হাওরে অতিথি পাখির কিচিরমিচির
স্বচ্ছ পানিতে চড়ে কিচিরমিচির শব্দে খেলা করছে হাজারো অতিথি পাখি। হাওরের পাশে গিয়ে দেখা গেছে, হাজার হাজার পাতি সরালি কিচিরমিচির করছে, ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে বেড়াচ্ছে। হয়তো খাবারের খোঁজে কিংবা নিজেদের মধ্যে খুনসুটি করে সময় কাটাচ্ছে পাখিগুলো।
হাওরে অতিথি পাখির কিচিরমিচির
সিলেট শহরের মধ্যেই দক্ষিণ সুরমার মোমিনখলা এলাকার বগলাজান হাওরে শীতের শুরুতেই হাজির হয়েছে অতিথি পাখিরা। কচুরিপানা ঠাসা একটি হাওর, কচুরিপানার মাঝখানে স্বচ্ছ পানিতে চড়ে কিচিরমিচির শব্দে খেলা করছে হাজারো অতিথি পাখি। এটি সিলেট সিটি করপোরেশনের একমাত্র হাওর।
সিলেট শহরে ঢুকতে কিংবা বের হতে অতিথি পাখিগুলো কিচিরমিচির শব্দে স্বাগত ও বিদায় জানায় পথচারীদের। নগরের দক্ষিণ সুরমা হয়ে শহর থেকে বের হওয়ার বা ঢুকার পথ সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক ঘেঁষেই বগলাজান হাওরের অবস্থান। যার পাশ দিয়ে রেললাইনও চলে গেছে।
ঢাকা- সিলেট মহাসড়ক হুমায়ূন রশীদ চত্বর হয়ে এগিয়ে গেলেই মোমিনখলা এলাকা। সড়কের ডান পাশেই বগলাজান হাওর। গত কাল সকালে হাওরের পাশে গিয়ে দেখা গেছে, হাজার হাজার পাতি সরালি কিচিরমিচির করছে, ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে বেড়াচ্ছে। হয়তো খাবারের খোঁজে কিংবা নিজেদের মধ্যে খুনসুটি করে সময় কাটাচ্ছে পাখিগুলো।
হাওরটির আয়তন প্রায় ৯০০ একর, যার মধ্যে রেলওয়ের ও সরকারি খাস জায়গাও আছে। হাওরের পশ্চিমে পাশে আছে আবাসিক এলাকা মোমিনখলা, চান্দাই, কায়স্থরাইল ও বারখলা। পাখিগুলো হাওরটিতে আসতে শুরু করে সপ্তাহখানেক আগে থেকে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে বগলাজান হাওর। আগে এখানে এত পাখি দেখেননি আশপাশের লোকজন। হাওরটিতে এবারই এত পাখি এসেছে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীর বিচ্ছিন্ন সোনার চর
বারখলা এলাকার বাসিন্দারা বলেন, পাখিগুলো নতুন দেখেছেন তারা, আগে অল্প কিছু অতিথি পাখি এলেও এবার বেশিসংখ্যক পাখি আসায় সবার নজরে পড়ছে। তবে পাখিগুলোকে বিরক্ত করলে সেগুলো আর আসবে না। তবে এখন পর্যন্ত কেউ পাখিগুলোকে বিরক্ত করছে।
বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ অনুযায়ী, পরিযায়ী পাখি হত্যার দায়ে একজন দোষীকে সর্বোচ্চ কারাদণ্ড এক বছর বা সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান আছে। অথবা কোনো ব্যক্তি যদি পরিযায়ী পাখির মাংস, দেহের অংশ সংগ্রহ করেন, দখলে রাখেন কিংবা ক্রয়-বিক্রয় করেন বা পরিবহন করেন, সে ক্ষেত্রে তাঁর সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ত্রিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, অতিথি পাখিগুলোকে যাতে কেউ বিরক্ত ও শিকার না করে এ ব্যাপারে পুলিশ সতর্ক আছে।
Pingback: বেড়াতে যাওয়া বিপাকীয় রোগ ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে - amaderkhabar