তথ্য ও প্রযুক্তি

স্মার্টফোনের যত্ন নিতে হলে জানতে হবে নিয়ম কানুন

স্মার্টফোন এখন অত্যন্ত প্রয়োজনের, শুধু শখের নয় প্রত্যেকটি মডেলই নতুন নতুন ফিচার নিয়ে আসছে। প্রতিনিয়ত নতুন মডেলও বাজারে আসছে। তবে সম্প্রতি ফোনের দাম বেড়েছে। কিন্তু ফোনের যত্ন নেয়ার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়া যাবে না। স্মার্টফোনের যত্নের ক্ষেত্রে সফটওয়ার ও হার্ডওয়ার অংশ দুটোই জড়িত। আজকাল কিছু হলেই প্রিয় ফোনটি নষ্ট হতে পারে। ওয়ারেন্টির যা ধরন তাতে সহসাই সমাধান পাওয়া যায় না। দু-একদিন হাতে ফোন না থাকলে কত অসুবিধা হয় তা বিস্তারিত ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই। যন্ত্রসঙ্গীর যত্ন? কিভাবে নেবেন তবে চলুন জেনে নেই….

xr:d:DAFYj5wwcLQ:65,j:4521015,t:23030204

স্মার্টফোনের চার্জের ক্ষেত্রে যা ভাবা দরকার.
সারাদিন কাজের শেষে ফোনটা চার্জে লাগিয়েই ঘুম দেই। একদম সকালে ফোনটা খুলে আবার ব্যবহার করা শুরু। কিন্তু এভাবে আপনার মোবাইলের ব্যাটারির স্থায়ীত্ব কমে। তাই সবসময় ব্যাটারি ফুল চার্জ দেয়ার প্রয়োজন নেই। বরং ব্যাটারিকে ৯০-৯৫ শতাংশ চার্জ করতে পারলেই হয়। আবার ব্যাটারির চার্জ যেন ২০ শতাংশের নিচে না যায়। ২০ শতাংশের নিচে অনেক জরুরি সময়ে যেতে পারে। প্রয়োজনে পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করুন। ব্যাটারি উৎপাদনের সময় কোয়ালিটি চেক করা হয় অবশ্যই। সেখানে একটি ব্যাটারি তার কার্যকালে কতবার ফুল চার্জ হবে তা কিন্তু নির্ধারিত। কিন্তু প্রতিদিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি মাথায় রাখুন। ২০ শতাংশের নিচে চার্জ চলে গেলে সফটওয়ার নানা অপটিমাইজেশনের সাহায্য নেয়। তখন ব্যাটারিতে বাড়তি চাপ পড়বেই। সেজন্য মোবাইল ফুল চার্জ যেমন নিয়মিত করবেন না তেমনি একেবারে কমও রাখবেন না।

চার্জ দেয়ার সময় স্মার্টফোন ব্যবহার নয়.
আপনি যদি আপনার ফোনের স্থায়ীত্ব ও পার্ফর্ম্যান্স ধরে রাখতে চান তাহলে চার্জ দেয়ার সময় ফোন ব্যবহার করবেন না। ডাটা ক্যাবল লাগিয়ে কাউকে কল দিলেন। অথবা নেট ব্রাউজিং শুরু করলেন। ফাস্ট চার্জার আছে তাই দ্রুত চার্জও হচ্ছে আর আপনিও একটু অবসর সময় কাটানোর সুযোগ পেলেন। আবার অনেকে চার্জে দিয়েই গেম খেলেন। এরকম করলে ব্যাটারির উপর চাপ পড়ে। কারণ চার্জ দেয়ার সময় সফটওয়ার অপটিমাইজ করে চার্জ জমা করে। ওই সময় মোবাইল ব্যবহার করলে সফটওয়ার বাড়তি কাজ হিসেবে প্রসেসর সক্রিয় রাখে। এরজন্যই মোবাইল গরম হয়। মোবাইলের হিটিং ইস্যু সামাল দিতে প্রযুক্তি বের হয়েছে সত্য। আর মোবাইল গরম হয়ে যাওয়া মানে মোবাইলে ল্যাগ বা স্টাটারিং হওয়া। অনেক সময় মাদারবোর্ডের বড় ক্ষতিও হতে পারে। তবে তা প্রসেসরের জন্য। ব্যাটারি ভালো থাকলে সফটওয়ার ও হার্ডওয়ারও ভালো থাকবে।

মোবাইলে চার্জ সংরক্ষণে করণীয়.
ফোন কেনার সময় ফোনের স্টোরেজ তো দেখেছেন অবশ্যই। সেখানে দেখবেন সিস্টেম ডাটা ১৫-২০ জিবি জায়গা দখল করে রেখেছে। অ্যান্ড্রয়েডে সিস্টেম ডাটা সবসময় সক্রিয় থাকে এবং এসব ডাটা আপনার পুরো অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসকে সচল রাখতে সহযোগীতা করে। সিস্টেম ডাটা বাইরে ব্লুটুথ, মোবাইল ডাটা, লোকেশনসহ আরও ফাংশন চালু রাখলে আপনার ফোনের চার্জ ক্ষয় হয়। সিস্টেম ডাটার কিছু কিছু ফাংশন আপনি বন্ধ করতে পারবেন। কিন্তু ব্লুটুথ, মোবাইল ডাটা আর লোকেশন চালু রাখলেই আপনার চার্জ প্রচুর যাবে। এসব বিষয়ে খেয়াল রেখে ফোন চালান। তাহলে চার্জ থাকবে। আবার অনেকে ডার্ক মোড ব্যবহার করেন। এটি মূলত ডিসপ্লের ধরনের উপর নির্ভর করে। অ্যামোলেড স্ক্রিনে হয়তো এ সুবিধা পাবেন আইপিএসে তা পাবেন না। সেজন্য চার্জ সংরক্ষণের বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করুন।https://amaderkhabar.com/archives/277

ডিসপ্লের যত্ন নিন.
ডিসপ্লেতে দাগ কিংবা বড় আঘাত ক্ষতিকর। ড যত্ন অনেকেই নেননা। ফোনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ডিসপ্লে। অতিরিক্ত ব্যবহারে স্ক্রিনে দাগ পড়ে অথবা কোনো সমস্যাও দেখা যেতে পারে। এজন্য স্ক্রিন প্রটেকটর ব্যবহার করবেন। এমনকি ফোনের জন্য কাভারও ব্যবহার করতে হবে। পছন্দ অনুসারে এসব মোবাইলের জন্য জরুরি। ডিসপ্লের ব্রাইটনেসও কমিয়ে রাখবেন।

সফটওয়ার আপডেট দিন.
নিয়মিত স্মার্টফোনের যত্ন সফটওয়ার আপডেট করুন। আপনার ফোনের সফটওয়ারে কিছু বাগ থাকতে পারে। এসব বাগ থেকে ফোনের জটিলতাও বাড়ে। যদিও মোবাইলের ব্র্যান্ড অনুসারে সফটওয়ারের কারণে ফোনের ক্ষতি হয়। সে বিষয়ে জেনে নিবেন। তারপর আপডেট দিন। আজকাল ফোরামেই তথ্য পাবেন। দেখবেন আপনার ফোন ভালো থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *