স্বাস্থ্য ও পুষ্টি

চোখে ছানি পড়ার কারণ

ভিটামিন-ডি কিছু খাবারে পাওয়া যায় যেমন:- দুধ, ডিম, মাছ, শীতের সবুজ সবজী, ছানা, গরুর গোশত ইত্যাদি। ভিটামিন-ডি আপনার শরীরের ক্যালসিয়াম ও ফসফেট স্তর নিয়ন্ত্রণ করে এবং অস্থি ও দাঁতের উন্নতি সাধন করে। শরীরে ভিটামিন ডি-এর স্বাভাবিক পুরুষদের জন্য প্রতি দিন ১৫০০ থেকে ২০০০ আইইউ ও মহিলাদের জন্য প্রতি দিন ১৫০০ আইইউ পর্যন্ত। ভিটামিন-ডি সংক্রান্ত যেকোনও প্রশ্ন বা চিন্তা থাকেন, তাহলে আপনার চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে ভুলবেন না।

চোখে ছানি পড়ার কারণ

আপনার চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন-ডি গুরুত্বপূর্ণ যা সহজত সূর্যের আলো থেকে তৈরি হয়। ভিটামিন-ডি এর অভাবে চোখে ছানি ও কালো দাগ হয়ে থাকতে পারে। সাধারণভাবে এটি বিভিন্ন খাবারে পাওয়া যায়, কিন্তু সময়ের সাথে দেহে এর অভাব হতে পারে ও চোখে ছানি ও কালো দাগ দেখা দিতে পারে।

আরও পড়ুন: কাউনের চালের রেসিপি

চোখ সহ আপনার স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষেত্রে এটি ভূমিকা রাখে ভিটামিন-ডি। ভিটামিন-ডি আপনার শরীরের ক্যালসিয়াম ও ফসফেট স্তর নিয়ন্ত্রণ করে এবং অস্থি ও দাঁতের উন্নতি সাধন করে। তাই ভিটামিন-ডি অপরিহার্যভাবে স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। কিছু খাবারেও ভিটামিন-ডি পাওয়া যায় যেমন:- দুধ, ডিম, মাছ, শীতের সবুজ সবজী, ছানা, গরুর গোশত ইত্যাদি।

তবে ভিটামিন-ডি বেশিরভাগই সূর্যের সংস্পর্শে আসার পরে আপনার ত্বকে তৈরি হয় ও এটি আপনার সারা শরীরে পুষ্টি তৈরিতে এবং খনিজগুলো সরাতে বেশ সহায়তা করে। আবার কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা এড়াতে আপনার ভিটামিন-ডি প্রয়োজন এবং ম্যাকুলার; চোখে ছানি ও কালো দাগ যার মধ্যে অন্যতম।

চিকিৎসকদের মতে, শরীরে ভিটামিন ডি-এর স্বাভাবিক পুরুষদের জন্য প্রতি দিন ১৫০০ থেকে ২০০০ আইইউ ও মহিলাদের জন্য প্রতি দিন ১৫০০ আইইউ পর্যন্ত। এর নিচে কোন ব্যক্তির ভিটামিন ডি-থাকে তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক দুর্বল যা কনজাংটিভাইটিস; ভাইরাসের সহজেই আক্রমণ ঘটাতে পারে। গবেষণায় জানা যায়, প্রায় ৯০ শতাংশ ব্যক্তির শরীরে ভিটামিন-ডি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম থাকায় তারা কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত ছিল। এর ফলে চোখ ফ্লুতে আক্রান্ত হয় যা চোখের উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই ভিটামিন-ডি যুক্ত খাবার কম খাওইয়াতে ৪০ বছরের বেশি বয়সী নারীদের চোখের নিচে কালো দাগ ও ফোলাভাব দেখা যায় ও চোখে অকালে ছানি পড়ার ঝুঁকি বাড়ে। শুধু কি তাই, এর ঘাটতির কারণে রেটিনাল ডিজেনারেশন হয়। যার কারণে চোখের দুর্বলতা বেড়ে যায় এবং দৃষ্টিশক্তি কমে যায়।

চোখের দৃষ্টিশক্তি সুরক্ষায় ভিটামিন-ডি এর উপকারিতা অনেক। ভিটামিন-ডি টিস্যুর অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং এটি এএমডি, গ্লুকোমা, ড্রাই আই সিন্ড্রোম এবং চোখে ছানি প্রতিরোধ করতেও বেশ সহায়ক। ভিটামিন-ডি চোখকে আঘাত থেকে নিরাময় করতে সক্ষম করে এবং ম্যালিগন্যান্ট টিউমার থেকে ক্যান্সার কোষ এবং নতুন রক্তনালীগুলির বৃদ্ধি রোধ করতে সহায়তা করে। ভিটামিন-ডি সঠিক পরিমাণে থাকলে স্কিনের প্রতিরোধশীলতা বাড়ে এবং কালো দাগের উৎপত্তি কমায়।

আরও পড়ুন: ডুমুর খাওয়ার উপকারিতা

তাই ভিটামিন-ডি সম্পর্কে সচেতন থাকা বা ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া এবং সময়ের সাথে আবশ্যক পরিমাণ নিশ্চিত করা উচিত। যা আগামীতে অসময়ে চোখে ছানি ও কালো দাগের সমস্যার সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে। তাই আপনি যদি ভিটামিন-ডি সংক্রান্ত যেকোনও প্রশ্ন বা চিন্তায় থাকেন তাহলে আপনার চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে ভুলবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *