি ক্যারোসেল এবং খাবারের জায়গা ও বার আছে ৪০টির বেশি।

যদি যাত্রীদের এতেও একঘেয়ে লাগে, তাহলে তাঁরা হারিয়ে যেতে পারেন সুরের জগতে তার জন্য আছেন ৫০ জন সংগীতশিল্পী ও কমেডিয়ান, আরও আছে অর্কেস্ট্রার আয়োজনও।

২০০ কোটি ডলার আইকন অব দ্য সিজ’ তৈরিতে খরচ পড়েছে, এটিতে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল। তবে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, প্রমোদতরিটি পরিবেশবান্ধব তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসে [এলএনজি] চলবে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করেন যে ’এলএনজি’ ব্যবস্থা ব্যবহারের কারণে প্রচুর পরিমাণে মিথেন গ্যাস লিক হয়ে পরিবেশ মিশে যেতে পারে।

প্রমোদতরিটি গত ২২ জুন সমুদ্রে প্রথম দফা পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। প্রমোদতরিটি এ সময় শত শত মাইল পরিভ্রমণ করেছে। পরীক্ষা করা হয়েছে প্রধান ইঞ্জিন, ব্রেক সিস্টেম, স্টিয়ারিং, শব্দ ও কম্পনের মাত্রা।আবহাওয়ার কারণে যাত্রা কিছুটা বিলম্বিত হলেও সব কাজ সময় মতো শেষ করা গেছে।

আরও পড়ুন: কোহিনুর হীরার দুর্গ গোলকোন্ডায়

বেতারতরঙ্গ ব্যবস্থায় পরিচালিত পাইরোলাইসিস প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হচ্ছে রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল প্রমোদতরিটিতে। এ প্রযুক্তির সাহায্যে বর্জ্যকে জ্বালানি গ্যাসে পরিণত করা হয়। জাহাজে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে রিভার্স অসমোসিস ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি গত মঙ্গলবার প্রমোদতরিটির উদ্বোধন করেন।

কোম্পানি বলেছে, টিকিটের জন্য নজিরবিহীন চাহিদা দেখা গেছে, গতকাল শনিবারের প্রথম যাত্রার টিকিটগুলো সব আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। ক্যারিবীয় সাগরে এক সপ্তাহ ধরে ঘুরে বেড়ানোর পর মায়ামিতে ফিরে আসবে প্রমোদতরিটি।

‘আইকন অব দ্য সিজ’ ২ হাজার ফুট (৩৬৫ মিটার) দীর্ঘ, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রমোদতরির খেতাব পাওয়ার আগে এ খেতাব যে জাহাজের ছিল, সেটিও রয়েল ক্যারিবিয়ানেরই তৈরি। সেটির নাম ওয়ান্ডার অব দ্য সিজ’।

One thought on “বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রমোদ তরি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *